উজ্জ্বল নক্ষত্র খচিত সব মুখে, কেমন মায়া জড়ানো হাসি, এ ওর গায়ে লেপটে যাওয়া জীবন।
সারা শরীরে ছড়িয়ে রয়েছে আলোকমালার বেআব্রু নীল, সাদা, সবুজ হরেক কিসিমের রং।
রং মাখা, সং সাজা শরীরে, মনে একটু উষ্ণতার হাতছানি, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বেঁচে থাকার আকন্ঠ প্রয়াস।
কত চেনা, অচেনা মানুষের মাঝে, উষ্ণতা ঢাকতে শীতবস্ত্র খোঁজে এই উষ্ণ রাতেও কেউ কেউ।
জীবনের উষ্ণতার হাতছানি এড়িয়ে, শীতার্ত মানুষের উষ্ণতা অনুভব।
ওরা সব কেমন যেন মায়াময় জীবনের, ছন্দহীন, গতিহীন সব বন্ধু মানুষ জন।
যারা জানে না, সৌর জগতের কোন গ্রহের সন্ধান করতে নেমেছে তারা, এই রাত দুপুরে।
যারা এখনো ভাবনার আগুন গায়ে মেখে, বেঁচে থাকার চেষ্টা করে বৃথাই।
সব ওলোট পালট করে দিয়ে বলতে পারেনা তারা, আমরা সবাই বাঁচতে চাই।
মানুষের অধিকার নিয়ে, সেই বাঁচার স্বপ্ন দেখতে চাই
দু চোখ ভরে।
দয়া নয়, ভিক্ষা নয়, দান বা অনুগ্রহ নয়।
নিজের মতো করে শিরদাঁড়া সোজা করে বাঁচার স্বপ্ন।
যে বাঁচার জন্য কারুর কাছে,মুখাপেক্ষী হয়ে ভিক্ষাপাত্র নিয়ে থাকা নয়।
উজ্জ্বল সেই সব মুখ গুলোয় নবমীর চাঁদের মিষ্টি টাটকা আলোয় ভরপুর।
কেমন যেনো টল টল করছে ওদের চোখ,ভরা দীঘির জলে পানকৌড়ির মতোই।
যাদের হাসি মাখা উজ্জ্বল মুখে শুধুই ভালবাসার গভীর বন্ধন, আর দৃঢ় বিশ্বাস।
যে বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই তারা এই ধূসর পৃথিবীতে বাঁচতে চায়।
ডুব দেওয়া পানকৌড়ির মত একবুক স্বপ্ন নিয়ে।
পানকৌড়ির স্বপ্ন - অভিজিৎ বসু।
আঠারো এপ্রিল, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন