ভেজা মাঠের মাঝে লুকিয়ে আছে এক টুকরো শিশিরের জলকণা।
অন্ধকারের পথ ধরে এগিয়ে চলা জল, জঙ্গল, মাঠ পেরিয়ে অচিনপুরের দিকে।
দূরে ঝি ঝি পোকার নিশ্চিন্ত মন কেমন করা ডাক।
কাঠবিড়ালির চকিত চাহনি, আর শালিখের ঠোঁটের স্পর্শ।
দূরে ট্রেনের চাকায় লুকিয়ে থাকা ঘসটানো ঘড়ঘড় শব্দ ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
আর মনের মাঝে গুমড়ে ওঠা বালিয়াড়ির বাঁধ ভাঙা ঢেউ ওঠে।
কেমন যেনো থমকে যাই আমি আচমকাই রাত দুপুরে।
জল ফড়িং এর তিরতিরে ডানার ঝাপটায় নাজেহাল হই আমি।
তবু ভেজা মাঠের গন্ধে আকুল হই আমি।
শালুক ফুলের সবজে শ্যাওলা ধরা পাতায় তখন পিছলে পড়া রোদের হালকা উত্তাপ।
দীঘির পাড়ে কলসী কাঁখে কালো রঙের সেই জলপরীর আলতো পায়ের ছাপ।
টলটলে দীঘির জলে ভেঙে পড়া কালো মেয়ের মুখ।
চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনি জলপরীর সেই মন কেমন করা ডাক।
জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভেসে যায় আমার জলপরীর ছায়া।
জলপরীর ডাক - অভিজিৎ বসু।
এগারো জুলাই, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন