ছোট্টো হাতের তালুতে গোটা পৃথিবীটা যেনো বন বন করে ঘুরছে। নিজের ইচ্ছায় নয়, শুধু তার ইচ্ছায়। হলুদ, সবুজ, লাল, মেরুন পৃথিবীর আলোর রোশনাই ছড়িয়ে পড়ছে এদিক থেকে ওদিকে চুঁয়ে চুঁয়ে হাতের তালুর মধ্যে। ছোটো ছোটো জীবন গুলো কেমন যেনো একটা অদ্ভুত মায়াময় মেদুর চোখে অপলক নয়নে তাকিয়ে রয়েছে সেই দিকে, এক দৃষ্টিতে। নজর রেখেছে সেই বন বন করে ঘোরা লাট্টুর দিকে। এক মনে, এক দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে বন বন করে ঘোরা লাট্টু কে। চোখের পাতা পড়ছে না এক মিনিটও তার। অন্য হাতে দড়ি ঝুলিয়ে ব্যালেন্সের খেলায় মেতে উঠেছে ছোটো ছেলে বকুলাল। আসলে বকুলালের বড়ো সখ যে সে পৃথিবী ঘুরে বেড়ায় ঠিক এমন করেই, লাট্টুর মতোই বনবন করে। ওই যে বইতে পড়েছে বছরে ছ মাস ঠাণ্ডায় কাঁপে যে দেশটার কথা। সেই যে বরফের ঘরে বাস করে সেই সব ইগলুদের ঘরে যদি বসে থাকা যেত শীতের দুপুরে। যদি সেখানে যাওয়া যেত। কি ভালই না লাগতো তার। আর ওই যে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যে দেশের কথা বইতে পড়েছে সে। যদি সেখানে গিয়ে ঘুরতে পারতো সে কি মজাই না হতো। মা বলে ভালো করে পড়াশোনা কর, তাহলে বড়ো হয়ে যেতে পারবে, সে সব জায়গায়। সত্যিই তো কোন...