সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শ্রীরামপুর লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রামমোহনের মামার বাড়ির পুজো

হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের প্রায় পাঁচশ বছরের পুরোনো পুজো চাতরার দেশগুরু ভট্টাচার্য্য বাড়ির দুর্গাপুজো জেলার অন্যতম আকর্ষণ। দুরদুরান্ত থেকে অনেকেই এই বাড়ির পুজো দেখতে বহু লোক আসেন। এই বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানা ইতিহাস। ইংরেজ শাসনকালের আগে থাকতেই এই বাড়ির যে বাড়িতে পুজো হতো তার স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান বাড়িতে এই পুজো হয় প্রায় তিনশ বছর ধরে। সব প্রাচীন রীতিনীতি মেনে হয় মা দুর্গার আরাধনা। উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙার আদাহাটায় জমিদারি ছিল শ্রীরামপুর চাতরার ভট্টাচার্যদের। গ্রামের সিংহভাগ প্রজা ছিল মুসলমান।তারাই পুজোর একটা বড় খরচ বহন করতেন। ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনেই প্রায় পাঁচশো বছরের বেশি সময় ধরে এখনো এই পূজো হয়ে আসছে। আলী,আফজল ও রাকিনেরা এখনো পুজোর ফল,মূল নিয়ে হাজির হন পঞ্চমীর দিন এই গুরুবাড়িতে। তারা সবাই হাজির হন ভারত পথিক রামমোহন রায়ের শ্রীরামপুরের মামারবাড়িতে।  বর্তমানে যখন দেশে ও বিদেশে জাতি ও বিদ্বেষের আগুন জ্বলছে চারিদিকে। তখন এই ভট্টাচার্য বাড়ির এক চালার এই দুর্গা প্রতিমা ঠিক যেন বর্ণ, ধর্ম ও নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে একাত্ব ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক হয়...

পল্লীডাকের গল্প

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আর কোনো ব্যক্তি মানুষের কথা নয়। কোনো বিশেষ চরিত্রের স্মৃতিচারণ করা নয়। আজ এমন এক ছোটো পত্রিকার কথা বলবো, যাকে ঘিরে হাজারো মানুষের ভীড় উপচে পড়েছে সারাদিন ধরেই নানা ভাবে নানা রূপে। সেই ছোটো হুগলী জেলার এই পত্রিকার অফিসে নিয়ম করে হাজির হতেন জেলার ছোটো,বড়ো, মেজো, সেজো, নানান মাপের আর নানা ধরনের এলিট শ্রেণীর সব সাংবাদিক থেকে শুরু করে জেলার ডেঙো ডোঙলারাও। যাদের সাধারণভাবে কেউ পাত্তা দিত না কোনোদিন জেলায় তথাকথিত সাংবাদিক এর দল।  এই পল্লী ডাক পত্রিকার অফিসে আসতেন রাজনীতির কেউকেটারা, কেস্টবিষ্টুরা, থানার বড়ো বাবু, মেজো বাবুরা, সিপিএম এর জোনাল কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে  নানা মাপের নেতারা, আবার সদ্য গজিয়ে ওঠা প্রোমোটার সেও হাসি মুখে হাজির হতেন এই পল্লীডাক এর অফিসে হাসি মুখে। কেউ কেউ এই সংবাদের পেশায় টিকে থাকার জন্য খবরের জন্য ছুটে আসতেন এখানে। আর সঠিক খবর পাবার আশায় হাজির হতেন এখানে। এবেলা ওবেলা হাজির দিত তারা প্রতিদিন। আবার কেউ কেউ এই পেশায় প্রবেশ করার ছাড়পত্র পেতে ইট পাতার জন্য এই পত্রিকার অফিসে হাজির হতেন হাসি মুখে একটু কৃপা লাভের আশায় দাঁড়িয়...