সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধুই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ঘরে ঘরে তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন এর সেই উদাত্ত কণ্ঠের মধুর ডাক। যে ডাক আমরা মাঝেই মাঝেই শুনতে পাই। যে ডাক শুনে আমাদের ঘুমিয়ে পড়া হৃদয় জাগ্রত হয়, আন্দোলিত হয়, সচকিত হয়, উদ্বুব্ধ হয়, মোহিত হয়। যে ডাক আমাদের ধমনী, শিরা, উপশিরায় ছড়িয়ে দেয় নতুন নতুন বার্তা। যে বার্তা শুনে আমরা অভ্যস্ত। যে বার্তার অভীষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে। যে লক্ষ্য নিয়েই ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই মধুর অডিও বার্তা।
কাউকে ফোন করলেই আপনি শুনতে পাবেন সেই জলদ্গম্ভীর খুব চেনা কণ্ঠের সেই উদাত্ত কণ্ঠের ডাক। হর ঘর তেরঙ্গা অভিযান কোরেঙ্গে কিশান মে, এক ইউনিক ফেস্টিভ্যাল বান চুকা হায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদাত্ত কণ্ঠের এই ডাক ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে, চারিদিকে। মোবাইল ফোনে, নানা গণ মাধ্যমে, চারিদিকে একটাই আওয়াজ উঠেছে। ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার আওয়াজ। দিকে দিকে সেই বার্তা রটি গেলো ক্রমে সেই কবিতার লাইনের মত। নয় আগস্ট থেকে পনেরো আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ জুড়ে এই উৎসব পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।
আসলে বোধহয় এই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই ভাবেই হয়তো আমার, আপনার সবার ঘুমিয়ে পড়া বিবেককে একটু জাগ্রত করতে চাইছেন তিনি। যাতে স্বাধীনতার এত দিন পরে আমাদের ঘুমন্ত জাতীয়তা- বোধ একটু জাগ্রত হয়। আমাদের বিবেক, বুদ্ধি, বিচার, বিবেচনা, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ একটু জাগ্রত হয়। তার জন্য তো এত উদ্যোগ তাঁর। কি অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন আমাদের সেই জাতীয় পতাকার ইতিহাস। দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের ইতিহাস। যে ইতিহাস আমাদের সবার মনে রাখা উচিত। ভুলোমনা মানুষ আমরা তাই এসব কি আর মনে থাকে আমাদের। তাই তো তিনি নিজেই সারা দেশ জুড়ে এই ঘরে ঘরে তিরঙ্গা পতাকা তোলার ডাক দিলেন।
পর পর তিন বছর ধরে দু হাজার বাইশ সাল থেকেই স্বাধীনতা দিবসের সময়ে এই জাতীয় পতাকাকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হয়ে আসছে আমাদের দেশে। যার প্রধান কারিগর হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ভাবেই তো তিনি আমাদের দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবোধ কে জাগিয়ে তুলতে চাইছেন বার বার। আর তার জন্য চারিদিকে চলছে নানা ধরনের প্রচার। নানা ভাবে প্রচার। সে রেডিও, টিভি, মোবাইল যে কোনো মাধ্যমে হলেই হলো। শুধু দেশের স্বাধীনতা দিবসের আগে আসমুদ্রহিমাচল জুড়ে একটাই আওয়াজ হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান করেঙ্গে।
এই জাতীয় পতাকার ইতিহাস, তার গুরুত্ব কতখানি সেটা নিয়েই তো আমাদের জীবনের নানা সময়ে নানা ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তি কিছুটা হলেও নিজেদের স্বার্থে এইভাবে নানা ধরনের ডাক দেন। আর যে ডাক শুনে আমরা মোহিত হই। উদ্বুদ্ধ হই। জেগে উঠি। মনে মনে ভাবি ভাগ্যিস মোবাইল ফোনের কলার টিউন জুড়ে এই অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে চারিদিকে। শুধু একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের মত সাধারণ মানুষকে একটু ওই তিনরঙা পতাকার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে। যাতে অন্তত এই কটা দিন একটু দেশকে ভালবাসতে পারি আমরা সবাই।
এত গেলো শুধুই একজনের উদ্যোগের কথা। কিন্তু সেই যার জন্য এত উদ্যোগ, এত আয়োজন সেই তিন রং এর পতাকার একটু গল্প বলি এইবার। যা বোধহয় একটু জানা দরকার আমাদের সবার। ভারতের জাতীয় পতাকা হল কেন্দ্রস্থলে ২৪টি দণ্ডযুক্ত ঘন নীল রঙের অশোকচক্র সংবলিত ভারতীয় গেরুয়া, সাদা ও ভারতীয় সবুজ এই তিন রঙের একটি আনুভূমিক আয়তাকার পতাকা।
১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আয়োজিত গণপরিষদের একটি অধিবেশনে পতাকার বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় এবং সেই বছর ১৫ অগস্ট এটি ভারত অধিরাজ্যের সরকারি পতাকার স্বীকৃতি লাভ করে । এরপরে এটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রেও জাতীয় পতাকার স্বীকৃতি বজায় রাখে। ভারতে এটিকে "তিরঙ্গা" নামে অভিহিত করা হয়। পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত "স্বরাজ" পতাকার আদলে।
ভারতের জাতীয় পতাকা ভারতের আইন অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা খাদি কাপড়ে তৈরি করতে হয়। এটি এক বিশেষ ধরনের হস্তচালিত তাঁত অথবা রেশমি কাপড় যেটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে মহাত্মা গান্ধী বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতীয় মানক ব্যুরো কর্তৃক জাতীয় পতাকা উৎপাদনের পদ্ধতি ও নির্দিষ্ট শর্তাবলি নির্ধারিত হয়। উৎপাদনের অধিকার খাদি উন্নয়ন ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের হাতে ন্যস্ত। এই কমিশনই বিভিন্ন আঞ্চলিক গোষ্ঠী উৎপাদনের স্বত্ব প্রদান করে থাকে। ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, কর্ণাটক খাদি গ্রামোদ্যোগ সংযুক্ত সংঘ ভারতের একমাত্র জাতীয় পতাকা উৎপাদনকারী সংস্থা।
জাতীয় পতাকার ব্যবহার ভারতীয় পতাকাবিধি ও জাতীয় প্রতীক-সংক্রান্ত অন্যান্য আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পুরনো বিধি অনুযায়ী স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় দিবসগুলি ছাড়া অন্য দিনে সাধারণ নাগরিকেরা জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারতেন না। ২০০২ সালে ভারতীয় নাগরিক নবীন জিন্দলের আপিলের ভিত্তিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভারত সরকারকে সাধারণ নাগরিকদের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য পতাকাবিধি সংশোধনের নির্দেশ দেয়। এরপরই ভারতের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট পতাকাবিধি সংস্কার করে কয়েকটি সীমিত ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের জাতীয় পতাকার ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে।
স্বাধীনতাপ্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে বিশেষভাবে গঠিত গণপরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সব দল ও সম্প্রদায়ের নিকট গ্রহণযোগ্য করে হতে হবে। এই কারণে, অশোকচক্র সংবলিত গেরুয়া, সাদা ও সবুজ ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা গৃহীত হয়। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, তিনি গৃহীত পতাকার প্রতীকতত্ত্বটি ব্যাখ্যা করে নিম্নলিখিত ভাষায় তার গুরুত্ব বর্ণনা করেন:
“ ভাগোয়া বা গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক। আমাদের নেতৃবৃন্দকে পার্থিব লাভের প্রতি উদাসীন ও আপন আপন কাজে যত্নবান হইতে হইবে। মধ্যস্থলে সাদা আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ আলোর প্রতীক। সবুজ মৃত্তিকা তথা সকল প্রাণের প্রাণ উদ্ভিজ্জ জগতের সহিত আমাদের সম্বন্ধটি ব্যক্ত করিতেছে। সাদা অংশের কেন্দ্রস্থলে অশোকচক্র ধর্ম অনুশাসনের প্রতীক। সত্য ও ধর্ম এই পতাকাতলে কর্মরত সকলের নিয়ন্ত্রণনীতি হইবে। এতদ্ভিন্ন, চক্রটি গতিরও প্রতীক। স্থবিরতায় আসে মৃত্যু। জীবন গতিরই মধ্যে। পরিবর্তনকে বাধাদান ভারতের আর উচিত হইবে না, তাহাকে সম্মুখে অগ্রসর হইতে হইবেই। এই চক্রটি শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের গতিশীলতার প্রতীক। ”
যদিও এর আগে ১৯০৬ সালের ৭ অগস্ট কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী এক সভায় প্রথম ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলিত হয়। এই পতাকা উত্তোলন করেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু। পতাকাটি কলকাতা পতাকা নামে পরিচিত হয়। এই পতাকায় উপরে, মধ্যে ও নিচে যথাক্রমে কমলা, হলুদ ও সবুজ রঙের তিনটি আনুভূমিক ডোরা ছিল। উপরের ডোরায় আটটি অর্ধ-প্রস্ফুটিত পদ্ম এবং নিচের ডোরায় সূর্য ও অর্ধচন্দ্র অঙ্কিত ছিল। মাঝে দেবনাগরী হরফে লিখিত ছিল "বন্দে মাতরম" কথাটি।
১৯০৭ সালের ২২ জুলাই জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে ভিখাজি কামা অন্য একটি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকার উপরে ছিল সবুজ, মধ্যে গেরুয়া ও নিচে লাল রং। সবুজ রং ছিল ইসলামের প্রতীক ও গেরুয়া হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রতীক। সবুজ ডোরাটির উপর ব্রিটিশ ভারতের আটটি প্রদেশের প্রতীক হিসেবে আটটি পদ্মের সারি অঙ্কিত ছিল। মধ্যের ডোরায় দেবনাগরী হরফে "বন্দে মাতরম" কথাটি লিখিত ছিল এবং নিচের ডোরায় পতাকাদণ্ডের দিকে অর্ধচন্দ্র ও উড্ডয়নভাগের দিকে একটি সূর্য অঙ্কিত ছিল। ভিখাজি কামা, বীর সাভারকর ও শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা একযোগে এই পতাকাটির নকশা অঙ্কন করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে বার্লিন কমিটিতে ভারতীয় বিপ্লবীরা এই পতাকাটি গ্রহণ করেন। সেই থেকে এটি বার্লিন কমিটি পতাকা নামে অভিহিত হয়।
১৯১৭ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক ও অ্যানি বেসান্ত পরিচালিত হোমরুল আন্দোলন একটি নতুন পতাকার জন্ম দেয়। এই পতাকায় পাঁচটি লাল ও চারটি সবুজ আনুভূমিক ডোরা ছিল। উপরের বাঁদিকে আয়তাকার ইউনিয়ন পতাকা ছিল আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষিত ডোমিনিয়ন মর্যাদা লাভের প্রতীক। উপরের উড্ডয়নভাগে ছিল সাদা অর্ধচন্দ্র ও তারা। হিন্দুদের পবিত্র সপ্তর্ষি মণ্ডলের প্রতীকরূপে সাতটি সাদা তারা পতাকায় খচিত ছিল। এই পতাকাটি অবশ্য সর্বসাধারণ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
এর এক বছর আগে ১৯১৬ সালে অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম শহরের নিকটস্থ ভাটলাপেনামারু গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া একটি সাধারণ জাতীয় পতাকার রূপদানের চেষ্টা করেন। তার এই প্রচেষ্টা উমর সোবানি ও এস বি বোমানজির চোখে পড়ে। এঁরা একসঙ্গে ভারতীয় জাতীয় পতাকা মিশন হাতে নেন। ভেঙ্কাইয়া এই পতাকার জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনুমোদন চাইতে গেলে গান্ধীজি তাকে "ভারতের মূর্তপ্রতীক ও দেশের সকল অমঙ্গলহারী" চরকার চিত্র পতাকায় যোগ করার পরামর্শ দেন। মহাত্মা গান্ধীর প্রদর্শিত পথে হস্তচালিত চরকা ছিল ভারতের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক। ভেঙ্কাইয়া লাল ও সবুজ প্রেক্ষাপটে চরকার ছবি সংবলিত একটি পতাকা প্রস্তুত করেন। কিন্তু গান্ধীজি মনে করেন, এই পতাকাটিতে ভারতের সকল ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
এইভাবেই এই পতাকার ইতিহাস তৈরী হয়েছে নানা ভাবে, নানা রূপে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে ভারতের জাতীয় পতাকার বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য গণপরিষদ স্থাপিত হয়। গণপরিষদ রাজেন্দ্র প্রসাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সদস্যরা ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সরোজিনী নাইডু, চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, কে এম মুন্সি ও বি আর আম্বেডকর।
পতাকা কমিটি স্থাপিত হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ জুন। এই সময় এই কমিটি পতাকা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তিন সপ্তাহ পরে ১৯৪৭ সালের ১৪ জুলাই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পতাকাটি উপযুক্ত সংস্কারের পর সব দল ও সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণীয় করে তুলে জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হবে। পরে এমন প্রস্তাবও গৃহীত হয় যে ভারতের জাতীয় পতাকার কোনো সাম্প্রদায়িক গুরুত্ব থাকবে না। চরকার পরিবর্তে সারনাথ স্তম্ভ থেকে ধর্মচক্র-টি গৃহীত হয় পতাকায়। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীন ভারতে প্রথমবার এই পতাকাটি উত্তোলিত হয়।
ভারতের বর্তমান পতাকা পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মূল নকশার একটি রূপান্তর,পরবর্তীকালে মাঝে সাদা অংশে ২৪টি দণ্ডযুক্ত অশোকচক্র স্থান পায়। মিসেস সুরাইয়া বদর-উদ-দিন ত্যাবি কর্তৃক জমা দেওয়া স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা অবশেষে ১৭ ই জুলাই ১৯৪৭ তারিখে পতাকা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং গৃহীত হয়। তবে সাধারণভাবে পতাকার নকশা-প্রস্তুতকারক হিসেবে পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
এই হলো আমাদের জাতীয় পতাকার ইতিহাস। যে ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম। তাঁদের লড়াই, তাঁদের আত্মত্যাগ আর দেশের প্রতি ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই তো এসেছে আমাদের সেই বহু সাধের স্বাধীনতা। যে স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটাই আবেদন গেরুয়া রং তো ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক। যা পার্থিব লাভের প্রতি উদাসীন হতে শিক্ষা দেয় আমাদের দেশের জনসেবা করা সেই সব মহান সেবকদের। আর সাদা রং তো আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শিক্ষা দেয়। আর সবুজ তো আমাদের সবার প্রাণের প্রাণ। আর চক্র হলো গতিশীলতার প্রতীক। শুধু একটা দিন বা একটা সপ্তাহ পালন নয় সারা দেশ জুড়ে। আমাদের সারা জীবন জুড়েই তো রয়ে গেছে এই তিরঙ্গা পতাকা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তাঁকে আমি প্রনাম জানাই।
জাতীয় পতাকার ইতিহাস - অভিজিৎ বসু।
চৌদ্দ আগস্ট, দু হাজার চব্বিশ।
খুব ভালো লেখা
উত্তরমুছুন