শহরের রাস্তায় উপচে পড়া ভীড়, চারিদিকে আলোর গনগনে উপস্থিতি, অন্ধকারে জোনাকির মতো সেঁধিয়ে থাকাই দায়।
কত চেনা মুখের আঁকা বাঁকা দীঘল সারির সর্পিল, বিচিত্র সব রং মাখা লাইন।
এবড়ো খেবড়ো লাইনে দাঁড়িয়ে আছি আমি আলগোছে, সন্তর্পনে, ভীরুতায়।
যেনো ঠিক উত্তুরে মাঠের ধারে, তালগাছে ঝুলে থাকা বাবুই পাখির বাসার মত।
ঠিক যেনো দেওয়ালে টাঙ্গানো পুরোনো ক্যালেন্ডারের, সব চেনা পাতার খসখসে আওয়াজ।
এদিক ওদিক রাস্তার সেই পুরোনো চেনা গলিপথে, গুমোট গরমের হাওয়া মাখা পুরোনো ঘর বাড়ি, আজও দাঁড়িয়ে আছে একই ভাবে।
যে পথে কেটেছে আমার বহুকাল, বহু সময়।
জীবনের সেই ওম মাখা হাতছানিতে, সাড়া দিতে ইচ্ছা করে বার বার।
ছোটবেলার ধুলো মাখা পথে আজ কংক্রিটের সারি, ভীড় জমিয়েছে আপন মনে।
বাড়ির শ্যাওলা ধরা উঠোনে ঘাসের ডগায় হলুদ মন, কেমন করা দাগ।
ভেঙে পড়া বাড়ির বারান্দায় ঝুলে থাকা টিয়ার মন, কেমন করা ডাক।
তুলসী তলায় শুকনো মঞ্জরী ধরা তুলসীর মন কেমন করা গন্ধ।
বাড়ির সামনের রকে বসে থাকা সেই সব অতীত অতিথিরা।
সব হারিয়ে গেছে এই শহরের আলোর ভীড়ে ভীড় করে।
হারিয়ে গেছে আমার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ।
জোনাকির আলো - অভিজিৎ বসু।
বারই জুন, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন