আসলে রাত বাড়লেই আমার রোগ বাড়ে। শরীরের যন্ত্রণা আর মনের যন্ত্রণা মিলেমিশে কেমন এক হয়ে যায় আমার। মনে হয় তাহলে এই রাতের অন্ধকারে ফেলে আসা অতীত দিনের সাদা জীবনের কালো কথায় কিছু কথা লিখি আমি এই রাতদুপুরে। রাতের নানা অতিথি আমার মনের জানলায় কেমন করে ভীড় করে তারা। ঠিক যেনো রাতের অন্ধকারের পথ পেরিয়ে আমার জানলার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে তারা চুপটি করে ঘাপটি মেরে। আজ তেমন এক জনের কথাই লিখবো আমি। ভেবেছিলাম ওকে নিয়ে কদিন পরে লিখব আমি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে লিখতে হবে ভাবিনি আমি কখনো। ফেলে আসা জীবনকথা ধীরে সুস্থে লিখে গেলেই হয়, তাড়া নেই তো কোনো আমার জীবনের। কিন্তু যা ভাবা যায় সেটা কি আর সবসময় মিলে যায়। আমার বোলপুরের ভাড়া বাড়িতে একজন সিকিউরিটি মুগ্ধ হয়ে সারাদিন মোবাইল ফোনে কবে একাদশী আর গ্রহদোষ কি করে কাটবে সেটাই শুনে যায় সারাদিন। একাদশী, পূর্ণিমা পালন করে আর ফ্ল্যাটে পাহারা দিয়ে তাঁর দিন কেটে যায়। মাস কেটে যায়। তাঁর গলায় কণ্ঠীর মালা। সারাদিন হরিনাম জপ করছেন আর শুনছেন নিজের মোবাইল ফোনে। বয়সে তরুণ না হলেও সে তার নাম কিন্তু তরুণ। বেশ ভালো হাসিখুশি মানুষ। কোপ...