পৃথিবীর পরিত্যক্ত কোনো শহরের কথা বললে প্রথমেই চলে আসবে ইউক্রেনের প্রিপেয়াট শহরের নাম। ১৯৭০ সালে সংযুক্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে সমর্থন করার পরই পৃথিবীর নবম নিউক্লিয়ার শহর হিসেবে ধরা হয় এই শহরকে। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেল পর্যন্তও এই শহরের জনসংখ্যা ছিল ৪৯ হাজারের বেশি। কিন্তু তারপরেই সব শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু ওই দিন বিকালে চেরনোবিল দুর্ঘটনার পরেই শহরটি পরিত্যক্ত ও জনশূন্য হয়ে পড়ে। সরিয়ে নেওয়া হয় শহরটির সকল বাসিন্দাদের। যদিও এখন ধীরে ধীরে শহরে রেডিয়েশনের মাত্রা প্রায় কমে গেছে। বেশ কিছু পর্যটক শহরটি মাঝে মাঝে দেখতে এলেও স্থায়ীভাবে এখানে বসবাস করেন না কেউই আর। ভয়ঙ্কর এক স্মৃতি নিয়ে বাস করে এই নির্জন শহর চেরনোবিল।
চেরনোবিলের বিপর্যয় হলো বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক বিপর্যয়। সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৬শে এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে সংঘটিত ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাটি। যা চেরনোবিলের বিপর্যয় হিসাবে পরিচিত। ৩১ জন লোক প্রান হারান এই দুর্ঘটনায়। ৩ লক্ষ ৪০ হাজার জন লোক আক্রান্ত হন।
চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভূত। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আজও সেই শহর তার সারা শরীরে দগ্ধ পোড়া দাগ নিয়ে স্মৃতি চিহ্ন নিয়ে আজও বেঁচে আছে।
শহর চেরনোবিল - অভিজিৎ বসু।
বারই জুন, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন