লতিয়ে চলা জীবনে ফিরে যাওয়া, অতীতের কাছে বার বার। ঠিক যেনো শঙ্খবেলার তটে সমুদ্রের নোনা জল গায়ে মেখে, হারিয়ে যাওয়া একা একা। যেভাবে তোমার ভেজা চুলের ঝাপটায়, আমার শরীরে অনুঘটকের অনুরণন হতো। শামুকের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতো আমার লতানে ভালোবাসার জীবন, গুটি গুটি পায়ে। যে জীবনের শাখা প্রশাখায় জড়িয়ে থাকে শুকনো গোলাপের কাঁটা, নখ দাঁত বের করে হায়নার মত। যে জীবনের শাখা বেয়ে নেমে আসে গভীর ভালোবাসা, ধীরে ধীরে চুপি সাড়ে কাঠবিড়ালির মত। যেমন করে বসন্তের দুপুরে জেগে ওঠে ডাহুক, আকুল স্বরে ডেকে ওঠে সে তোমায়। বুকের মাঝে চেপে বসে ভালোবাসার অতীত, বর্তমান, ভবিষৎ। গোলাপের কাঁটায় রক্ত ঝরে, ভালোবাসার লতানো জীবনের রাস্তায়, লাল পলাশের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। ছোপ পড়া দাগ মুছে অতীতকে কবর থেকে খুঁড়ে, টেনে হিঁচড়ে বের করি আমি সন্তর্পনে। ভালোবাসার হারিয়ে যাওয়া অতীতকে খুঁজে পেতে, বড়ো কষ্ট হয় আমার। তবুও অতীতের টানে জীবনের জলছবিতে, একটুকরো ভালোবাসার রঙের প্রলেপ পড়ে। যে ভালোবাসার পুকুরের জলে, পা ভিজিয়ে স্নান করি আমি, বসন্তের দুপুরে ডাহুকের মন কেমন করা ...