মেঘ তারার নরম খেলায় মেতেছে ফাগুন। তোমার আমার জীবনে বসন্তে লেগেছে আগুন। লাল পলাশের বাহুডোরে যে পাখি, উড়ে এসে বসে চুপটি করে। পলাশের হাসি মাখা উত্তাপ গায়ে মেখে, যে শরীর গরম করে একমনে। সেই উত্তাপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় তোমায় আমায় দুর থেকে। আমরা তখন দুজন কেমন বিবশ হয়ে যাই। পলাশের উত্তাপ গায়ে মেখে, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরি আশ্লেষে। চুম্বন করি একে অপরকে ভালোবেসে, পলাশের রেনু গায়ে মেখে। দুর থেকে মৌটুসি তা দেখে, লজ্জা পায় বড়ো। ঘাড় ঘুরিয়ে সে বলে, আগুন লেগেছে বনে বনে। মাথার ওপর গনগনে লাল ফাগুনে আকাশ চেয়ে থাকে চুপটি করে। লাল পলাশের হাসি ছড়িয়ে পড়ে চরাচরে। লাল পলাশের পদাবলীর গান ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। সাঁঝের পিদিম জ্বলে, ঘরে ঘরে শঙ্খ বাজে। লাল পলাশের ঢেউ গায়ে মেখে, সাঁওতাল পাড়ার বউ হাসির তুফান তোলে সাঁঝ বেলায়। হেসে বলে, ঘরে মোর নাগর এলো। লাল মাটির ঘরে লাল পলাশের হাসি মেখে নাগর আসে চুপিসাড়ে। লাল পলাশের ঢেউয়ে চেপে দোল খায় কালো মেয়ে। ঢেউয়ের তালে নেচে ওঠে ফড়িং আনমনে। পদ্মবনে বসে থাকা প্রজাপতি নেচে ওঠে গুনগুনিয়ে। ফাগুনের আকাশ ধীরে ধীরে লাল হয়। লাল পলাশের হাসি...