দেওয়াল ভেদ করে, জানলা ভেদ করে সাদা কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে শহুরে কোকিলের কুহু কুহু সুরে ঘুম ভেঙে যায় আমার হঠাৎ করেই। বিছানায় গা এলিয়ে পড়ে থাকি আমি নিঝুম নিঃস্তব্ধ সকালে। যে সকাল মন খারাপের মেঘ কাটিয়ে, লাল পলাশের দেখা মেলে না আর। শহরের ভীড় রাজপথে বহুতলের ভীড়ে পলাশ, শিমুল তো হারিয়ে গেছে কবেই। কবেই হারিয়ে গেছে আটলান্টিকের অতলে আমার ভালবাসা আর ভালোবাসার স্পর্শ মাখা জীবন, আর জীবনের চেনা ছন্দের গভীর গোপন নিঃশব্দ অভিসার। যে জীবনে জড়িয়ে ছিল নানা সুখের আবেশ, যে সংসারে ছিল ঘড়ি ধরে বেঁচে থাকার নির্যাস। সেই ঘড়ি কবেই টিকটিক করা থামিয়ে দিয়েছে আচমকাই। কেমন যেনো বসন্তের ঝিম ধরা রং চটা বিবর্ণ দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে একা একাই ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো। একদম ঠিক স্থবির এই বেনাপোল জীবনে কেমন নোনা সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে বারবার। আমি দুর থেকে শুনতে পাই দেওয়াল ভেদ করে, মন কেমন করা বিরহী কোকিলের আকুল করা ডাক। দুর থেকে ভেসে আসে ট্রেন পথের চেনা আওয়াজ, পায়রার অভিমানী বকবকম, আরও কত কী। এই শহুরে বসন্তের আলসেমির ভোরে ঘুম ভে...