কিছু কিছু স্মৃতি। কিছু কিছু সময়কে ভোলা যায় না কিছুতেই। আসলে এই সব ফেলে আসা সময়। ফেলে আসা মানুষজনকে নিয়েই তো দিন রাত দুপুর বিকেল সন্ধ্যার যুদ্ধ লেগে থাকতো একটা সময়। যে যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক এক সময় ভালোই লাগে আমার। আবার এক এক সময় মনে হয় এই তিন চাকার টোটোর জীবন ভালো, না দু পায়ের শিরদাঁড়ার জোরে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারা নুয়ে পড়া, ভেঙে পড়া, পায়ে লুটিয়ে পড়া মানুষের জীবন ভালো। কে জানে কোনটা ভালো।
আজ একটা টোটো চালকের একটি লেখা পড়ে আমার এক পুরোনো দিনের বন্ধু বলা যায় না মনে হয় সেই পর্যায়ে আমাদের সম্পর্ক নয় দুজনের কারুরই। এক সময়ের কাজের জায়গার সহকর্মী হিসেবে পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করা আর কি। যাঁদের ঠিক বন্ধু বলা যায়না কিছুতেই। যে আমার একটা লেখা পড়ে আজ আমায় লিখলো টোটো চালকের লেখা ভালো। যা খুব একটা কেউ বলে না আমায় আর কেউই। কারণ আমার এই তিন চাকার জীবনের সাথে দু পায়ের জীবনের ফারাক যে অনেক।
সেই ভালো শুনেই আমি একেবারেই গলে জল। রাগ অভিমান দুঃখ অপমান কাটিয়ে লিখতে ইচ্ছা হলো আমার তাঁকে নিয়ে। সেই সাংবাদিক, কবি, সদা হাস্যময় একটি উজ্জ্বল যুবক। সেই চন্ডীতলার গ্রামের বাড়ী। অনেক জমি আছে ওদের গ্রামের বাড়ীতে হুগলী জেলায়। সেই জমি নিয়ে কিছু একটা সমস্যা ছিল
সেই পিউ রায় এর সেই পুরোনো আমলের ভাইরাল ২৪ যা বেশ জনপ্রিয় ছিলো টিআরপি তে সেই সময়।
সেই ভাইরাল এর কপি সাতটা লিখবেন না আটটা সেটা নিয়ে লিড আউটপুট শৌনক ঘোষ এর সঙ্গে তার সাথে দড়ি টানাটানি চলছে। বেশ মজার লাগতো সেই আমলে। আজ সেই সব কথা মনে পড়ে গেলো আমার এতদিন পর। সেই আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আম আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই বিখ্যাত সৌম্য সিনহার গল্প। সেই ইন্টার্নদের গুরু ছিলেন তিনি। যাঁর হাতে ছিল পোদ্দার কোর্টের ইন্টার্নদের ভূত ভবিষ্যৎ।
কে কি কাজ পাবে কোন রিপোর্টার এর সাথে কে কোন স্পটে বেরোবেন সবটাই ছিল তাঁর অঙ্গুলির হেলনে। যা নিয়ে ইন্টার্নদের ক্ষোভ থাকলেও কেউই কিছুই বলতে পারে নি কোনো সময় তাঁকে। আর আমি তখন সবে নতুন কাজের সুযোগ পেয়ে ধীরে ধীরে সেই বিখ্যাত অফিসে পোদ্দার কোর্টে বড়ো বড়ো সাংবাদিকদের দেখে কাজ শুরু করেছি মাত্র। যে সময় তাঁকেও দেখলাম আমি সেই প্রোডিউসার হয়ে কাজ করছেন তিনি একমনে। আর ঠিক সময় হলেই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়া তার ডিউটি শেষ বলে। সময় মেপে কাজ করা একদম।
সেই সৌম্য সিনহা, সেই অদিতি সিনহা বোধহয়, সেই পত্রলেখা, তিন্নি, ইনজেস্ট এর প্রদীপ, আরও কতজন যে ছিল সেই সময়। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিস। সেই ট্রাম লাইন এর ধারে কালামের চা খেয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া। সেই প্রবাল, কুশল, প্রদীপ, ধ্রুব, অনির্বাণ চৌধুরী বেশ সুখের সংসার আর কী বলেন। সেই শ্রাবণী ডেস্ক এর, সেই মাটি বলে ডাকা দেবমতী, সেই ২৪ ঘণ্টার বিখ্যাত সোমনাথ আর প্রদীপ এর জুটি। সেই ডেস্ক এর ধ্রুব বর্তমানে এবিপিতে কাজ করে। আরও কতজন যে ছিল।
সেই ইন্টার্নদের সার্টিফিকেটে সই করে দিত সে। আজ সেই সব কথা মনে পড়ে গেলো আমার এই গভীর রাতে। যে রাত বড়ো বেদনার। যে রাত বড়ো নিঃসঙ্গ একা। যে রাতে দেরিতে হলেও ঘুম আসে না আমার। শুধু ভাবি সত্যিই বড্ড ভালো ছিল সেই পুরোনো দিনগুলো কি বলো। সেই সৌম্য সিনহা কবিতা নিয়ে আলোচনা করা। সেই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়া।আর মুখে সেই সদাহাস্যময় হাসি। সেই জীবন ছেড়ে বর্তমানে গৌহাটিতে চলে যাওয়া বেতন বৃদ্ধি করে। সত্যিই অসাধারণ এই মিডিয়ার জীবন। ভালো থেকো তুমি সৌম্য। আমার কথা মনে করে লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই তোমায়। আমাদের সেই সৌম্য সিনহা যিনি আমার কন্টেন্টকে ভালো বলেছেন। আর তাতেই লিখে ফেলা আমার কিছু কথা আমার ব্লগে। ভালো থেকো তুমি।
আমাদের সৌম্য সিনহা _ অভিজিৎ বসু।
সতেরো মার্চ, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন