যুদ্ধ শেষের কবিতা লেখার ইচ্ছা হলেও, তো আর লেখা যায় না কিছুতেই।
মন কেমন করা রাতের আঁধারে শুধুই কাতর আর্তির, ফিশ ফিশ চাপা গুঞ্জন, ছড়িয়ে পড়ে এদিক থেকে ওদিক পানে।
কলমের কালিতে তূণের বিষের জ্বালা ধরায় শরীরে, মনে, দেহের প্রান্তরে গভীর হয়ে।
মাঠের একপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে রণাঙ্গনের নানা টুকরো টুকরো, স্মৃতির ক্ষতের গভীর চিহ্ন।
যুদ্ধের দামামা,ডমরু, দুন্দুভির আওয়াজ নেই কোথাও আজ একটুও।
নিঃশ্চুপ,নিঃসঙ্গ,অভিযাত্রিক হয়ে ঘুরে বেড়াই আমি, যুদ্ধ ক্ষেত্রে একা, একদম একা।
যেমন ভেজা ঘাসের ওপর একাকী ঘুরে বেড়ায়, চাঁদের জল ফড়িং মাখা একটা মুখ।
সন্ধ্যার মেঘের আড়ালে মাঠের কোণে, ইতি উতি উড়ে বেড়ায় জোনাকির গা ছম ছমে আলোর রেখা।
পশ্চিম কোণে শৃগালের ক্রন্দনে উত্তাল হয় উত্তরার মাঠ, ঘাট, বনানী সব কিছু।
যুদ্ধের দামামা থেমে গেছে সূর্য ডোবার অনেক আগেই, ধীরে ধীরে।
যুদ্ধ শেষের কবিতা লেখার ইচ্ছা হলেও, তো তা পূরণ হয় না কিছুতেই।
ফাঁকা মাঠের মাঝে লুকিয়ে থাকি আমি, আমার আত্মা, হারানো স্বজন, দুর্জন সকলে একসাথে।
একবুক আশা নিয়ে,স্বপ্ন নিয়ে,বেঁচে থাকি আমি,
আত্মার সাথে মিলে মিশে এক হয়ে, জোনাকির আলো গায়ে মেখে।
যুদ্ধ শেষের কবিতা - অভিজিৎ বসু।
সাত জুন, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন