ভালোবাসার নরম পশমের জড়োয়া জড়িয়ে, জীবনকে ফের নতুন করে আঁকড়ে ধরা আর একবার।
ভালবাসার গভীর গোপন বন্ধনে, নিজেকে সঁপে দেওয়া রাস্তার পাশে পড়ে থাকা, ওই রথের রশির মত।
যেখানে হাজার মানুষের ভিড়, পদস্পর্শ, হাজার মানুষের ভালোবাসার টান, সুখের আবেশ,
যে সুখের পরশে কেঁপে কেঁপে উঠি আমি আচম্বিত।
রাতের অন্ধকারে আচমকা কেমন যেনো থমকে, দাঁড়িয়ে পড়ে আমার হৃৎপিণ্ডের, দুর্বার গতির কু ঝিক ঝিক রেল গাড়ী।
শ্লথ হয় আমার জীবনের অস্ফুট পদচারণার ক্লান্ত পদক্ষেপ।
আমি দেখি অন্ধকার রাস্তায়, কেমন সর্পিল আলোকবর্তিকা হাতে, একদল মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে, আমার চারপাশে গোল হয়ে।
যারা খুব চেনা মুখ এর ভীড়ে মিশে গেছে রাস্তার পাশে, এঁদো গলির অন্ধকার মুখে।
যে রাস্তার পাশে নর্দমার ধারে ফুটে আছে, উজ্জ্বল হলুদ জংলী ফুল।
শ্যাওলা পড়া সবজে দেওয়ালে, কেমন হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা গোল হয়ে।
আমায় দুর থেকে দেখে ওদের, মাথা দুলিয়ে কি
চকিতের মিটি মিটি হাসি বিনিময়।
ঠিক যেনো সবুজ মাঠে চোর কাঁটার নিশ্চুপ আলিঙ্গন।
চোরা শ্রোতের ঢেউ বয়ে যায়, জীবনের উপল বধ্যভূমিতে।
হরিণের সিংয়ের ধাক্কায় দ্বিখণ্ডিত হয় জীবনের,
সর্পিল গতি।
যে শ্রোতের বিপ্রতীপ গতি আমায় নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
জীবনের পশমী জড়োয়ার উত্তাপ গায়ে মেখে বেঁচে থাকি আমি।
জড়োয়ার উত্তাপ - অভিজিৎ বসু।
পয়লা জুন, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন