সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অভিজিৎ বসু লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টোটো চালক ও দালাল

আজ আপনাদের এক দালাল আর টোটো চালকের গল্প বলি। যে দালাল টাকা নিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার পার করে দেওয়া দালাল নয়। এই দালাল একটু অন্য ধরনের দালাল। আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় যে এলোমেলো এলেবেলে আর বিন্দাস জীবন কাটানো এক টোটো চালকের আজ এই হঠাৎ করেই দালাল হয়ে ওঠার গল্প। যে গল্পের পরতে পরতে রহস্য আবিষ্কার করছি আমি। জীবনের এই মেঠো পথের বাঁকে বাঁকে কত যে নতুন নতুন সব কিছু আবিষ্কার করছি আমি সত্যিই অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরও বলতে ইচ্ছা হয় আমার এই রাত দুপুরে।  জীবনের এই শেষ বেলায় এসে এলোমেলো জীবনে যেনো ঝড় উঠেছে হঠাৎ করেই আমার। যে জীবন একদিন স্থবির জীবন ছিল আমার। যে জীবন বধির ছিল। যে জীবন শুধুই নিজের মৃত্যুর কাছাকাছি এসে অপেক্ষার প্রহর গুনছিল আর রাতের অন্ধকারে নিশাচর পেঁচার ডাক শুনত। যে জীবন শুধুই অপমান, অবহেলা সহ্য করেই বেঁচে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছিল একসময়। সেই জীবন কেমন স্থবিরতা কাটিয়ে আড়মোড়া ভেঙে জীবনের মেঠো রাস্তায় হাঁটছে টলমল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে। সেই জীবনে এখন শুধুই ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা। যে অন্ধকার ঘরে আলো জ্বলতে দেখা ...

চেনা পথের পথিক

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ সেই সেক্টর ফাইভ এর চেনা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে খুঁজে বেড়ানো আমার গন্তব্যের নতুন ঠিকানা। সত্যিই কতদিন পর যে এই কলকাতা দেখলাম আমি গ্রাম থেকে এসে। সেক্টর ফাইভ এর সেই চেনা পথ, চেনা ফুটপাথ দেখলাম কত দিন পরে। সেই চেনা রাস্তা ধরে এগোলাম কত দিন পর। সেই কলেজ মোড়, ওয়েবেল মোড়, সেই চা, মুড়ি, ভাতের সারি সারি চেনা দোকান পাট লোকজন সব ঠিক আছে যে যার নিজের মতই ছুটে বেড়াচ্ছে তারা।  সেই বহু দিন অফিস করা সব চেনা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো সত্যিই কংক্রিটের এই বিশাল এক একটি বাড়ির মাঝে ঠাণ্ডা কাচ ঘেরা সুন্দর সুন্দর সব অফিস। সেখানে কাজের ব্যস্ততা অনেক। সেজে গুজে সব সুন্দর সুন্দর মানুষ জন ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা যেনো সবাই অন্য গ্রহের মানুষ ওরা। নিজেকে বড় বেমানান লাগলো আমার সেখানে। কেমন যেনো বিসদৃশ আমি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়ে খুঁজতে লাগলাম আমার ইন্টারভিউ এর স্থান। প্রখর রোদের তাপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তবু চেনা রাস্তা পার হয়ে অচেনা অজানা জায়গায় হাজির হয়ে সেই নতুন ঠিকানার আমার বাড়ি খোঁজার নিরন্তর মরিয়া চেষ্টা। ঠিক যেনো কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতই এদিক ওদ...

আইচ আর মাটির সংসার

আইচ আর মাটি। ফ ব মানে সেই বিখ্যাত কুচবিহার জেলার কমল গুহ আর মাটি মনে দেবমতী এই দুজনের বিখ্যাত মিডিয়ার জুটি। সেই সব সময় যে আইচ অফিস, বাড়ী নিয়ে নানা ভাবেই চাপে নাজেহাল হয়ে থাকে সব সময়। বর্তমানে কাগজে কাজ পেয়েও যে পরে চার কোনা বোকা বাক্স টিভির দুনিয়ায় ঢুকে পড়ল যে আইচ বলে ছেলেটি। যে রাজনীতির পাঠশালায় বেশ ভালই। সেই আমাদের এক সময়ের বিখ্যাত চ্যানেল এর পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই ২৪ ঘণ্টায় বিখ্যাত লোকজনের সাথে ওর কাজ করা। সব আকাশ থেকে নেমে আসা লোকজন আর স্বর্ণযুগের সেই বিখ্যাত সংসার। যে সংসার একদিন আবার ভেঙেও গেলো কেমন করে যেন। যে ভাঙা সংসারে ভাঙনের মুখে আমার কাজের সুযোগও ঘটে।  সেখানেই শুভ্রজিৎ আইচ আর দেবমতীর আলাপ, ঘর, মাটির সংসার পাতা আর নানা ভাবেই ওদের বেড়ে ওঠা একটা সুন্দর পরিবারকে নিজের মত করে গড়ে নিয়ে। কখনও এক মিডিয়ার অফিসে কাজ করে এক দফতর বা সেই ডেস্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে অ্যাসাইন মেন্টের টেবিলে বদলি হয়ে চাকরি করা ওদের দুজনের একে অপরকে দূরে সরে গিয়ে। আবার সেখানেও জলের নিচে পা কাটা হাঙ্গরের দলবল ঘুরছে বলে এক চেনা অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে চলে যাওয়া ওর ...

শুভ জন্মদিন বাবুন

খাতায় কলমে ফেসবুক ঘুম থেকে উঠতে জানিয়ে দিলো আজ এর জন্মদিন কাল ওর জন্মদিন। এটা একটা ভালো গ্যাঁড়াকলের বিষয় কিন্তু। মনে না থাকা মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া। স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। সেই অতল সমুদ্রের গহ্বর থেকে। বেশ ভালই ব্যাপার কিন্তু এটা। স্মৃতিকে উস্কে দেওয়া। সেই দেবাশীষ চৌধুরী সম্ভবত ভালো নাম। ডাক নাম বাবুন। যদিও সেই ছোটো বেলায় যাঁকে আমরা ভালো ছাত্র, বইতে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা স্টুডেন্ট হিসেবেই জানি। সেই এঁদোপুকুর এর পাড়া, সেই এঁদোপুকুর লেন পরে যা বিবেকানন্দ লেন হয়। আর সেই বিবেকানন্দ সোশ্যাল ইউনিটি সেন্টার এর সেই বিখ্যাত দুর্গাপুজোর শুরুর স্মৃতি। আসলে ফেলে আসা দিন। সেই ওদের বাড়ীর বড়ো বড় জানলা, সেই ওই বিখ্যাত বাড়ীর ভেজানো দরজা, সেই সব রাশভারী মানুষজন, সেই মিহিরদা, ওর মা, ওর বোন আর সেই ছোট্ট মাঠে দুর্গাপুজোর ঢাকের বাদ্যি সব যে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে আমার এই জীবনের সাথে। সেই পাড়ার পূজো শুরু হওয়া। সেই প্রথম শোলা কেটে ডিজাইন করে অতি সাধারণ মন্ডপকে অসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করা।  ভো...

সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর জন্মদিন

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এমন একজন রাজনৈতিক নেতার কথা যে মানুষটার সাথে বাংলার রাজনীতির যোগ বহুদিনের। সেই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর জুটির দুজনের কেউ আজ আর নেই আমাদের মাঝে। বাংলার এই হাজারো বৈচিত্রের রাজনীতিতে এখন আর সেই অমলিন হাসির সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখা যায় না কোনো ভাবেই। আজ সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর আটাত্তরতম জন্মদিন।  মনে পড়ে গেল কত কথা। আসলে খবরের সন্ধানী সাংবাদিকদের কাছে সুব্রতদার সাথে তার ঘরে আড্ডা দেওয়া, পুজোয় তার সাথে আড্ডা মারা, আবার বিরোধী রাজনীতির ময়দানে নেমে তার সাথে নানা ধরনের রাজনীতির মারপ্যাঁচ আর কসরৎ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পেরেছিলাম অন্য সবার মত আমিও কিছুটা। তবে যে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে আমার সব ঘেকে বেশি যে ছবির কথা আজও ভুলতে পারিনি আমি সেটা হলো সিঙ্গুরে সুব্রত দার টাটা মোটরস এর কারখানার জমি রাতে পাহারা দেওয়ার কথা লাঠি হাতে নিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে।  আসলে ছবি কি করলে হয়, কি করলে নিষ্ফলা জমিতে ফসল ফলাতে হয় সেটা বোধ হয় এই পরিপক্কো রাজনীতিবিদ সুব্রত দা খুব ভালই জানতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...

জয় বাবা তারকনাথ

সকাল সকাল বাবা তারকনাথ দর্শন। বাবার চরণে পূজো দেওয়া আর জল দেওয়া। ফুল, বেল পাতা দিয়ে বাবাকে পূজো দেওয়া। মনের ইচ্ছাকে তাঁর কাছে নিবেদন করা। সেই দুধপুকুর, সেই ভারামল্ল রাজার স্বপ্ন দেখা, সেই জঙ্গলে কপিলা গাই এর হারিয়ে যাওয়া, সেই পাথরের ওপর দুধ দেওয়া। আর সেই পাথর তুলতে কত কসরৎ করা। আর তারপর রাজার স্বপ্ন দেখা। স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব এর স্বপ্ন। যিনি এই সব কিছুর মাঝেই বিরাজ করেন নিজের মতো করেই। সেই স্বয়ম্ভু শিব। সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় এর মালিক যিনি। যিনি এই পৃথিবীর আদি, অন্ত, ভূত ভবিষ্যৎ সব কিছুই।  সেই পুরোনো দিনের গল্প। সেই বদলে যাওয়া তারকেশ্বর স্টেশন,শহর, দোকানপাট, আরও কত কী। সেই চেনা ট্রেন পথ, সেই চেনা সিঙ্গুর, হরিপাল, আর নালিকুল পার হয়ে লোকনাথ এর পরেই বাবার ধাম তারকেশ্বর পৌঁছে যাওয়া। যে ট্রেন এক সময় ক্রসিং এর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো অনেক সময়। আমরা ছোটোবেলায় সেই দিদার সাথে গরমের ছুটিতে হরিপাল যেতে যেতে বিরক্ত হয়ে যেতাম। সেই নালিকুল থেকে ট্রেন ধরবো বলে দৌড়ে এসে দেখতাম না এই স্টেশনে ক্রসিং হয়নি। সিঙ্গুরে ক্রসিং হবে। আবার পরের ট্রেন একঘন্টা পরে। কেমন...

শুভ জন্মদিন দাদা

দাদা আজ কি তোমার জন্মদিন? ফেসবুকের পর্দায় শুভেচ্ছা দেখে আমিও কেমন যেনো বোকা হয়ে গেলাম। হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে দিলাম সকাল সকাল তাঁকে। কিন্তু মনে হলো কপাল ঠুকে ফোন করে ফেললাম তাঁকে বুকে বল নিয়ে। সেই ফোনের ওপর প্রান্তে শুনলাম দুর ওসব ফেসবুক মানেই তো ফেক এর কারবার রে। আজ কে বলেছে আমার জন্মদিন। আমার এই জন্মদিন আর দাদার জন্মদিন এক দিনে। সেটা শুনে বেশ ভালই লাগলো।  সত্যিই তো এমন সৌভাগ্য আর ক জনের হয়। দাদার জন্মদিন আর দাদার অনুগামীর প্রধান শিষ্যের জন্মদিন বলে কথা। সেই আমাদের সবার শৌনক ঘোষ। সেই আশীষ ঘোষদার দেওয়া নাম সেই ভজ। সেই বিখ্যাত এক লেখকের ছেলে সে। সেই ইটিভি বাংলা তে রামোজি ফিল্ম সিটিতে মিটিং এর ডাক পড়লে সামনে এগিয়ে চলা আর হায়দরাবাদ এর ধোসা আর ইডলি খাওয়া লোকদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলা সেই শৌনক ঘোষ।  সেই ইটিভির সাম্রাজ্য ছেড়ে এবিপিতে কাজে যোগ দেওয়া ওর। তারপর সেখান থেকে ২৪ ঘন্টায় চলে আসা। সেখান থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা এদিক থেকে ওদিক। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে পড়া কিছুটা। অনেকটা সেই দাদার হাত ধরেই। সেই বিখ্যাত সাংবাদিক এর আজ জন্মদিন যদিও সেটা খাতায় ক...

ভালো থেকো বাবা

আজ ফাদার্স ডে বা বাবা দিবস। মা দিবস এরপর বাবা দিবস কেমন যেনো জোর করে ঢুকে পরেছে আমাদের রান্নাঘরের দরজা খুলে হেঁসেলে। আসলে আমার জীবনে মা যতটা ছিলেন বাবা ততটা কাছের নয় একটু দূরে ছিলেন এত দিন ধরেই। কিন্তু মা চলে যাবার পরে বুঝতে পারলাম একটা জোড় ভেঙে গেছে জীবনের। আর সেই জোড় ভেঙে যাবার পর বুঝলাম মা আর বাবা দুজন দুজনের মত করেই আমাদের সন্তানদের মাথায় ছাতা ধরে থাকে আশ্রয় দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন আমাদের।  আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে কি আর এমন দিবস পালন এর হিড়িক ছিল। নাকি সিনেমার পর্দার মতো জীবনের এই সব দিনের কথা ফেসবুকে লিখে ঝুলিয়ে স্মরণ করা যেতো এইসব দিন গুলো সবার সাথে। কিছুই ছিল না সেই সব ব্যবস্থা সেই সময়। তবু বাবা কারখানা থেকে ডিউটি সেরে মাসের প্রথম দিকে ফেরার সময় মিষ্টি নিয়ে ফিরতেন আমার জন্য। সেই যে দূরে কোথায় কারখানা বন্ধের পর কাজে চলে গেলেন গঙ্গারামপুর মনে হয়। সেখান থেকে সাত দিন, পনেরো দিন পর বাড়ী ফিরে আসতেন সুন্দর মাখা সন্দেশ নিয়ে ভোরবেলায়। আর বিশ্বকর্মা পূজোর সময় আমায় নিয়ে গেছিলেন সেই মাঠের ধারে কাজের জায়গায়। এই সব সুন্দর কিছু স্মৃতি মনে আছে ...