চারিদিকে পোড়া শবের গন্ধে ম ম করছে পথ ঘাট।
ভেজা পিচ্ছিল রাস্তায় হাঁটতে নেমে কেমন যেনো থমকে দাঁড়াই আমি।
গঙ্গার জলে ভেসে যায় কচুরি পানা ঠিক ওই পানকৌড়ির মতই।
পোড়া শবের গন্ধ, আর গঙ্গার ঘোলা জল সব মিলে মিশে একাকার।
জলের ওপর বর্ষার কাঁচা মেঘের টুপটাপ বৃষ্টির ফোঁটা, রক্তের দাগ মেখে ঝরে পড়ে এদিক ওদিক।
ঘোলা জলের জীবনে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের দাগ গড়িয়ে পড়ে, শক্ত কষ বেয়ে ভেজা মাটিতে টুপ করে।
সুন্দর নরম ঠোঁটের কোণ বেয়ে আনমনে ছড়িয়ে পড়ে, শুকনো নির্জীব রক্তের সেই কালচে দাগ।
ভনভন করে চারিদিকে ওড়ে মাছি আরও কত কি।
জীবনের জালে আটকে গেছে মানুষের মৃত্যুর খবর।
কিছুতেই ওই দেয়ালের কোণ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা জাল বুনছে যে মাকড়শা, তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কোনো দিকেই।
আনমনে জাল বোনে সে একা একাই, যে জালে আটকে যায় গোটা একটা জীবন।
তবুও ঘাড় গুঁজে জাল বোনে ওই সর্বনাশা হাত পা ওলা পোকা কেমন নির্বিচারে।
কখন যে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবনকে ছিঁড়ে কুটে খায় তারা কে জানে।
জীবন - অভিজিৎ বসু।
পনেরো সেপ্টেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন