সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পতিবাদে মুখর আমাদের ক্লাব

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধুই হাসপাতালে এক চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের পতিবাদের গৌরবোজ্জ্বল কিছু কথা। যে পতিবাদ, কিন্তু না সেটা প্রতিবাদ নয় আপনারা কিন্তু ভালো করে শুনে নিন বা দেখে নিন। পতিবাদের মানে সেই প্রতিবাদের ঝাঁজ উবে গেছে অনেকটাই কিন্তু এতদিন পরে। কারণ ঘটনা ঘটার পর দেরি করে প্রতিবাদ দেখানোর জন্যে।

 জেগে ঘুমোনো এক গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে আগলে রেখে কিছু মানুষ যদিও আড়মোড়া ভেঙ্গে পাশ ফিরে অবশেষে প্রতিবাদ দেখাতে পারলেন অনেক কষ্ট করে। এটাই বা কম কথা কি বলেন আপনারা। তার জন্যে কম কাঠ খড় পোড়াতে হয়নি কিন্তু। যারা তাদের বুকে সাহস নিয়ে এটা করতে পারলেন তাদের স্যালুট জানাই যদিও তার জন্য কত অনুমোদন, গোল টেবিল এর বৈঠক, চা আর কফি খেতে খেতে চশমার ফাঁক দিয়ে কত ভাবনা চিন্তা করা, কে কি ভাববে সেটা নিয়ে গবেষণা করা। একে অপরকে একমনে জরিপ করা। 
অবশেষে সেই সিদ্ধান্তে আসা যে পতিবাদ হতে পারে। মোমবাতি জ্বলতে পারে। এই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে আগলে রাখা এই তাদের প্রিয় ক্লাবের মাঠে। যদিও কিছুটা দেরি হলো ক্ষতি কি। বেটার লেট দ্যান নেভার। এক পক্ষ কাল পড়ে হলেও প্রতিবাদ তো হলো তাদের। বেশ সেজে গুজে দুঃখ মাখা মুখে পতিবাদ জানিয়ে নিজেদের ছবি তুলে আবার বাস ধরে ঘরে ফিরে যাওয়া। অন্ততঃ এটা তো প্রমাণ করা গেলো যে সবার মত তারাও সমাজের এই এত বড় ঘটনার পর একটা প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। যে ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে চারিদিক। কারণ তারা যে গণতন্ত্রের আসল সেবক। 
সত্যিই তো প্রতিবাদ, আন্দোলন, এসব বেশ এই ম্যাদা মারা জীবনের একটা বড় ব্যাপার। যে প্রতিবাদ আর আন্দোলন করেই তো এত বড় একটা বাস্তিল লাল দুর্গের পতন ঘটিয়ে দিলেন একজন বিশিষ্ট মহিলা রাজনীতিবিদ। শুধু নিজের মনের জোর আর জেদ এই দুটোকে সম্বল করে একা লড়ে গেছেন যিনি সারাটা জীবন। তাহলে সেই রাজ্যে প্রতিবাদ নিয়ে এত ছুতমার্গ কেনো কে জানে। কেনো এতো আলাপ আর আলোচনা, পরামর্শ নেওয়া কে জানে। প্রতিবাদে মুখর বাদল দিনে রাস্তায় মিছিল তো বেশ ভালই লাগে কি বলেন। 

আসলে আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এই পতিবাদ তার আসল গরিমা কিছুটা হারিয়ে ফেলে। মনে মনে ভাবে কি হবে যদি কেউ কিছু মনে করে, ভাবে কেনো এমন করছে তারা। গণতন্ত্রের ধারক বাহক যাঁরা সব খুব কাছের আপনার নিকটজন যদি তাঁরা কিছু মনে করেন। বাঁকা চোখে অবিশ্বাস করেন তাদের। তাহলে কি হবে তাদের। আর সেটা ভেবেই তো প্রায় এতগুলো দিন কেটে গেলো এই আয়োজন করতে। 

আমার মনে হয় সংবাদ মাধ্যমের একটি জনপ্রিয় প্রাচীন ক্লাব বা সংগঠন যাদের এতবড় একটা ঘটনার পর একটা প্রতিবাদ হবে কি না সেটা ভাবতেই এত দিন চলে যায় সেখানে এই সব বিখ্যাত সাংবাদিক লোকজন কি করে যে খবরের দুনিয়ায় দ্রুত গতিতে খবরের কাজ করেন খবর ধরান দ্রুত কে জানে। যাকগে আমিও তো সেই তাদের একটা অংশ কি আর করা যাবে। যদিও আমি সেই ঘটনা থেকে প্রতিবাদ থেকে অনেক দূরে বাস করি। কারণ আমি যে এখন বাতিলের দলে। 

ভালো লাগলো সমাজ মাধ্যমে কিছু ছবি দেখে। মোমবাতির কাঁপা কাঁপা শিখা দেখে। বিভিন্ন বিখ্যাত বিখ্যাত সব গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের সব পাহাদারদের দেখে। যাদের দেখলেই মন ভালো হয় যায়। শ্রদ্ধায় মাথা নীচু হয়ে যায়। ব্যানারে লেখা দেখে মন ভালো হয় দোষীদের বিচার চাই, শাস্তি চাই দেখে। সত্যিই তো এই টুকুর জন্য কত যে মিটিং আলোচনা সমালোচনা কে জানে।
 যাক গে শুধু দোষ দেখে লাভ কি। বাস্তিল লাল দুর্গের পতনের পরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে অবশেষে সবাই। বাদ যায়নি কেউ। ভয় পায়নি কেউ। এটাই তো সব থেকে বড়ো পাওয়া আমাদের। সত্যিই আর জি কর এর ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিলো। পতিবাদের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত উদ্ভাসিত সেই আমাদের সবার প্রিয় সবুজ ক্লাব। যে ক্লাব আমাদের মুক্তির দিশা দেখায়। আলোর পথ দেখায়। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে তার ক্যাডারদের সাহস দেখিয়ে বলে তুমি এগিয়ে যাও ভয় নেই আমরা তোমার সাথে আছি। মনটা এই বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় বড়ো ভালো হয়ে যায়। 

 পতিবাদে মুখর আমাদের ক্লাব - অভিজিৎ বসু।
তেইশে আগস্ট, দু হাজার চব্বিশ।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে চন্দ্রাণী

কখনও কুম্ভ মেলায় হাজির। আবার কখনও রাজনৈতিক দলের ঝাণ্ডা কাঁধে দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি রাস্তা দিয়ে একমনে ধীর পায়ে। আবার কোনোও সময় গঙ্গাসাগর সঙ্গমে তো আবার কোনোও সময় হঠাৎ করেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে কিম্বা সোনাঝুড়ির হাটে পৌঁছে গেছেন তিনি হাসি মুখে পরিবার নিয়ে। আর এইসবের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়েছেন শুনে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা অন্য দূরের উত্তরপাড়া হাসপাতালে চলে গেছেন তিনি বাড়ীর কাউকে কিছুই না জানিয়েই। একদম স্বতস্ফূর্ত ভাবেই অন্য কারুর বিপদে এই ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়া হাসি মুখেই। যা আমার মার অসুস্থ অবস্থায় করেছিলেন তিনি কাউকে কিছুই না জানিয়ে রিষড়ার হাসপাতাল থেকে সোজা উত্তরপাড়ার হাসপাতালে চলে গেলেন সেদিন। আবার কোনো সময় সাংবাদিকদের কোনও অনুষ্ঠানে হাসিমুখেই হাজির হয়েছেন তিনি সবার সাথে মিলেমিশে। আর সেই তাঁর সোজা গাড়ী করে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে রিষড়া রেলগেট পার হয়ে সোজা, একদম সোজা সটান অমৃত কুম্ভের সন্ধানে কুম্ভ মেলায় হাজির হলেন তিনি কোনোও কিছু না ভেবেই চিন্তা না করেই। এতো পাপ মোচন করতে বা পূণ্য সংগ্রহ করতে ...

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

আমাদের সবার মিল্টনদা

“স্মৃতি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হবে। নতুন স্মৃতির পলি পড়বে। কোনও একদিন যক্ষের মতো কোনও এক নির্জন ঘরে সিন্দুকের ডালা খুলব। ক্যাঁচ করে শব্দ হবে। ভেতরে দেখব থরে থরে সাজানো আমার জীবনের মৃতঝরা মুহূর্ত। মাকড়সার ঝুলে ঢাকা, ধূসর। তখন আমি বৃদ্ধ; হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে। চুল সাদা। চোখদুটো মৃত মাছের মতো। এই তো মানুষের জীবন, মানুষের নিয়তি। এই পথেই সকলকে চলতে হবে। বর্তমানের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে না পারলে, অতীত বড় কষ্ট দেয়।” ― সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় , লোটাকম্বল হ্যাঁ, সত্যিই তো, অতীত বড়ো কষ্ট দেয় আমাদের এই রাত বিরেতে। দু চোখের পাতা এক হয় না কিছুতেই। রাত কেটে ভোর হয়, আলো ফোটে তবু সিন্দুকের ডালা খুলে বেরিয়ে আসে নানা স্মৃতি, নানা মুখ, নানা চরিত্র, নানা ঘটনা। হ্যাঁ, আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় হুগলীর বিখ্যাত দাপুটে সাংবাদিক মিল্টন সেন এর কথা। ওর সেই হাসি খুশি মিষ্টি ভদ্র ব্যবহার, সব সময় মুখে ভালো কথা। আমার মত খারাপ বদনাম নেই ওর কোথাও। সবার সাথে নেতা, মন্ত্রী, পুলিশ অফিসার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলা মিল্টন এর বড়ো প্লাস পয়েন্ট।  সে যাক প্রথম ওর...

আইচ আর মাটির সংসার

আইচ আর মাটি। ফ ব মানে সেই বিখ্যাত কুচবিহার জেলার কমল গুহ আর মাটি মনে দেবমতী এই দুজনের বিখ্যাত মিডিয়ার জুটি। সেই সব সময় যে আইচ অফিস, বাড়ী নিয়ে নানা ভাবেই চাপে নাজেহাল হয়ে থাকে সব সময়। বর্তমানে কাগজে কাজ পেয়েও যে পরে চার কোনা বোকা বাক্স টিভির দুনিয়ায় ঢুকে পড়ল যে আইচ বলে ছেলেটি। যে রাজনীতির পাঠশালায় বেশ ভালই। সেই আমাদের এক সময়ের বিখ্যাত চ্যানেল এর পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই ২৪ ঘণ্টায় বিখ্যাত লোকজনের সাথে ওর কাজ করা। সব আকাশ থেকে নেমে আসা লোকজন আর স্বর্ণযুগের সেই বিখ্যাত সংসার। যে সংসার একদিন আবার ভেঙেও গেলো কেমন করে যেন। যে ভাঙা সংসারে ভাঙনের মুখে আমার কাজের সুযোগও ঘটে।  সেখানেই শুভ্রজিৎ আইচ আর দেবমতীর আলাপ, ঘর, মাটির সংসার পাতা আর নানা ভাবেই ওদের বেড়ে ওঠা একটা সুন্দর পরিবারকে নিজের মত করে গড়ে নিয়ে। কখনও এক মিডিয়ার অফিসে কাজ করে এক দফতর বা সেই ডেস্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে অ্যাসাইন মেন্টের টেবিলে বদলি হয়ে চাকরি করা ওদের দুজনের একে অপরকে দূরে সরে গিয়ে। আবার সেখানেও জলের নিচে পা কাটা হাঙ্গরের দলবল ঘুরছে বলে এক চেনা অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে চলে যাওয়া ওর ...

ওই খানে মা পুকুর পাড়ে

ওইখানে মা পুকুর-পাড়ে জিয়ল গাছের বেড়ার ধারে হোথায় হবে বনবাসী,           কেউ কোত্থাও নেই। ওইখানে ঝাউতলা জুড়ে বাঁধব তোমার ছোট্ট কুঁড়ে, শুকনো পাতা বিছিয়ে ঘরে           থাকব দুজনেই। বাঘ ভাল্লুক অনেক আছে- আসবে না কেউ তোমার কাছে, দিনরাত্তির কোমর বেঁধে           থাকব পাহারাতে। রাক্ষসেরা ঝোপে-ঝাড়ে মারবে উঁকি আড়ে আড়ে, দেখবে আমি দাঁড়িয়ে আছি           ধনুক নিয়ে হাতে। .......রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপ টুপ বৃষ্টির দুপুরে এই কবিতার লাইন গুলো দেখে। মনে পড়ে গেলো মার কথা। বাইরে একটানা বৃষ্টির একটা অদ্ভুত আওয়াজ। কখনো কখনো বেশ জোরে, কোনো সময় একটু কম। মাথার মধ্যে কেমন ঝিম ঝিম করছে এই বৃষ্টির টানা আওয়াজ শুনে।  একটানা আওয়াজে কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভাব। গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে একদম চুপ চুপে হয়ে গেছে। পাতার ডগা থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ছে নিচে।গাছের পাতাগুলোর অসময়ে স্নান করে ওদের আবার শরীর খারাপ না হয়।  জানলার ধারে সারাদিন ধরে যে পায়রা গুলো বসে থাকতো আর বক বকম করতো।...