সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোথায় আষাঢ়

আষাঢ় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে॥
বাদলের ধারা ঝরে ঝরো-ঝরো, আউষের ক্ষেত জলে ভরো-ভরো,
কালিমাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ্‌ চাহি রে॥
ওই শোনো শোনো পারে যাবে ব'লে কে ডাকিছে বুঝি মাঝিরে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে।
পুবে হাওয়া বয়, কূলে নেই কেউ, দু কূল বাহিয়া উঠে পড়ে ঢেউ--
দরো-দরো বেগে জলে পড়ি জল ছলো-ছল উঠে বাজি রে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে॥

ওই ডাকে শোনো ধেনু ঘন ঘন, ধবলীরে আনো গোহালে
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ওগো দেখ্‌ দেখি, মাঠে গেছে যারা তারা ফিরিছে কি,
রাখালবালক কী জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে॥

ওগো, আজ তোরা যাস নে গো তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার, বেলা বেশি আর নাহি রে।
ঝরো-ঝরো ধারে ভিজিবে নিচোল, ঘাটে যেতে পথ হয়েছে পিছল--
ওই বেণুবন দোলে ঘন ঘন পথপাশে দেখ্‌ চাহি রে॥
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।

আষাঢ় মাসের এই কবিতার কথায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন কতদিন আগেই। যে বর্ষার ঘন ঘোর রূপ দেখে কবিও নিজেই যেনো কেমন উতলা হয়ে এই লেখা লিখলেন। প্রকৃতির এই অবিরাম বাদল ধারা ঝরে পড়লো তাঁর লেখনীতে। মাঠ ঘাট প্রান্তরের বর্ষণ সিক্ত রূপ দেখে কবির হৃদয় মথিত হলো। উদ্বিগ্ন হলেন তিনি। আসলে বেণু বনের দোলায় কবির হৃদয় দুলে উঠলো। তাঁর কলমে ফুটে উঠলো আষাঢ় মাসের এই রূপের কথা। 
যে আষাঢ়ের মেঘমালা, তার গম্ভীর ঘন কালো রূপ আর আজকাল দেখা মেলাই ভার। বলতে কি সেই বিখ্যাত লাইন আষাঢ়স্য প্রথম দিবসের কথা মনে পড়ে যায়। আসলে ভেজা বর্ষার রূপ,রস,গন্ধ, বর্ন তার স্পর্শ আলাদা। যে বর্ষায় সিক্ত হয়ে শরীর মন কেমন ভালো হয় যায়। গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছা করে আমার।
 ভেজা গাছের ডালে বসে ওই বুড়ো কাক আর তার ঝগড়া করা বুড়ী কাক বউ কেমন কাক চান করে মহানন্দে দুজনে মিলেমিশে একসাথে। জলে ভেজে হাপুস নয়নে। আর সেটা দেখে ভেজা শালিখের ঠোঁটের ডগায় হলুদ মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে পড়ে। আমি তো সেটা দেখে ঘরে বসে মিটি মিটি হাসি আপন মনে। 
আর ঠিক সেই সময় দুর ধূসর মাঠের মাঝে সবুজ ঘাসের দল আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে আয় আয়। আমিও কেমন ওই বুড়ো কাকের মত বদলে যাই। খিটখিটে আমি কেমন সিক্ত হই বর্ষার কাঁচা নরম জলে। আসলে ছোটো বেলার কথা মনে পড়ে যায় আমার। 
এই ঘোর বর্ষার দিনে অন্ধকার নেমে এলেও কেমন বেশ কাদা মাখা মাঠে একটা গোল বল নিয়ে দৌড়ে বেড়াতাম সবাই মহানন্দে। ভেজা পিচ্ছিল মাঠের মাঝে পড়ে গিয়েও উঠে আবার দৌড়ে সামিল হতাম আমরা সবাই মিলে। সত্যিই কি যে মজা হতো সেই সময়।আর সেই সন্ধ্যার পরে যখন বাড়িতে শঙ্খ বেজে যেত তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলে যেতো। সেই সময় কাদা মেখে ঘরে ফিরতাম আমি ভয়ে ভয়ে। তারপর ভর সন্ধ্যেয় আমি কাঁপতে কাঁপতে চান করে নিতাম চুপি যেনো কেউ টের না পায়। 
আসলে এসব মনে পড়ছে এই কারণে যে বর্ষার দাপটে নাজেহাল হতো আমাদের শৈশব সেই বর্ষা তো আজকাল একদম ভ্যানিশ হয়ে গেছে। সাথে সাথে ভ্যানিশ আমাদের ছোটবেলার সেই দিন গুলোও। বর্ষায় সিক্ত হয়ে সেই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় কাগজের নৌকা করে জলে ডোবা রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া আর অনেক দূর থেকে সেই সাদা কাগজের নৌকার জলযাত্রা দেখে মুগ্ধ হয়ে দুরপানে তাকিয়ে থাকা। এই ছবি আজও অমলিন আমার স্মৃতিতে। 
আর সেই যে টোকো মাথায় করে বর্ষায় জলে ভিজে সবুজ ধান বুনতে নামতো যে মুনিশরা ধান জমিতে। কেমন যেনো সব আনন্দ করে কাজ করত তারা হাসি মুখে জলে ভিজে একশা হয়ে এ আর গায়ে ঢলে পড়ে। কোনোদিন তো তাদের মুখে কোনো অভাব অভিযোগ শুনিনি। মুড়ি, আলুর তরকারি আর একটু গুড় গামছায় বেঁধে সকাল থেকে দুপুর অবধি তারা মহানন্দে অপরের জমিতে ধান বুনত কেমন হাসি মুখে। কেমন যেনো একটা বৃষ্টি ভেজা, জলে ভেজা ভালবাসা ছিল জীবনের সেই সময়ে। 
না, এটা কোনো বর্ষার রচনা নয়। জলে ভেজা শৈশবের কথা মাত্র। জলে ভেজা কৈশোরের জোলো প্রেম। আর যৌবনের জল ফড়িং এর তিরতির করে উড়ে বেড়ানোর কথা আর কি। কতদিন যে বর্ষায় ঘরের জানলা দিয়ে বসে লোহার ঠাণ্ডা রডে থুতনি ঠেকিয়ে আকাশ দেখা হয়নি আমার। কতদিন যে রাস্তায় নৌকো ছেড়ে তার চলে যাওয়া দেখা হয়নি। কতদিন যে ভেজা মাঠে জল কাদা মেখে দৌড় দেওয়া হয় নি আমার। 
সত্যিই তো জীবনের এই জলে ভেজা রাস্তা আজ যেনো বড়ো শুকনো খটখটে। ভেজা রাস্তার স্বাদ জীবন থেকে আলাদা হয়ে গেছে যেনো বহুদিন হলো। আকাশে আর সেই ঘন কালো মেঘমালার আর দেখা নেই। যে কালো চুল এলিয়ে হাসি মুখে আকাশ জুড়ে বিরাজ করতো সে। দিন রাত করা ঝর ঝর মুখর বাদল দিনের সেই মন কেমন করা ডাক আর নেই। ভেজা মনের গভীরে সিক্ত ভালবাসার স্পর্শও নেই। সত্যিই তো কতই না বদলে গেলো আমার বড়ো প্রিয় সেই আষাঢ়। যে আষাঢ় আমায় ছেড়ে চলে গেছে বহুদিন আগেই। 

কোথায় আষাঢ় - অভিজিৎ বসু।
তেরো জুলাই, দু হাজার চব্বিশ।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে চন্দ্রাণী

কখনও কুম্ভ মেলায় হাজির। আবার কখনও রাজনৈতিক দলের ঝাণ্ডা কাঁধে দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি রাস্তা দিয়ে একমনে ধীর পায়ে। আবার কোনোও সময় গঙ্গাসাগর সঙ্গমে তো আবার কোনোও সময় হঠাৎ করেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে কিম্বা সোনাঝুড়ির হাটে পৌঁছে গেছেন তিনি হাসি মুখে পরিবার নিয়ে। আর এইসবের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়েছেন শুনে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা অন্য দূরের উত্তরপাড়া হাসপাতালে চলে গেছেন তিনি বাড়ীর কাউকে কিছুই না জানিয়েই। একদম স্বতস্ফূর্ত ভাবেই অন্য কারুর বিপদে এই ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়া হাসি মুখেই। যা আমার মার অসুস্থ অবস্থায় করেছিলেন তিনি কাউকে কিছুই না জানিয়ে রিষড়ার হাসপাতাল থেকে সোজা উত্তরপাড়ার হাসপাতালে চলে গেলেন সেদিন। আবার কোনো সময় সাংবাদিকদের কোনও অনুষ্ঠানে হাসিমুখেই হাজির হয়েছেন তিনি সবার সাথে মিলেমিশে। আর সেই তাঁর সোজা গাড়ী করে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে রিষড়া রেলগেট পার হয়ে সোজা, একদম সোজা সটান অমৃত কুম্ভের সন্ধানে কুম্ভ মেলায় হাজির হলেন তিনি কোনোও কিছু না ভেবেই চিন্তা না করেই। এতো পাপ মোচন করতে বা পূণ্য সংগ্রহ করতে ...

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

আমাদের সবার মিল্টনদা

“স্মৃতি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হবে। নতুন স্মৃতির পলি পড়বে। কোনও একদিন যক্ষের মতো কোনও এক নির্জন ঘরে সিন্দুকের ডালা খুলব। ক্যাঁচ করে শব্দ হবে। ভেতরে দেখব থরে থরে সাজানো আমার জীবনের মৃতঝরা মুহূর্ত। মাকড়সার ঝুলে ঢাকা, ধূসর। তখন আমি বৃদ্ধ; হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে। চুল সাদা। চোখদুটো মৃত মাছের মতো। এই তো মানুষের জীবন, মানুষের নিয়তি। এই পথেই সকলকে চলতে হবে। বর্তমানের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে না পারলে, অতীত বড় কষ্ট দেয়।” ― সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় , লোটাকম্বল হ্যাঁ, সত্যিই তো, অতীত বড়ো কষ্ট দেয় আমাদের এই রাত বিরেতে। দু চোখের পাতা এক হয় না কিছুতেই। রাত কেটে ভোর হয়, আলো ফোটে তবু সিন্দুকের ডালা খুলে বেরিয়ে আসে নানা স্মৃতি, নানা মুখ, নানা চরিত্র, নানা ঘটনা। হ্যাঁ, আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় হুগলীর বিখ্যাত দাপুটে সাংবাদিক মিল্টন সেন এর কথা। ওর সেই হাসি খুশি মিষ্টি ভদ্র ব্যবহার, সব সময় মুখে ভালো কথা। আমার মত খারাপ বদনাম নেই ওর কোথাও। সবার সাথে নেতা, মন্ত্রী, পুলিশ অফিসার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলা মিল্টন এর বড়ো প্লাস পয়েন্ট।  সে যাক প্রথম ওর...

আইচ আর মাটির সংসার

আইচ আর মাটি। ফ ব মানে সেই বিখ্যাত কুচবিহার জেলার কমল গুহ আর মাটি মনে দেবমতী এই দুজনের বিখ্যাত মিডিয়ার জুটি। সেই সব সময় যে আইচ অফিস, বাড়ী নিয়ে নানা ভাবেই চাপে নাজেহাল হয়ে থাকে সব সময়। বর্তমানে কাগজে কাজ পেয়েও যে পরে চার কোনা বোকা বাক্স টিভির দুনিয়ায় ঢুকে পড়ল যে আইচ বলে ছেলেটি। যে রাজনীতির পাঠশালায় বেশ ভালই। সেই আমাদের এক সময়ের বিখ্যাত চ্যানেল এর পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই ২৪ ঘণ্টায় বিখ্যাত লোকজনের সাথে ওর কাজ করা। সব আকাশ থেকে নেমে আসা লোকজন আর স্বর্ণযুগের সেই বিখ্যাত সংসার। যে সংসার একদিন আবার ভেঙেও গেলো কেমন করে যেন। যে ভাঙা সংসারে ভাঙনের মুখে আমার কাজের সুযোগও ঘটে।  সেখানেই শুভ্রজিৎ আইচ আর দেবমতীর আলাপ, ঘর, মাটির সংসার পাতা আর নানা ভাবেই ওদের বেড়ে ওঠা একটা সুন্দর পরিবারকে নিজের মত করে গড়ে নিয়ে। কখনও এক মিডিয়ার অফিসে কাজ করে এক দফতর বা সেই ডেস্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে অ্যাসাইন মেন্টের টেবিলে বদলি হয়ে চাকরি করা ওদের দুজনের একে অপরকে দূরে সরে গিয়ে। আবার সেখানেও জলের নিচে পা কাটা হাঙ্গরের দলবল ঘুরছে বলে এক চেনা অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে চলে যাওয়া ওর ...

ওই খানে মা পুকুর পাড়ে

ওইখানে মা পুকুর-পাড়ে জিয়ল গাছের বেড়ার ধারে হোথায় হবে বনবাসী,           কেউ কোত্থাও নেই। ওইখানে ঝাউতলা জুড়ে বাঁধব তোমার ছোট্ট কুঁড়ে, শুকনো পাতা বিছিয়ে ঘরে           থাকব দুজনেই। বাঘ ভাল্লুক অনেক আছে- আসবে না কেউ তোমার কাছে, দিনরাত্তির কোমর বেঁধে           থাকব পাহারাতে। রাক্ষসেরা ঝোপে-ঝাড়ে মারবে উঁকি আড়ে আড়ে, দেখবে আমি দাঁড়িয়ে আছি           ধনুক নিয়ে হাতে। .......রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপ টুপ বৃষ্টির দুপুরে এই কবিতার লাইন গুলো দেখে। মনে পড়ে গেলো মার কথা। বাইরে একটানা বৃষ্টির একটা অদ্ভুত আওয়াজ। কখনো কখনো বেশ জোরে, কোনো সময় একটু কম। মাথার মধ্যে কেমন ঝিম ঝিম করছে এই বৃষ্টির টানা আওয়াজ শুনে।  একটানা আওয়াজে কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভাব। গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে একদম চুপ চুপে হয়ে গেছে। পাতার ডগা থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ছে নিচে।গাছের পাতাগুলোর অসময়ে স্নান করে ওদের আবার শরীর খারাপ না হয়।  জানলার ধারে সারাদিন ধরে যে পায়রা গুলো বসে থাকতো আর বক বকম করতো।...