সাদা জীবনের কালো কথায় এক লড়াই করা এক অতি সাধারণ পরিবারের মেয়ের অনমনীয় জেদ আর লড়াই এর গল্প কথা। যে জেদ আর সাহসকে সম্বল করে সেই কবে ছোটো বেলা থেকে লড়াই করছে সেই মেয়েটি। যে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোনো স্মৃতিময় কিছু সাদা কালো ছবি দেখে মনে পড়ে গেলো অনেক পুরোনো দিনের কথা।
অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে,অনেক মার খেয়ে বাংলার একমাত্র লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সিপিএম এর 34 বছরের জমানা উঠে যায় এই বাংলা থেকে। যা একসময় মনে হয়েছিল এমন আর হবে না কোনো দিন।
এত লড়াই আন্দোলন করেও সেই পুরোনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখে মনে পড়ে যায় কত কী। আর সেই ছবির মাঝে লুকিয়ে আছে এমন এক ছবি যে ছবির মধ্যে লুকিয়ে আছে এই সারা জীবনের জন্য লড়াই করা জীবনকে বাজি রেখে বেঁচে থাকার নানা গল্পকথা আর মিথ। কিন্তু সেই বাজিগর নিজের হাতেই তার নিজের আপন মানুষের কাছে তুলে দিলেন ক্ষমতার চাবি কাঠি খুব সহজেই সবার সামনে।
সবাইকে সাক্ষী রেখেই নিঃশব্দে পালা বদল হয়ে গেলো তৃণমূল দলের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের প্রধান যোদ্ধার। 29 জন নতুন সংসদের সদস্যদের সামনে রেখেই দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরের নিজের লোককে পরিচিত করে নিজের হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন তিনি নিঃশব্দে।
যাতে আগামী দিনে দলে কোনো নয়া বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। একা নিজের কারিশমায় যেটুকু উত্থান হয়েছে সেই উত্থানের এর কারিগর এক লহমায় আলাদা হয়ে গেলেন স্বেচ্ছায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
যা হবার ছিল সেটা হতই। কিন্তু সেই সাদা কালো যুগের সেই পুরোনো ছবি দেখে মনে হলো ক্ষমতার মসনদ থেকে নেমে গেলেও। তিনি জমি আর সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে মাটিতে নেমে চলে গেলেও। সেই অগ্নিকন্যা পুরোনো দিনের বাজিগর হয়ে আসল বাজি রেখে এটাই বলে দিলেন সবাইকে,যে ক্ষমতার পালা বদল হলেও তিনি কিন্তু আসল কি ওম্যান হয়ে বেঁচে থাক- বেন এই বন্ধ্যা বাংলার রাজনীতির ময়দানে আরও বেশ কিছু দিন।
যেখানে উত্থান, পতন, আনন্দ, নিরানন্দ, আশা আর নিরাশা দুই বিরাজ করে। তার মাঝে মমতা বন্দ্যো- পাধ্যায়ের হাত ধরেই ফেলে আসা অতীত দিনের মতো ভবিষ্যতেও তাঁর হাতেই থাকবে ব্যাটন। যেখানে সেই রোদে, জলে, আগুনে পুড়ে খাক হওয়া মেয়েটি ঠিক করবে কে হবে আসল কারিগর এই বাংলার ভূত, ভবিষ্যৎ এর নির্ধারক।
তাঁর শুধু এটাই চাই যে নিজের হাতে ঘুড়ির সুতো লাটাই রেখে নিজেই ঘুড়িকে আকাশে উড়ে বেড়াতে সাহায্য করছেন তিনি। যাতে নিজের মতো করেই নিজের অধীনে আগামী দিনেও ক্ষমতার রদবদল হলেও নিজেই সবকিছু কন্ট্রোল করে রাখতে পারেন। আর তাতেই তিনি খুব খুশী। জীবনের এই বহু প্রাপ্তির মাঝে দাঁড়িয়ে এর থেকে বেশি চাওয়া আর কি হতে পারে তাঁর।
নিঃশব্দে ক্ষমতার পালা বদল- অভিজিৎ বসু।
নয় জুন, দুহাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন