ওর মাথায় সেই টুপি। চোখে মোটা ফ্রেমের একটা চশমা পড়া। চিরাচরিত ভঙ্গিতে ওর সেই হাত তুলে অভয় দিয়ে বলা, কোনো চিন্তা নেই দাদা বা কমরেড। আমরা সব কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়ে যাবো একসাথে সবাই মিলে, এটা আমাদের সবার লড়াই কারুর, একার লড়াই নয় কিন্তু। আর মাঠে খেলা শুরু হতেই দেখা গেলো মাঠেই নেই কুশল। হয়তো চা খেতে নিচে চলে গেছে বা ব্যাগ ঝুলিয়ে অফিস ছেড়ে চলে গেছে অজানা অচেনা পথে। আর ওর মুখে একটা মায়াবী মিষ্টি হাসি। যে হাসিতে লুকিয়ে আছে যেনো অনেক কিছুই। ওর সেই স্বপ্ন দেখা ওর দুটো চোখ টুপির আড়ালে কাকে যেনো খুঁজে বেড়াচ্ছে অনবরত। হয়তো বেলা বোস বা চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশাকে খুঁজছে ও আপনমনে অফিসে বসেও আপনমনে। ওর কাঁধের সেই চেনা সাইড ব্যাগ আর বুক পকেটে একটা পেন নিয়ে অফিস আসতো সে অনেকটা মহাকরণে কাজ করা দশটা পাঁচটার কেরানীর মতই হেলে দুলে। কোনো তাড়া নেই জীবনে ওর। বেশ মজার জীবন ওর। আমি ওকে দেখে ভাবতাম আমি যদি এমন হতে পারতাম কি ভালো যে লাগতো আমার। অফিস এর সময়েও যে সেই রাস্তায় ঘুরছে আপনমনে নিজের ছন্দে। কখনও প্রদীপদার চায়ের দোকান, কালাম এ...