সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধু ফেলে আসা এক বছর আগের সেই চেয়ার আর নতুন এক অফিস এর কথা। হ্যাঁ শুধুই সেই চেয়ার, টেবিল, গদি ওলা নরম সোফা, ঠান্ডা অফিস ঘর, আমার বাতিল হয়ে আটকে পড়া বদ্ধ জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে ঝকঝকে সুন্দর একটা জীবন এর সন্ধান পাওয়া, নিশ্চিন্ত জীবনের হাতছানি, পকেটে টাকার খস খস শব্দ, খুচরো পয়সার অভাব নেই কোনো আমার সাইড ব্যাগে। সত্যিই কি ভালো একটা জীবন।
মোবাইল ফোনে ঘন ঘন রিং বেজে ওঠা বার বার, ব্যস্ত জীবনের, ব্যস্ত মানুষের, ব্যস্ত ফোন। ফোনের ওপর প্রান্তে খবরের সন্ধান দেওয়া চেনা অচেনা নানা গলার মিঠে আর কঠিন সুরের ঝাপটা শোনা। কত মানুষের কাজের সন্ধান করে দেওয়া, বাতিল মাল হয়েও আমায় কাজ দেওয়া এমন একজন মালিকের সন্ধান পাওয়া যিনি আমায় ভরসা করেছিলেন অনেকটাই কিছুটা হয়তো বা ভালোবেসে ছিলেন তিনিও আমায়।
আসলে এসব কথা এই রাত দুপুরে হয়তো বলতাম না আমি এত দিন পরে প্রায় একবছর পড়ে। যা এত দিনে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে বহুদিন আগেই। তাকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া করে আর কি লাভ বলুন। কিন্তু ঠিক এক বছর আগের একটা ছবি আমার মোবাইল এর পর্দায় ভেসে উঠলো আজ এই দশ আগস্ট। কত চেনা মুখ এর সেই সব ছবি, সেই চেনা পথের চেনা রাস্তার ছবি যা দেখে মনে পড়ে গেলো কত কিছুই।
জীবনের ফেলে আসা সেই সব চেয়ার, টেবিল, পর্দা ঘেরা সুন্দর অফিস জীবনের গতি ফিরিয়ে দিয়েছিল হঠাৎ করেই আচমকা আমার। কিন্তু জীবনের গতিময়তাকে মেনে নিয়েই তো বেঁচেছিলাম আমি আনন্দ করে, কাজ করে, কাজের জগতে ডুব দিয়ে।
কেন যে হঠাৎ ছন্দপতন হলো কে জানে। হয়তো সেটা চেয়ারের মহিমা। গদিওলা চেয়ার, তার সুন্দর গর্বের হাতল, কায়দা করে ঘোরানো চেয়ারের সুন্দর ব্যবস্থা এসবের প্রভাবেই হয়তো ছন্দপতন হলো আমার। ছন্দপতন হলো সম্পর্কের।
সেই চেনা মুখ ক্রমেই অচেনা অজানা হয়ে গেলো দেখতে দেখতে। পথের মাঝে হাজারো জনতার ভিড়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো অচেনা অজানা মানুষের মতো চেনা মানুষের মুখ। সত্যিই চেয়ার এর কি মহিমা। আজ ভাবলেও কেমন অবাক লাগে আমার। আজ তাই এতদিন পর সেই কালো চেয়ার এর ছবি দেখে আমার মনে পড়ে গেলো কত কিছুই গভীর, গোপন ঘুম জড়ানো চোখের বিশ্বাস আর ভালবাসার কথা। আসলে এই মহিমা চেয়ার এর না অন্য কারুর আমি জানিনা। শুধু একটাই কথা জানি যে এমন চেয়ার এর দর্শন না পেলে কত কিছুই যে জীবনে দেখা বাকি থেকে যেতো আমার কে জানে।
তাই তো এমন অসময়ে এই সব সাদা জীবনের কালো অন্ধকার কথার আঁকিবুঁকি কাটতে বসেছি আমি এই রাত দুপুরে। যেখানে আমায় শুনতে হয়েছে অসুস্থ আমি আর পারছি না কাজ করতে। আমি ইচ্ছা করে অসুস্থ্ হবার ভান করে অফিসে আসিনি এমন কথাও শুনতে হয়েছে আমায় ঠাণ্ডা ঘরে দাঁড়িয়ে। আসলে এই সবই চেয়ার এর মহিমা বোধহয়। তার জন্যে এমন হলো বুঝলেন না আপনারা। যদিও কিছুই মুখ ফুটে আমি বলিনি সব কথা শুনেও। চেয়ার টেবিল না থেকে যদি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সম্পর্কের টান থাকতো তাহলে কি আর এই সব কথা শুনতে হতো আমায়। মনে হয় না আসলে আমি যে সারাজীবন বড়ো বোকা।
তাই হয়তো এক বছর আগের কিছু পুরোনো দিনের ছবি দেখে আমি আবিল হই এই বয়সেও। আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি এত বুড়ো হয়েও। রাতের অন্ধকারে লেখার জন্য মনটা কেমন আঁকুপাঁকু করে ওঠে। না, লিখলে মনে হয় সাদা জীবনটা কি তাহলে একদম সাদামাটা ভাবেই কেটে যাবে আমার এইভাবে। শুধু ওই চেয়ার এর পানে তাকাই আমি। দেখি কেমন মিটি মিটি করে হাসছে সে আমার দিকে তাকিয়ে। আর ফিস ফিস করে বলছে এমন রাগ, অভিমান নিয়ে কি আর কাজ করা যায়। জীবনে সমঝোতা করে চলতে হয়। মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। না হলে এমন করেই পস্তাতে হয়।
নিজের শিরদাঁড়া একটু ঝুঁকিয়ে এমন ভারী চেয়ারকে প্রনাম জানিয়ে তবে কাজ করতে হয়। না হলে এই ভাবে রাত দুপুরে জেগে সেই পুরোনো চেয়ার এর ছবি দেখে হা হুতাশ করে কি লাভ হয় বলুন। সত্যিই কতদিন যে অফিস যাইনি আমি। জীবনের সেই দৌড়, খবরের জন্য দৌড়, খাবারের জন্য দৌড়, পকেটে টাকার খস খস শব্দ শুনতে পাইনি আমি। এসব ভাবলে মনটা খারাপ যায়।
আজ এতদিন পর কেমন যেন এলোমেলো ভাবনা এলেবেলে জীবনের মোরাম রাস্তায় নেমে পথ চলতে চলতে, জোনাকির আলোয় দেখলাম জীবনে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা বুঝতে পারলাম কিছুটা। আবেগ সর্বস্ব জীবন এর টানে পথ চলা ভালো। নাকি আবেগহীন হয়ে সংসারে কর্তব্য পালন করা ভালো। সেটাও বুঝতে পারলাম এত দিন পরে কিছুটা।
রাতের অন্ধকারে চেয়ার আমায় অনেক কিছুই শিখিয়ে দিলো চুপি চুপি। যা হয়ত সাদা জীবনের কালো কথায় লিখতে পারবো না আমি সবটা। কিন্তু সেই জীবনের অনুধাবনকে বুঝে চলতে শিখলাম কিছুটা এই জীবনে নতুন করে। শুধু এটাই জানি যে চেয়ার আমায় যতই ভয় দেখাক, এই বুড়ো বয়সে এসেও আমি শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে কারুর পা ধরে আর কাজ করতে পারবো না কোনোদিন। হয়তো জীবনে কষ্ট হবে বাঁচতে। তবুও হাজার কষ্ট সহ্য করেই বেঁচে থাকসাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধু ফেলে আসা এক বছর আগের সেই চেয়ার আর নতুন এক অফিস এর কথা। হ্যাঁ শুধুই সেই চেয়ার, টেবিল, গদি ওলা নরম সোফা, ঠান্ডা অফিস ঘর, আমার বাতিল হয়ে আটকে পড়া বদ্ধ জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে ঝকঝকে সুন্দর একটা জীবন এর সন্ধান পাওয়া, নিশ্চিন্ত জীবনের হাতছানি, পকেটে টাকার খস খস শব্দ, খুচরো পয়সার অভাব নেই কোনো আমার সাইড ব্যাগে।
মোবাইল ফোনে ঘন ঘন রিং বেজে ওঠা বার বার, ব্যস্ত জীবনের, ব্যস্ত মানুষের, ব্যস্ত ফোন। ফোনের ওপর প্রান্তে খবরের সন্ধান দেওয়া চেনা অচেনা নানা গলার মিঠে আর কঠিন সুরের ঝাপটা শোনা। কত মানুষের কাজের সন্ধান করে দেওয়া, বাতিল মাল হয়েও আমায় কাজ দেওয়া এমন একজন মালিকের সন্ধান পাওয়া যিনি আমায় ভরসা করেছিলেন অনেকটাই কিছুটা হয়তো বা ভালোবেসে ছিলেন তিনিও আমায়।
আসলে এসব কথা এই রাত দুপুরে হয়তো বলতাম না আমি এত দিন পরে প্রায় একবছর পড়ে। যা এত দিনে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে বহুদিন আগেই। তাকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া করে আর কি লাভ বলুন। কিন্তু ঠিক এক বছর আগের একটা ছবি আমার মোবাইল এর পর্দায় ভেসে উঠলো আজ এই দশ আগস্ট। কত চেনা মুখ এর সেই সব ছবি, সেই চেনা পথের চেনা রাস্তার ছবি যা দেখে মনে পড়ে গেলো কত কিছুই।
জীবনের ফেলে আসা সেই সব চেয়ার, টেবিল, পর্দা ঘেরা সুন্দর অফিস জীবনের গতি ফিরিয়ে দিয়েছিল হঠাৎ করেই আচমকা আমার। কিন্তু জীবনের গতিময়তাকে মেনে নিয়েই তো বেঁচেছিলাম আমি আনন্দ করে, কাজ করে, কাজের জগতে ডুব দিয়ে।
কেন যে হঠাৎ ছন্দপতন হলো কে জানে। হয়তো সেটা চেয়ারের মহিমা। গদিওলা চেয়ার, তার সুন্দর গর্বের হাতল, কায়দা করে ঘোরানো চেয়ারের সুন্দর ব্যবস্থা এসবের প্রভাবেই হয়তো ছন্দপতন হলো আমার।
সেই চেনা মুখ ক্রমেই অচেনা অজানা হয়ে গেলো দেখতে দেখতে। পথের মাঝে হাজারো জনতার ভিড়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো অচেনা অজানা মানুষের মতো চেনা মানুষের মুখ। সত্যিই চেয়ার এর কি মহিমা। আজ ভাবলেও কেমন অবাক লাগে আমার। আজ তাই এত দিন পর সেই কালো চেয়ার এর ছবি দেখে আমার মনে পড়ে গেলো কত কিছুই গভীর, গোপন ঘুম জড়ানো চোখের বিশ্বাস আর ভালবাসার কথা। আসলে এই মহিমা চেয়ার এর না অন্য কারুর আমি জানিনা। শুধু একটাই কথা জানি যে এমন চেয়ার এর দর্শন না পেলে কত কিছুই যে জীবনে দেখা বাকি থেকে যেতো কে জানে।
তাই তো এমন অসময়ে এই সব সাদা জীবনের কালো অন্ধকার কথার আঁকিবুঁকি কাটতে বসেছি আমি এই রাত দুপুরে। যেখানে আমায় শুনতে হয়েছে অসুস্থ আমি আর পারছি না কাজ করতে। আমি ইচ্ছা করে অসুস্থ্ হবার ভান করে অফিসে আসিনি এমন কথাও শুনতে হয়েছে আমায় ঠাণ্ডা ঘরে দাঁড়িয়ে। আসলে এই সবই চেয়ার এর মহিমা বোধহয়। তার জন্যে এমন হলো বুঝলেন না আপনারা। যদিও কিছুই মুখ ফুটে আমি বলিনি সব শুনেও। চেয়ার টেবিল না থেকে যদি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সম্পর্কের টান থাকতো তাহলে কি আর এই সব কথা শুনতে হতো আমায়। মনে হয় না আসলে আমি যে সারাজীবন বড়ো বোকা।
তাই হয়তো এক বছর আগের কিছু পুরোনো দিনের ছবি দেখে আমি আবিল হই এই বয়সেও। আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি এত বুড়ো হয়েও। রাতের অন্ধকারে লেখার জন্য মনটা কেমন আঁকুপাঁকু করে ওঠে। না, লিখলে মনে হয় সাদা জীবনটা কি তাহলে একদম সাদামাটা ভাবেই কেটে যাবে আমার এইভাবে। শুধু ওই চেয়ার এর পানে তাকাই আমি। দেখি কেমন মিটি মিটি করে হাসছে সে আমার দিকে তাকিয়ে। আর ফিস ফিস করে বলছে এমন রাগ, অভিমান নিয়ে কি আর কাজ করা যায়। জীবনে সমঝোতা করে চলতে হয়। মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়।
আমার নিজের শিরদাঁড়া একটু ঝুঁকিয়ে এমন ভারী চেয়ারকে প্রনাম জানিয়ে তবে কাজ করতে হয়। না হলে এই ভাবে রাত দুপুরে জেগে সেই পুরোনো চেয়ার এর ছবি দেখে হা হুতাশ করে কি লাভ বলুন। সত্যিই কতদিন যে অফিস যাইনি আমি। জীবনের সেই দৌড়, খবরের জন্য দৌড়, খাবারের জন্য দৌড়, পকেটে টাকার খস খস শব্দ শুনতে পাইনি আমি।
আজ এতদিন পর কেমন যেন এলোমেলো ভাবনা এলেবেলে জীবনের মোরাম রাস্তায় নেমে পথ চলতে চলতে, জোনাকির আলোয় দেখলাম জীবনে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা বুঝতে পারলাম কিছুটা। আবেগ সর্বস্ব জীবন এর টানে পথ চলা ভালো। নাকি আবেগহীন হয়ে সংসারে কর্তব্য পালন করা ভালো। সেটাও বুঝতে পারলাম এত দিন পরে। রাতের অন্ধকারে চেয়ার আমায় অনেক কিছুই শিখিয়ে দিলো চুপি চুপি। যা হয়ত সাদা জীবনের কালো কথায় লিখতে পারবো না সবটা। কিন্তু সেই অনুধাবনকে বুঝে চলতে শিখলাম কিছুটা এই জীবনে।
আমি শুধু এটাই জানি যে ওই চেয়ার আমায় যতই ভয় দেখাক রাতের অন্ধকারে। এই বুড়ো বয়সে এসেও আমি শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে কারুর পা ধরে আর কাজ করতে পারবো না আমি কোনোদিন। শুধু ওই চেয়ারের সামনে নতজানু না হয়ে, হাতজোড় না করে নিজের আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো জীবনের বাকি কটা দিন। শুধু একটা কথাই বলবো আমি চেয়ার আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। নিজের অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকুন আপনি।
চেয়ার এর কথা - অভিজিৎ বসু।
বারো আগস্ট, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন