কুর্চির টানে ------ একসময় এই গ্রামটার নাম এক ডাকে সবাই চিনে গেছিলো। শুধু মাত্র বললেই হতো অনাহার এর গ্রাম। অমনি চোখের সামনে ভেসে উঠতো আমলাশোলের নাম জ্বল জ্বল করে। যে নামটা সবাই কে নাড়িয়ে দিয়েছিলো আমাদের সেই সময়। গ্রামের ছবি দেখে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে মিডিয়ার সামনে আওয়াজ তুলে ছিল। এসব কি হচ্ছে কি। মানুষ কেউ এইভাবে বাঁচে, বাঁচতে পারে। এত খিদে নিয়ে বাঁচা যায়। কিন্তু অনাহার যাদের নিত্য সঙ্গী ছিল তারা কি করে বাঁচবে কে জানে। মৃত্যুর অভিশপ্ত সেই দিনগুলোর গুজরান করেই তো তারা বেঁচে ছিল কষ্ট করে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে, লড়াই করে বাঁচতে চেয়েছিল জীবনে। কিন্তু পারেনি বাঁচতে ওরা। তাই আমরা জানতে পেরেছিলাম তাদের জীবনের গভীর গোপন কথা। যা ফাঁস হয়ে গেছিলো একদিন সংবাদ মাধ্যমে। আর তাতেই হৈ চৈ পড়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে। আজ এতদিন পরে আমলাশোল কেমন আছে সেটাই মনে হলো আমার। নিজের চাকরি জীবনে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে হয়েছে অনেক। সরকারি চাকরির সুবাদে সেই সব জেলায় ঘোরা কিন্তু খুব যে সুখকর হয়েছে সেটা নয়। এই জেলাতেও কাজ করতে হয়েছে, কিন্তু সেই দিনের কথা...