সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্যার এর ফোন

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ স্যার এর ফোন। স্যার আমায় ফোনে একদিন বলেছিলেন অভিজিৎ তোমার সাথে আমার একটু দরকার আছে একবার দেখা করো তুমি শ্রীরামপুরে এলে। বেশ কিছুদিন আগের কথা সেটা। কথাটা শুনে কেমন যেন একটু ভয় ভয় লাগলো আমার। কি হলো, কি বলবেন স্যার আমায় কি দরকার কে জানে বাবা। সেই কলেজের টিচার্স রুমে ডাক পড়লে যে অবস্থা হতো আমার তেমন অবস্থা আর কি। খালি ভাবছি কি এমন বলতে পারেন স্যার। কেনো ডাকলেন আমায় স্যার। দুরুদুরু বুকে হাজির হলাম সেই বাড়ির সামনে বহুদিন বহু বছর পর।  কিছুটা ভয়, আর কিছুটা নস্টালজিয়া নিয়ে। শ্রীরামপুর শহরের শেষ প্রান্তে সেই গড়িগড়ি ঘাটের সেই বিখ্যাত বাড়ী। যে নতুন রং করা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কেমন যেন মনে মনে অতীত দিনে ফিরে যেতে বড়ো ইচ্ছা হলো আমার। বাড়ির কাছে গিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে ফোন করলাম স্যারকে। সেই সদা হাস্যময় নীতিশ বাবুকে দেখলাম কতদিন পর। বললেন অভিজিৎ এসো এসো। একটু চেহারা খারাপ হয়েছে স্যার এর, কিন্তু বেশ ভালো লাগলো দেখে এতদিন পর। ভিতরে নিয়ে গেলেন আমায়। যে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে পড়তে যেতাম আমরা সেটা দেখালেন স্যার আমায়।  ...

স্যালারি ক্রেডিটেড

আজ মাসের শেষ দিন। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক বাজে বিকেল তিনটে বেজে উনষাট মিনিট। আচমকাই আমার মোবাইল ফোনে একটি ব্যাংকের একটি মেসেজ এলো আমার হোয়াটস অ্যাপে। Salary credited?  মেসেজটা দেখে একটু চমকে উঠলাম আমি বহুদিন পর।  সত্যিই তো অসাধারন ভালো লাগার এই মেসেজটা। যা দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো বহুদিন পর। কিছু কিছু খবর, কিছু কিছু বার্তা যেনো কেমন সব ভালোবাসার স্পর্শ আর সুখের অনুভূতি দিয়ে যায় এই ভাবেই হয়তো। যাকে ধরে বেঁচে থাকতে বড়ো ইচ্ছা হয় আমার।  বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে অবিরাম। অবিশ্রান্ত এই বৃষ্টি ভেজা দুপুরে এই আচমকা একটা মেসেজ কেমন যেন এলোমেলো করে দিলো আমার থমকে দাঁড়িয়ে পড়া জীবনকে। যে জীবনের রাস্তায় বহুদিন আগেই তো এমন মাসের শেষে হঠাৎ করেই চূড়ান্ত কাজের মাঝে, ভিড়ের মাঝে, ব্যাস্ততার মাঝে, দৌড়ে বেড়াবার মাঝে এই ভাবেই তো এমন মেসেজ আসতো একদম নিয়ম করেই। একদম দিনক্ষণ ধরে ঘড়ি ধরে নিয়ম করে তিথি নক্ষত্র মেনে এই মেসেজ আসতো আমার কাছে, আরোও অন্য সবার কাছে। কিন্তু মেসেজ এলেও হাজার কাজের চাপে একঝলক সেই মেসেজে চোখ বুলিয়ে আবার ফিরে যেতাম কাজের জগতে।  এটাই তো...

বন্ধুত্ব দিবস

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ বন্ধুত্বের দিবস পালিত হয়ে যাবার পর আমি আজ লিখতে বসলাম আমাদের সেই দুজনের বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু কথা। আসলে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা তার ব্যাপ্তি এত বিরাট যে তাকে বোঝাবো কি করে। এটা ভাবতে ভাবতেই যে একটা গোটা দিন কেটে গেল আমার। আসলে জীবনে কে বন্ধু আর কে বন্ধু নয় সেটার ফারাক বুঝতে বুঝতেই যে জীবন ফুরিয়ে যায় আমাদের। কখনও যাকে বন্ধু ভেবে যার দিকে হাত বাড়িয়ে দি আমি কিন্তু পরক্ষণে বুঝতে পারি না ভুল করেছি আমি।  বন্ধুত্বের সংজ্ঞায় এটাই তো বলা আছে যে শ্মশানে, রাজদ্বারে, দুর্ভিক্ষে যে কোনো পরিস্থিতিতে সব জায়গায় তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে, সাহায্যে করে সেই তো তোমার পরম বন্ধু। পুরান শাস্ত্রে এমন সব কথাই বলা আছে তো মনে হয়। আসলে এসব তো কথার কথা। বন্ধুত্ব দিবসের দিন নিজের ঘর ঝার পোছ করতে বসে আমি কত কিছুই যে ভেবে চলেছি কে জানে। আমি যার কথা আজ লিখতে বসেছি তার সাথে আলাপ আমার সেই কলেজ জীবনে।  আমি তখন সবে কলেজে পা দিয়েছি। কলেজের ম্যাগাজিন তে লেখা বেরিয়েছে একজনের মরার মত বাঁচা লেখক এর নাম ভজন দে। আর সেই লেখকের খোঁজ করতে গিয়েই তো পেলাম শ্রী...

দাঁড়িয়ে পড়া ট্রেন

লাল সিগন্যালে দাঁড়িয়ে গেছে ট্রেন। স্টেশনের পাশে ফাঁকা আদিগন্ত সবুজ মাঠ। সোনাঝুরি গাছের পাতায় তির তিরে লাজুক কাঁপন। হালকা মিঠে হাওয়ার ঝাপটা আমার গায়ে লাগছে ট্রেনের জানলা দিয়ে। পশ্চিমে তখন ঢলে পড়েছে গনগনে লাল সূর্য। একটু আগেই নদী পেরিয়ে তরতর করে যে ট্রেন হুইশেল দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল দুদ্দার করে নিজের লক্ষ্যে, সেই ট্রেন এখন স্থবির। এদিক ওদিক সবাই কেমন চুপ করে বসে বা দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষা করছে সবাই, কখন ছাড়বে ট্রেন।  আর তার মাঝে ট্রেনের কামরায় বাউল এর ভাব তত্ত্বের গান, মানুষ মরলে বিচার হবে কার। বড়ো সত্যিই কথা বলল যে ওই বাউল। দূরে আদিগন্ত সবুজ মাঠের শেষ প্রান্তে কেমন কালো মেঘের চূড়োয় সূর্যের সোনা রংয়ের আভা ছড়িয়ে পড়ছে চুপি চুপি। ঠিক যেনো ভালবাসার অনুরাগে রঞ্জিত প্রথম প্রেমের ছটা লেগেছে মেঘের চূড়োয় এদিক থেকে ওদিক। ঘরে ফেরা আনমনা পাখির ডানায় সেই লজ্জার লাল আভার মাখামাখি। অনেকক্ষণ হলো আমার যে ট্রেন যেখানে যাবার কথা ছিল সে আর যাচ্ছে না কিছুতেই। ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম আমি। স্টেশনের বোর্ডে লেখা নোয়াদার ঢাল। দূরে তাকিয়ে দেখলাম লাল সিগন্যাল জ্বল জ্বল কর...

ডাক্তারবাবু ও আমি

আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমি বহু পুরোনো দিনের নানা পেশার মানুষের কথা আমি লিখছি বেশ কিছুদিন ধরেই। আজ একজন চিকিৎসকের কথা বলব আপনাদের। যাকে কখনও দাদা বলে সম্বোধন করেছি। আবার কোনো সময় ডাক্তারবাবু বলেছি। যে কোনো সময় নির্দ্বিধায় ফোন করেছি তাঁকে। হাসি মুখে ফোন ধরে বলেছেন বল কি হয়েছে।  কবে যে আলাপ হয়েছিল আমার সাথে ডাক্তার বাবুর সেটা আজ আর আমার ঠিক মনে নেই। শুধু এটা মনে পড়ে খবরের সূত্রে ওনার সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। সেই চুঁচুড়া সদর ইমামবাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার আশীষ মণ্ডল এর সাথে যোগাযোগ প্রায় সব সাংবাদিকের। ডাক্তারবাবু এই হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু যে কোনো দরকারে কোনো সমস্যা হলে যে কোনো সময় তাঁকে ফোন করলেই মুশকিল আসান। সে গল্প পরে বলছি।  বরাবর ডাক্তার বাবুর সাথে সাংবাদিকদের সুসম্পর্ক দেখা যেতো। জেলায় টিভি চ্যানেলে কাজ করার সুবাদে আমার সাথেও ডাক্তার বাবুর ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। শুনেছি ছোটো বেলা থেকেই তাঁর খবরের কাগজের প্রতি বেশ ভালোবাসা ছিল। নিজের গ্রাম হাওড়া জেলার রসপুরে তিনি বহু বিখ্যাত সাংবাদিকদের তাঁ...