সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চেয়ার এর কথা


সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধু ফেলে আসা এক বছর আগের সেই চেয়ার আর নতুন এক অফিস এর কথা। হ্যাঁ শুধুই সেই চেয়ার, টেবিল, গদি ওলা নরম সোফা, ঠান্ডা অফিস ঘর, আমার বাতিল হয়ে আটকে পড়া বদ্ধ জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে ঝকঝকে সুন্দর একটা জীবন এর সন্ধান পাওয়া, নিশ্চিন্ত জীবনের হাতছানি, পকেটে টাকার খস খস শব্দ, খুচরো পয়সার অভাব নেই কোনো আমার সাইড ব্যাগে। সত্যিই কি ভালো একটা জীবন।

 মোবাইল ফোনে ঘন ঘন রিং বেজে ওঠা বার বার, ব্যস্ত জীবনের, ব্যস্ত মানুষের, ব্যস্ত ফোন। ফোনের ওপর প্রান্তে খবরের সন্ধান দেওয়া চেনা অচেনা নানা গলার মিঠে আর কঠিন সুরের ঝাপটা শোনা। কত মানুষের কাজের সন্ধান করে দেওয়া, বাতিল মাল হয়েও আমায় কাজ দেওয়া এমন একজন মালিকের সন্ধান পাওয়া যিনি আমায় ভরসা করেছিলেন অনেকটাই কিছুটা হয়তো বা ভালোবেসে ছিলেন তিনিও আমায়। 
আসলে এসব কথা এই রাত দুপুরে হয়তো বলতাম না আমি এত দিন পরে প্রায় একবছর পড়ে। যা এত দিনে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে বহুদিন আগেই। তাকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া করে আর কি লাভ বলুন। কিন্তু ঠিক এক বছর আগের একটা ছবি আমার মোবাইল এর পর্দায় ভেসে উঠলো আজ এই দশ আগস্ট। কত চেনা মুখ এর সেই সব ছবি, সেই চেনা পথের চেনা রাস্তার ছবি যা দেখে মনে পড়ে গেলো কত কিছুই। 
জীবনের ফেলে আসা সেই সব চেয়ার, টেবিল, পর্দা ঘেরা সুন্দর অফিস জীবনের গতি ফিরিয়ে দিয়েছিল হঠাৎ করেই আচমকা আমার। কিন্তু জীবনের গতিময়তাকে মেনে নিয়েই তো বেঁচেছিলাম আমি আনন্দ করে, কাজ করে, কাজের জগতে ডুব দিয়ে।
কেন যে হঠাৎ ছন্দপতন হলো কে জানে। হয়তো সেটা চেয়ারের মহিমা। গদিওলা চেয়ার, তার সুন্দর গর্বের হাতল, কায়দা করে ঘোরানো চেয়ারের সুন্দর ব্যবস্থা এসবের প্রভাবেই হয়তো ছন্দপতন হলো আমার। ছন্দপতন হলো সম্পর্কের।
সেই চেনা মুখ ক্রমেই অচেনা অজানা হয়ে গেলো দেখতে দেখতে। পথের মাঝে হাজারো জনতার ভিড়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো অচেনা অজানা মানুষের মতো চেনা মানুষের মুখ। সত্যিই চেয়ার এর কি মহিমা। আজ ভাবলেও কেমন অবাক লাগে আমার। আজ তাই এতদিন পর সেই কালো চেয়ার এর ছবি দেখে আমার মনে পড়ে গেলো কত কিছুই গভীর, গোপন ঘুম জড়ানো চোখের বিশ্বাস আর ভালবাসার কথা। আসলে এই মহিমা চেয়ার এর না অন্য কারুর আমি জানিনা। শুধু একটাই কথা জানি যে এমন চেয়ার এর দর্শন না পেলে কত কিছুই যে জীবনে দেখা বাকি থেকে যেতো আমার কে জানে। 
তাই তো এমন অসময়ে এই সব সাদা জীবনের কালো অন্ধকার কথার আঁকিবুঁকি কাটতে বসেছি আমি এই রাত দুপুরে। যেখানে আমায় শুনতে হয়েছে অসুস্থ আমি আর পারছি না কাজ করতে। আমি ইচ্ছা করে অসুস্থ্ হবার ভান করে অফিসে আসিনি এমন কথাও শুনতে হয়েছে আমায় ঠাণ্ডা ঘরে দাঁড়িয়ে। আসলে এই  সবই চেয়ার এর মহিমা বোধহয়। তার জন্যে এমন হলো বুঝলেন না আপনারা। যদিও কিছুই মুখ ফুটে আমি বলিনি সব কথা শুনেও। চেয়ার টেবিল না থেকে যদি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সম্পর্কের টান থাকতো তাহলে কি আর এই সব কথা শুনতে হতো আমায়। মনে হয় না আসলে আমি যে সারাজীবন বড়ো বোকা। 
তাই হয়তো এক বছর আগের কিছু পুরোনো দিনের ছবি দেখে আমি আবিল হই এই বয়সেও। আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি এত বুড়ো হয়েও। রাতের অন্ধকারে লেখার জন্য মনটা কেমন আঁকুপাঁকু করে ওঠে। না, লিখলে মনে হয় সাদা জীবনটা কি তাহলে একদম সাদামাটা ভাবেই কেটে যাবে আমার এইভাবে। শুধু ওই চেয়ার এর পানে তাকাই আমি। দেখি কেমন মিটি মিটি করে হাসছে সে আমার দিকে তাকিয়ে। আর ফিস ফিস করে বলছে এমন রাগ, অভিমান নিয়ে কি আর কাজ করা যায়। জীবনে সমঝোতা করে চলতে হয়। মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। না হলে এমন করেই পস্তাতে হয়। 
 নিজের শিরদাঁড়া একটু ঝুঁকিয়ে এমন ভারী চেয়ারকে প্রনাম জানিয়ে তবে কাজ করতে হয়। না হলে এই ভাবে রাত দুপুরে জেগে সেই পুরোনো চেয়ার এর ছবি দেখে হা হুতাশ করে কি লাভ হয় বলুন। সত্যিই কতদিন যে অফিস যাইনি আমি। জীবনের সেই দৌড়, খবরের জন্য দৌড়, খাবারের জন্য দৌড়, পকেটে টাকার খস খস শব্দ শুনতে পাইনি আমি। এসব ভাবলে মনটা খারাপ যায়। 
আজ এতদিন পর কেমন যেন এলোমেলো ভাবনা এলেবেলে জীবনের মোরাম রাস্তায় নেমে পথ চলতে চলতে, জোনাকির আলোয় দেখলাম জীবনে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা বুঝতে পারলাম কিছুটা। আবেগ সর্বস্ব জীবন এর টানে পথ চলা ভালো। নাকি আবেগহীন হয়ে সংসারে কর্তব্য পালন করা ভালো। সেটাও বুঝতে পারলাম এত দিন পরে কিছুটা। 
রাতের অন্ধকারে চেয়ার আমায় অনেক কিছুই শিখিয়ে দিলো চুপি চুপি। যা হয়ত সাদা জীবনের কালো কথায় লিখতে পারবো না আমি সবটা। কিন্তু সেই জীবনের অনুধাবনকে বুঝে চলতে শিখলাম কিছুটা এই জীবনে নতুন করে। শুধু এটাই জানি যে চেয়ার আমায় যতই ভয় দেখাক, এই বুড়ো বয়সে এসেও আমি শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে কারুর পা ধরে আর কাজ করতে পারবো না কোনোদিন। হয়তো জীবনে কষ্ট হবে বাঁচতে। তবুও হাজার কষ্ট সহ্য করেই বেঁচে থাকসাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধু ফেলে আসা এক বছর আগের সেই চেয়ার আর নতুন এক অফিস এর কথা। হ্যাঁ শুধুই সেই চেয়ার, টেবিল, গদি ওলা নরম সোফা, ঠান্ডা অফিস ঘর, আমার বাতিল হয়ে আটকে পড়া বদ্ধ জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে ঝকঝকে সুন্দর একটা জীবন এর সন্ধান পাওয়া, নিশ্চিন্ত জীবনের হাতছানি, পকেটে টাকার খস খস শব্দ, খুচরো পয়সার অভাব নেই কোনো আমার সাইড ব্যাগে।
মোবাইল ফোনে ঘন ঘন রিং বেজে ওঠা বার বার, ব্যস্ত জীবনের, ব্যস্ত মানুষের, ব্যস্ত ফোন। ফোনের ওপর প্রান্তে খবরের সন্ধান দেওয়া চেনা অচেনা নানা গলার মিঠে আর কঠিন সুরের ঝাপটা শোনা। কত মানুষের কাজের সন্ধান করে দেওয়া, বাতিল মাল হয়েও আমায় কাজ দেওয়া এমন একজন মালিকের সন্ধান পাওয়া যিনি আমায় ভরসা করেছিলেন অনেকটাই কিছুটা হয়তো বা ভালোবেসে ছিলেন তিনিও আমায়। 
আসলে এসব কথা এই রাত দুপুরে হয়তো বলতাম না আমি এত দিন পরে প্রায় একবছর পড়ে। যা এত দিনে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে বহুদিন আগেই। তাকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া করে আর কি লাভ বলুন। কিন্তু ঠিক এক বছর আগের একটা ছবি আমার মোবাইল এর পর্দায় ভেসে উঠলো আজ এই দশ আগস্ট। কত চেনা মুখ এর সেই সব ছবি, সেই চেনা পথের চেনা রাস্তার ছবি যা দেখে মনে পড়ে গেলো কত কিছুই। 
জীবনের ফেলে আসা সেই সব চেয়ার, টেবিল, পর্দা ঘেরা সুন্দর অফিস জীবনের গতি ফিরিয়ে দিয়েছিল হঠাৎ করেই আচমকা আমার। কিন্তু জীবনের গতিময়তাকে মেনে নিয়েই তো বেঁচেছিলাম আমি আনন্দ করে, কাজ করে, কাজের জগতে ডুব দিয়ে।
কেন যে হঠাৎ ছন্দপতন হলো কে জানে। হয়তো সেটা চেয়ারের মহিমা। গদিওলা চেয়ার, তার সুন্দর গর্বের হাতল, কায়দা করে ঘোরানো চেয়ারের সুন্দর ব্যবস্থা এসবের প্রভাবেই হয়তো ছন্দপতন হলো আমার। 
সেই চেনা মুখ ক্রমেই অচেনা অজানা হয়ে গেলো দেখতে দেখতে। পথের মাঝে হাজারো জনতার ভিড়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো অচেনা অজানা মানুষের মতো চেনা মানুষের মুখ। সত্যিই চেয়ার এর কি মহিমা। আজ ভাবলেও কেমন অবাক লাগে আমার। আজ তাই এত দিন পর সেই কালো চেয়ার এর ছবি দেখে আমার মনে পড়ে গেলো কত কিছুই গভীর, গোপন ঘুম জড়ানো চোখের বিশ্বাস আর ভালবাসার কথা। আসলে এই মহিমা চেয়ার এর না অন্য কারুর আমি জানিনা। শুধু একটাই কথা জানি যে এমন চেয়ার এর দর্শন না পেলে কত কিছুই যে জীবনে দেখা বাকি থেকে যেতো কে জানে। 
তাই তো এমন অসময়ে এই সব সাদা জীবনের কালো অন্ধকার কথার আঁকিবুঁকি কাটতে বসেছি আমি এই রাত দুপুরে। যেখানে আমায় শুনতে হয়েছে অসুস্থ আমি আর পারছি না কাজ করতে। আমি ইচ্ছা করে অসুস্থ্ হবার ভান করে অফিসে আসিনি এমন কথাও শুনতে হয়েছে আমায় ঠাণ্ডা ঘরে দাঁড়িয়ে। আসলে এই  সবই চেয়ার এর মহিমা বোধহয়। তার জন্যে এমন হলো বুঝলেন না আপনারা। যদিও কিছুই মুখ ফুটে আমি বলিনি সব শুনেও। চেয়ার টেবিল না থেকে যদি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সম্পর্কের টান থাকতো তাহলে কি আর এই সব কথা শুনতে হতো আমায়। মনে হয় না আসলে আমি যে সারাজীবন বড়ো বোকা।
তাই হয়তো এক বছর আগের কিছু পুরোনো দিনের ছবি দেখে আমি আবিল হই এই বয়সেও। আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি এত বুড়ো হয়েও। রাতের অন্ধকারে লেখার জন্য মনটা কেমন আঁকুপাঁকু করে ওঠে। না, লিখলে মনে হয় সাদা জীবনটা কি তাহলে একদম সাদামাটা ভাবেই কেটে যাবে আমার এইভাবে। শুধু ওই চেয়ার এর পানে তাকাই আমি। দেখি কেমন মিটি মিটি করে হাসছে সে আমার দিকে তাকিয়ে। আর ফিস ফিস করে বলছে এমন রাগ, অভিমান নিয়ে কি আর কাজ করা যায়। জীবনে সমঝোতা করে চলতে হয়। মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। 
আমার নিজের শিরদাঁড়া একটু ঝুঁকিয়ে এমন ভারী চেয়ারকে প্রনাম জানিয়ে তবে কাজ করতে হয়। না হলে এই ভাবে রাত দুপুরে জেগে সেই পুরোনো চেয়ার এর ছবি দেখে হা হুতাশ করে কি লাভ বলুন। সত্যিই কতদিন যে অফিস যাইনি আমি। জীবনের সেই দৌড়, খবরের জন্য দৌড়, খাবারের জন্য দৌড়, পকেটে টাকার খস খস শব্দ শুনতে পাইনি আমি। 
আজ এতদিন পর কেমন যেন এলোমেলো ভাবনা এলেবেলে জীবনের মোরাম রাস্তায় নেমে পথ চলতে চলতে, জোনাকির আলোয় দেখলাম জীবনে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা বুঝতে পারলাম কিছুটা। আবেগ সর্বস্ব জীবন এর টানে পথ চলা ভালো। নাকি আবেগহীন হয়ে সংসারে কর্তব্য পালন করা ভালো। সেটাও বুঝতে পারলাম এত দিন পরে। রাতের অন্ধকারে চেয়ার আমায় অনেক কিছুই শিখিয়ে দিলো চুপি চুপি। যা হয়ত সাদা জীবনের কালো কথায় লিখতে পারবো না সবটা। কিন্তু সেই অনুধাবনকে বুঝে চলতে শিখলাম কিছুটা এই জীবনে। 
আমি শুধু এটাই জানি যে ওই চেয়ার আমায় যতই ভয় দেখাক রাতের অন্ধকারে। এই বুড়ো বয়সে এসেও আমি শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে কারুর পা ধরে আর কাজ করতে পারবো না আমি কোনোদিন। শুধু ওই চেয়ারের সামনে নতজানু না হয়ে, হাতজোড় না করে নিজের আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো জীবনের বাকি কটা দিন। শুধু একটা কথাই বলবো আমি চেয়ার আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। নিজের অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকুন আপনি। 

চেয়ার এর কথা - অভিজিৎ বসু।
বারো আগস্ট, দু হাজার চব্বিশ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে চন্দ্রাণী

কখনও কুম্ভ মেলায় হাজির। আবার কখনও রাজনৈতিক দলের ঝাণ্ডা কাঁধে দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি রাস্তা দিয়ে একমনে ধীর পায়ে। আবার কোনোও সময় গঙ্গাসাগর সঙ্গমে তো আবার কোনোও সময় হঠাৎ করেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে কিম্বা সোনাঝুড়ির হাটে পৌঁছে গেছেন তিনি হাসি মুখে পরিবার নিয়ে। আর এইসবের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়েছেন শুনে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা অন্য দূরের উত্তরপাড়া হাসপাতালে চলে গেছেন তিনি বাড়ীর কাউকে কিছুই না জানিয়েই। একদম স্বতস্ফূর্ত ভাবেই অন্য কারুর বিপদে এই ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়া হাসি মুখেই। যা আমার মার অসুস্থ অবস্থায় করেছিলেন তিনি কাউকে কিছুই না জানিয়ে রিষড়ার হাসপাতাল থেকে সোজা উত্তরপাড়ার হাসপাতালে চলে গেলেন সেদিন। আবার কোনো সময় সাংবাদিকদের কোনও অনুষ্ঠানে হাসিমুখেই হাজির হয়েছেন তিনি সবার সাথে মিলেমিশে। আর সেই তাঁর সোজা গাড়ী করে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে রিষড়া রেলগেট পার হয়ে সোজা, একদম সোজা সটান অমৃত কুম্ভের সন্ধানে কুম্ভ মেলায় হাজির হলেন তিনি কোনোও কিছু না ভেবেই চিন্তা না করেই। এতো পাপ মোচন করতে বা পূণ্য সংগ্রহ করতে ...

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

আমাদের সবার মিল্টনদা

“স্মৃতি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হবে। নতুন স্মৃতির পলি পড়বে। কোনও একদিন যক্ষের মতো কোনও এক নির্জন ঘরে সিন্দুকের ডালা খুলব। ক্যাঁচ করে শব্দ হবে। ভেতরে দেখব থরে থরে সাজানো আমার জীবনের মৃতঝরা মুহূর্ত। মাকড়সার ঝুলে ঢাকা, ধূসর। তখন আমি বৃদ্ধ; হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে। চুল সাদা। চোখদুটো মৃত মাছের মতো। এই তো মানুষের জীবন, মানুষের নিয়তি। এই পথেই সকলকে চলতে হবে। বর্তমানের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে না পারলে, অতীত বড় কষ্ট দেয়।” ― সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় , লোটাকম্বল হ্যাঁ, সত্যিই তো, অতীত বড়ো কষ্ট দেয় আমাদের এই রাত বিরেতে। দু চোখের পাতা এক হয় না কিছুতেই। রাত কেটে ভোর হয়, আলো ফোটে তবু সিন্দুকের ডালা খুলে বেরিয়ে আসে নানা স্মৃতি, নানা মুখ, নানা চরিত্র, নানা ঘটনা। হ্যাঁ, আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় হুগলীর বিখ্যাত দাপুটে সাংবাদিক মিল্টন সেন এর কথা। ওর সেই হাসি খুশি মিষ্টি ভদ্র ব্যবহার, সব সময় মুখে ভালো কথা। আমার মত খারাপ বদনাম নেই ওর কোথাও। সবার সাথে নেতা, মন্ত্রী, পুলিশ অফিসার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলা মিল্টন এর বড়ো প্লাস পয়েন্ট।  সে যাক প্রথম ওর...

আইচ আর মাটির সংসার

আইচ আর মাটি। ফ ব মানে সেই বিখ্যাত কুচবিহার জেলার কমল গুহ আর মাটি মনে দেবমতী এই দুজনের বিখ্যাত মিডিয়ার জুটি। সেই সব সময় যে আইচ অফিস, বাড়ী নিয়ে নানা ভাবেই চাপে নাজেহাল হয়ে থাকে সব সময়। বর্তমানে কাগজে কাজ পেয়েও যে পরে চার কোনা বোকা বাক্স টিভির দুনিয়ায় ঢুকে পড়ল যে আইচ বলে ছেলেটি। যে রাজনীতির পাঠশালায় বেশ ভালই। সেই আমাদের এক সময়ের বিখ্যাত চ্যানেল এর পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই ২৪ ঘণ্টায় বিখ্যাত লোকজনের সাথে ওর কাজ করা। সব আকাশ থেকে নেমে আসা লোকজন আর স্বর্ণযুগের সেই বিখ্যাত সংসার। যে সংসার একদিন আবার ভেঙেও গেলো কেমন করে যেন। যে ভাঙা সংসারে ভাঙনের মুখে আমার কাজের সুযোগও ঘটে।  সেখানেই শুভ্রজিৎ আইচ আর দেবমতীর আলাপ, ঘর, মাটির সংসার পাতা আর নানা ভাবেই ওদের বেড়ে ওঠা একটা সুন্দর পরিবারকে নিজের মত করে গড়ে নিয়ে। কখনও এক মিডিয়ার অফিসে কাজ করে এক দফতর বা সেই ডেস্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে অ্যাসাইন মেন্টের টেবিলে বদলি হয়ে চাকরি করা ওদের দুজনের একে অপরকে দূরে সরে গিয়ে। আবার সেখানেও জলের নিচে পা কাটা হাঙ্গরের দলবল ঘুরছে বলে এক চেনা অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে চলে যাওয়া ওর ...

ওই খানে মা পুকুর পাড়ে

ওইখানে মা পুকুর-পাড়ে জিয়ল গাছের বেড়ার ধারে হোথায় হবে বনবাসী,           কেউ কোত্থাও নেই। ওইখানে ঝাউতলা জুড়ে বাঁধব তোমার ছোট্ট কুঁড়ে, শুকনো পাতা বিছিয়ে ঘরে           থাকব দুজনেই। বাঘ ভাল্লুক অনেক আছে- আসবে না কেউ তোমার কাছে, দিনরাত্তির কোমর বেঁধে           থাকব পাহারাতে। রাক্ষসেরা ঝোপে-ঝাড়ে মারবে উঁকি আড়ে আড়ে, দেখবে আমি দাঁড়িয়ে আছি           ধনুক নিয়ে হাতে। .......রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপ টুপ বৃষ্টির দুপুরে এই কবিতার লাইন গুলো দেখে। মনে পড়ে গেলো মার কথা। বাইরে একটানা বৃষ্টির একটা অদ্ভুত আওয়াজ। কখনো কখনো বেশ জোরে, কোনো সময় একটু কম। মাথার মধ্যে কেমন ঝিম ঝিম করছে এই বৃষ্টির টানা আওয়াজ শুনে।  একটানা আওয়াজে কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভাব। গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে একদম চুপ চুপে হয়ে গেছে। পাতার ডগা থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ছে নিচে।গাছের পাতাগুলোর অসময়ে স্নান করে ওদের আবার শরীর খারাপ না হয়।  জানলার ধারে সারাদিন ধরে যে পায়রা গুলো বসে থাকতো আর বক বকম করতো।...