সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঝুড়ি। লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঝুড়ি

কুমোর-পাড়ার গরুর গাড়ি- বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি। গাড়ি চালায় বংশীবদন, সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন। হাট বসেছে শুক্রবারে বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে গ্রামের মানুষ বেচে কেনে। উচ্ছে বেগুন পটল মুলো, বেতের বোনা ধামা কুলো, সর্ষে ছোলা ময়দা আটা, শীতের র‌্যাপার নক্সাকাটা। ঝাঁঝরি করা বেড়ি হাতা, শহর থেকে সস্তা ছাতা। কলসি-ভরা এখো গুড়ে মাছি যত বেড়ায় উড়ে। খড়ের আঁটি নৌকো বেয়ে আনলো ঘাটে চাষির মেয়ে। অন্ধ কানাই পথের ‘পরে গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে। পাড়ার ছেলে স্নানের ঘাটে জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুক্রবারের হাটে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়নি কোনো দিন। কবির লেখায় বেতের বোনা ধামা কুলোও কিনতে পারিনি আমি কোনো দিন। আসলে ঝুড়ি নিয়ে কি করবো আমি সেটাই ভাবার সময় হয়নি কখনো।রান্না ঘরের কোণে অযত্নে পড়ে থাকা ঝুড়িকে উল্টে পাল্টে দেখিনি কোনোদিন আমরা কেউই মনে হয়। আচ্ছা সেই বংশী বদনের মত যদি হওয়া যেত বেশ মজা হতো তাই না। গুড়ের হাঁড়ি কলসী নিয়ে লাঠি উঁচিয়ে হাট হাট করে এগিয়ে চলা যেত। গ্রামের মেঠো রাস্তা ধরে। ঝুড়ি ভরে বাজার নিয়ে ঘরে ফিরে বাড়ির উঠোনে সব কিছু একসাথ...