লতিয়ে চলা জীবনে ফিরে যাওয়া, অতীতের কাছে
বার বার।
ঠিক যেনো শঙ্খবেলার তটে সমুদ্রের নোনা জল গায়ে মেখে, হারিয়ে যাওয়া একা একা।
যেভাবে তোমার ভেজা চুলের ঝাপটায়, আমার শরীরে অনুঘটকের অনুরণন হতো।
শামুকের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতো আমার লতানে ভালোবাসার জীবন, গুটি গুটি পায়ে।
যে জীবনের শাখা প্রশাখায় জড়িয়ে থাকে শুকনো গোলাপের কাঁটা, নখ দাঁত বের করে হায়নার মত।
যে জীবনের শাখা বেয়ে নেমে আসে গভীর ভালোবাসা,
ধীরে ধীরে চুপি সাড়ে কাঠবিড়ালির মত।
যেমন করে বসন্তের দুপুরে জেগে ওঠে ডাহুক,
আকুল স্বরে ডেকে ওঠে সে তোমায়।
বুকের মাঝে চেপে বসে ভালোবাসার
অতীত, বর্তমান, ভবিষৎ।
গোলাপের কাঁটায় রক্ত ঝরে, ভালোবাসার লতানো জীবনের রাস্তায়, লাল পলাশের
ছোপ ছোপ দাগ পড়ে।
ছোপ পড়া দাগ মুছে অতীতকে কবর থেকে খুঁড়ে,
টেনে হিঁচড়ে বের করি আমি সন্তর্পনে।
ভালোবাসার হারিয়ে যাওয়া অতীতকে খুঁজে পেতে, বড়ো কষ্ট হয় আমার।
তবুও অতীতের টানে জীবনের জলছবিতে, একটুকরো ভালোবাসার রঙের প্রলেপ পড়ে।
যে ভালোবাসার পুকুরের জলে, পা ভিজিয়ে স্নান করি আমি, বসন্তের দুপুরে ডাহুকের মন কেমন করা
ডাক শুনে।
কচুরিপানার সোঁদা গন্ধ গায়ে মেখে, আমি হাবু ডুবু খাই কালো নরম জলের ঢেউয়ে।
মাথার ওপর গাছের ডালে বসে, চুপি চুপি দেখে নীল মাছ রাঙা, ঘাড় ঘুরিয়ে এক মনে।
নানা রঙের ছোপ পড়া, শ্যাওলা পড়া জীবনে ভালোবাসার প্রলেপ পড়ে আলতো করে।
ভালোবাসার ওম পেয়ে চোখ বুজে বিড় বিড় করে কাঠবিড়ালি।
অতীতকে ভুলতে গিয়েও গভীর গোপন ভালোবাসার কাঁটায়, বিদ্ধ হই আমি আবার।
কোকিলের মন কেমন করা ডাক ছড়িয়ে পড়ে
আমার শরীরে- মনে,অন্তরে - বাহিরে।
ভালোবাসার ডাক শুনে আমি আবার জড়িয়ে ধরি, আমার অতীতকে।
ভালোবাসার অতীত - অভিজিৎ বসু।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন