আমাদের দেখা হয়েছিল সেই বিরাটির অফিসে। সেই রাত এর বেলায় বালি হল্ট স্টেশনে নেমে পড়া আমাদের দুজনের। সেই হার্ডকোর সাংবাদিক, নিষ্ঠা নিয়ে পূজো করা এক ব্রাহ্মন। সেই গ্রামের দুর্গা পূজার জন্য ছুটি না পেয়ে সর্বভারতীয় চ্যানেলে কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে আসা হাসি মুখে কাউকে একদম পাত্তা না দিয়েই। সেই গাড়ির মধ্য বসে দিল্লী থেকে এক বিখ্যাত সাংবাদিক এর মাধ্যমে বড়ো চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে কাজের সুযোগ পাওয়া। সেই সেখান থেকে ভাসতে ভাসতে গৌহাটির চ্যানেলে কাজ করা। অফিস এ বিশ্বকর্মা পূজো করা। সেই কবিতার ছন্দময় জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা খেলতে যে বেশ ভালোবাসে বরাবর। রাত গভীর হলে লাস্ট ডানকুনি লোকাল ধরে বাড়ী ফেরা ওর কুকুরের তাড়া খেয়ে ঘরে ফেরা। প্রতীক্ষায় থাকা ওর বাড়ীর দরজায় ওর মায়ের। কথা হয়েছিল একদিন যাবো ওর বাড়িতে। কথা হয়েছিল একসাথে অনেকটা পথ একসাথে কাজ করবো আমরা কিন্তু সেই সব কথা কী আর রাখা যায়। তাই দুজনের পথ চলা আলাদা হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু কেনো জানিনা আজ এতদিন পর হঠাৎ করেই আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই সৌরজ্যোতির কথা মনে পড়ে গেল আজ। ...