সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমাদের কমলাক্ষ

আসলে রাত বাড়লেই আমার মানুষ খোঁজার নেশা কেমন করে যেন আমায় পেয়ে বসে। মনে হয় এই সাদা জীবনের কালো কথা হোক কিংবা ভালো কথা হোক কিছু একটা লিখে তো ফেলি। কেউ লেখা দেখে বলেন এত ছবি একজনের লেখায়। আবার কেউ বলেন দাঁড়ি পাল্লায় একদিকে শুধুই একজন বিখ্যাত মহিলা অ্যাঙ্কর বাকি আর কেউই নেই আশপাশে কোথাও। শুধু ছবি আর ছবিময় জীবন। স্বপ্নময় কমলাক্ষ এর পাশে কেমন ছবিময় জীবন যেনো। যে ছবি এতদিন পরেও যে অমলিন হয়ে আমার চারপাশে স্মৃতিতে অম্লান হয়ে বেঁচে আছে আজও।


আবার কেউ বলেন এই ভাবে রাত দুপুরে জেগে লিখে বেড়ানোর মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো ধান্দা আছে ওর। না হলে কি আর সময় নষ্ট করে এত লেখার কি দরকার বলুন। আমি সব শুনি আর বেশ মজা লাগে আমার। এই এলোমেলো, এলেবেলে জীবনে এসব কথা লিখে ফেলতে একান্ত ভাবেই ইচ্ছা হয় আমার। আর তাই তো কলম ধরা হাজারো মানুষের সেই সব কথা হজম করেও কেমন হাসিমুখে।

আজ যার কথা লিখবো বলে আমি মনে মনে ঠিক করলাম সেই এমন একজন টিভি চ্যানেল এর রিপোর্টার যাকে বোধহয় কিছুদিন বাংলা ছেড়ে কাশ্মীরের ডাল লেকের ধারে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম লগ্নে। সে যাই হোক কাশ্মীর, কন্যাকুমারী, আর কাকদ্বীপ যেখানেই সেই রিপোর্টার যাক। যে কোনো ভাবেই সে ম্যানেজ করতে একদম সিদ্ধহস্ত চাকরীর প্রথমদিকে আর প্রথম দিন থেকেই।

আর তাই বোধহয় তার ইন্টারভিউ এর সময় প্রয়াত অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এর এক প্রশ্নের সঠিক উত্তর এর খুব কাছে পৌঁছে যাওয়ায়, তাকে অঞ্জন দা বলেছিলেন, বেশ ভালো ম্যানেজ করতে পারিস তো তুই। হ্যাঁ, এটা ওর একটা বড়ো গুণ বটে। সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজ করে নেওয়া।

হ্যাঁ, আর এই ম্যানেজ করতে পারার কারণেই হয়তো সে ওই কালীপুজোর রাতে তারাপীঠ শ্মশানের কাপালিক ধরা থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেলে। আর সেই দর্শকদের মনে ভয় ধরানো বিখ্যাত শোতে অফ বিট চব্বিশে সুন্দরী বৌদিকে আঙ্গুর, বেদানা বা আইসক্রিম খাইয়ে বা বাথরুমে শাওয়ারের নিচে স্নান করিয়ে নানা ভাবে ম্যানেজ করে শুট করতে যে ছিল সিদ্ধহস্ত একজন সঠিক টিভির রিপোর্টার বটে। 

যে বোঝে টিভির এই বোকা বাক্সের পর্দা কি ছবি চায়। যা দেখে দর্শকরা সবাই চোখের পাতা ফেলবে না। সব গিলবে সেই ছবি হ্যাঁ করে আর । হ্যাঁ, সেই আমাদের সবার আদরের ছোটো ভাই কমলাক্ষ। যার কথা মনে হলো না লিখলে কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আমার এই সাদা জীবনের কালো কথার সিরিজ এর এই নানা চরিত্রকে নিয়ে লেখা লেখা খেলা।

ওর চাল চলন, ওর মেজাজ, ওর দাদা ডাকের মাঝে লুকিয়ে আছে কত ভাঁজ, কত ডজ হয়তো আরও অনেক কিছুই যা আমরা টের পেলেও ওর ওই মুখের হাসি দেখে কিছুই হয়তো বলতে পারতাম না ওকে আমরা কেউই। কিন্তু আমার মনে হয় এই টিভি মিডিয়ার একজন শুধু রিপোর্টার হয়েও ও কেমন সঠিক প্রোডাকশন ম্যানেজার এর কাজ করে দিত যে হাসি মুখে যা আমাদের কোনোদিন ও বুঝতে দেয়নি।  

সে হলো আমাদের সবার পরিচিত এই কমলাক্ষ ভট্টাচার্য্য। ওর এই নানা চরিত্রের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা। ওর এই খুব কাছে এসে কানে কানে বলা, দাদা আজ একটু ম্যানেজ করে দিও কিন্তু আমি সাড়ে পাঁচটার পর আর নেই অফিসে। কিন্তু সেই বিকেল পাঁচটার সময় বড়ো ঘটনা ঘটে গেলে অনেক অনুরোধ করে হয়তো ওকে স্পটে পাঠানো হয়েছে আর সেই স্পটে গিয়ে, ও কিন্তু নিজের মেজাজে একদম রাজা রিপোর্টারের ভূমিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের মত কাজ করে দিলো কেমন হাসি মুখে।

 এটাই তো আমাদের সেই চব্বিশ ঘন্টা চ্যানেল এর কিছুটা ফাঁকি মারা অমায়িক পার্সোনালিটি আর সেই সুন্দর হাসিখুশি ব্যবহার করা এক রিপোর্টার ভাই যার নাম হলো কমলাক্ষ ভট্টাচার্য্য। যে কোনো অনুষ্ঠান এর জন্য আলো আঁধারি সেই বিখ্যাত জোছনা মাখা পথে ম্যানেজ করতে আর এই ছবি তুলে দিন ভোর খবর করতে আর সেই ছবি করতে যে একদম গুড বয় একজন প্রফেশনাল রিপোর্টার। যার কাছে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে বৌদি, কাপালিক, শিল্পী সবাই। 

 একদম এখানে এই রিপোর্টার আগে বাড়ী যাবার জন্য দরখাস্ত দিয়ে, স্পটে যেতে কেমন যেনো একটা বেগড়বাই করছিল অ্যাসাইনমেন্টের কাছে বিকেল বেলায়। আবার সেই রিপোর্টার কিন্তু একটা খবর পেয়ে একদম অন্য রূপে, অন্য মেজাজে রাত জেগে দিন কাবার করে , নানা খবর করে মাঝরাতে বাড়ী ফিরলো হাসি মুখে। হ্যাঁ , এটাই হলো আমাদের সেই চির পরিচিত চেনা মুডের কমলাক্ষ। যার হাঁটা, চলা, ওর সেই সব জান্তা মনোভাব আর যে কোনো ভাবেই হোক সেই ম্যানেজ করে নেবার ক্ষমতাকে কুর্ণিশ জানাই আমি এই নিশুতি রাতের বেলায়।

কারণ একটাই সেই যে বার তারাপীঠ মন্দিরের মায়ের আরতি দেখাবে একমাত্র এবিপি আনন্দ। যা হলো সেই তীর্থর হাত ধরে। যে তীর্থ বসু বহুদিন হলো হারিয়ে গেছে অনেক উপরে উঠে গিয়ে। তারাময় বাবুর কাছ থেকে টাকা দিয়ে অনুমোদন দিলো মন্দির কর্তৃপক্ষ শুধুই তাদেরকে। কিন্তু সেটা নিয়ে তাহলে কি করা হবে সেই ভেবেই রাতের ঘুম উড়ে গেলো আমাদের সেই দু নম্বর প্রতিপক্ষ চ্যানেলের কর্তাদের আর অ্যাসাইন মেন্টের ছোটো মানুষের।

আর সেই কঠিন পরিস্হিতিতে ওর হেসে জবাব কোনো চিন্তা নেই দাদা দেখো না কি হয় শুধু। এই বলে একদিন আগের সেই তারা মার আরতির তুলে রাখা আনকাট অংশ। আর সাথে ধুনি জ্বেলে, কাপালিক ধরে এনে তারাপীঠ এর কোনো এক বাড়ীর ছাদে বসিয়ে নতুন আঙ্গিকে লাইভ দেখিয়ে দেওয়া। একসাথে অন্য চ্যানেলের সাথে সমান ভাবে পাল্লা দেওয়া। 

আর যেটা দেখে মাথায় হাত পড়লো একনম্বর চ্যানেল এর কর্তাদেরও। একি করে সম্ভব হলো আমরা টাকা দিয়েও যে এক্সক্লুসিভ করতে পারলাম না কিছুতেই এত গভীর গোপন পরিকল্পনা করেও সেই মা তারার নিয়ে মাঠে ঘুরীকে লাইভ দৃশ্য।। হ্যাঁ, এটাই তো আমাদের সেই ম্যানেজ করা চেনা কমলাক্ষ ভট্টাচার্য। যে হাসতে হাসতে এটা করে দেখিয়ে দিয়ে ধুনী জ্বেলে তখন ছাদে বসে আছে চোখ বুজে। আর কাপালিক সেই সময় জয় তারা বলে চিৎকার করে আসর জমিয়ে দিয়েছেন। 

সেই কালী পূজোর একমাস আগে থাকতেই লাল পাঞ্জাবি কিনে জেলায় জেলায় শক্তিপীঠ দর্শন করা আর ওর ঘুরে বেড়ানো দৌড়ে বেড়ানো। সেই যে রিপোর্টার সুন্দরী বৌদির ছবি করতে সিদ্ধহস্ত আর স্বচ্ছন্দ বোধ করে। যাকে নিয়ে কত হাসাহাসি হয় এই সব ভেজাল, বিষ এর খবর করতে গিয়ে যে রিপোর্টার একটা নতুন ঘরানা বা ভাবনার বিষয় বের করে । যার একসময়ে চাকরি কি করে রক্ষা করা যাবে সেই নিয়ে কত প্রশ্ন ওঠে অফিসে। কিন্তু সেই রিপোর্টার আবার কালী কথা তৈরী করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তুলে নেয় অবলীলায় হাসতে হাসতে। সত্যিই ও জিনিয়াস কিন্তু।

 আসলে ও ঠিক বোঝে টিভির পর্দায় কি কি করতে হয়। কোন অ্যাঙ্গেল থেকে হেঁটে এসে হাজির হতে হয় পর্দায় ফুল স্ক্রিন জুড়ে। একটু ব্রাহ্মী শাক দিয়ে কি করে রান্নার ছবি করে দর্শককে টেনে রাখতে হয় বোকা বাক্সের পর্দায় একঘন্টা ধরে। আর ওর সেই ভাবনার ছবির জগতে প্রবেশ করে ধন্য হয় সেই ডাকসাইটে সুন্দরী মহিলারা, বৌদিরা, তারাপীঠ মন্দিরের সেই কাপালিক, সাধু, সজ্জন ব্যক্তিরা। 

এটাই তো আমাদের সেই বিখ্যাত সাংবাদিক কমলাক্ষ ভট্টাচার্য। যে আবার দুপুর বেলায় অফিস থেকে কেউ তার বাড়ি গেলে একশগ্রাম দই কিনতে হবে বলে এই ভয়ে কেমন করে সরে পড়ে টুক করে। এই গল্প যদিও ওর এক মহিলা সহকর্মীদের মুখ থেকেই শোনা আমার একদিন।


সত্যিই অসাধারণ এই জীবনের ছবির ভাবনার জগতে বিচরণ করা রিপোর্টারকে আমি স্যালুট জানাই। যে আমায় আজও মনে রেখে বলে, দাদা তুমি চালিয়ে যাও এভাবেই নিজের চেনা মেজাজে লিখে যাও দাদা। ওর কথা শুনে বুকে বল পাই আমি। এই রাতদুপুরে মনে মনে ভাবি আজকাল আর কে কমলাক্ষর মতই ঠিক করে বলে দাদা তুমি লিখে যাও তোমার নিজের মেজাজে। এটাই বোধহয় সেরা পাওনা আমার এই সাংবাদিক জীবনে ওর কাছ থেকে। 

আমাদের কমলাক্ষ - অভিজিৎ বসু।
ষোলো নভেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে চন্দ্রাণী

কখনও কুম্ভ মেলায় হাজির। আবার কখনও রাজনৈতিক দলের ঝাণ্ডা কাঁধে দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি রাস্তা দিয়ে একমনে ধীর পায়ে। আবার কোনোও সময় গঙ্গাসাগর সঙ্গমে তো আবার কোনোও সময় হঠাৎ করেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে কিম্বা সোনাঝুড়ির হাটে পৌঁছে গেছেন তিনি হাসি মুখে পরিবার নিয়ে। আর এইসবের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়েছেন শুনে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা অন্য দূরের উত্তরপাড়া হাসপাতালে চলে গেছেন তিনি বাড়ীর কাউকে কিছুই না জানিয়েই। একদম স্বতস্ফূর্ত ভাবেই অন্য কারুর বিপদে এই ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়া হাসি মুখেই। যা আমার মার অসুস্থ অবস্থায় করেছিলেন তিনি কাউকে কিছুই না জানিয়ে রিষড়ার হাসপাতাল থেকে সোজা উত্তরপাড়ার হাসপাতালে চলে গেলেন সেদিন। আবার কোনো সময় সাংবাদিকদের কোনও অনুষ্ঠানে হাসিমুখেই হাজির হয়েছেন তিনি সবার সাথে মিলেমিশে। আর সেই তাঁর সোজা গাড়ী করে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে রিষড়া রেলগেট পার হয়ে সোজা, একদম সোজা সটান অমৃত কুম্ভের সন্ধানে কুম্ভ মেলায় হাজির হলেন তিনি কোনোও কিছু না ভেবেই চিন্তা না করেই। এতো পাপ মোচন করতে বা পূণ্য সংগ্রহ করতে ...

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

আমাদের সবার মিল্টনদা

“স্মৃতি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হবে। নতুন স্মৃতির পলি পড়বে। কোনও একদিন যক্ষের মতো কোনও এক নির্জন ঘরে সিন্দুকের ডালা খুলব। ক্যাঁচ করে শব্দ হবে। ভেতরে দেখব থরে থরে সাজানো আমার জীবনের মৃতঝরা মুহূর্ত। মাকড়সার ঝুলে ঢাকা, ধূসর। তখন আমি বৃদ্ধ; হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে। চুল সাদা। চোখদুটো মৃত মাছের মতো। এই তো মানুষের জীবন, মানুষের নিয়তি। এই পথেই সকলকে চলতে হবে। বর্তমানের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে না পারলে, অতীত বড় কষ্ট দেয়।” ― সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় , লোটাকম্বল হ্যাঁ, সত্যিই তো, অতীত বড়ো কষ্ট দেয় আমাদের এই রাত বিরেতে। দু চোখের পাতা এক হয় না কিছুতেই। রাত কেটে ভোর হয়, আলো ফোটে তবু সিন্দুকের ডালা খুলে বেরিয়ে আসে নানা স্মৃতি, নানা মুখ, নানা চরিত্র, নানা ঘটনা। হ্যাঁ, আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় হুগলীর বিখ্যাত দাপুটে সাংবাদিক মিল্টন সেন এর কথা। ওর সেই হাসি খুশি মিষ্টি ভদ্র ব্যবহার, সব সময় মুখে ভালো কথা। আমার মত খারাপ বদনাম নেই ওর কোথাও। সবার সাথে নেতা, মন্ত্রী, পুলিশ অফিসার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলা মিল্টন এর বড়ো প্লাস পয়েন্ট।  সে যাক প্রথম ওর...

আইচ আর মাটির সংসার

আইচ আর মাটি। ফ ব মানে সেই বিখ্যাত কুচবিহার জেলার কমল গুহ আর মাটি মনে দেবমতী এই দুজনের বিখ্যাত মিডিয়ার জুটি। সেই সব সময় যে আইচ অফিস, বাড়ী নিয়ে নানা ভাবেই চাপে নাজেহাল হয়ে থাকে সব সময়। বর্তমানে কাগজে কাজ পেয়েও যে পরে চার কোনা বোকা বাক্স টিভির দুনিয়ায় ঢুকে পড়ল যে আইচ বলে ছেলেটি। যে রাজনীতির পাঠশালায় বেশ ভালই। সেই আমাদের এক সময়ের বিখ্যাত চ্যানেল এর পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই ২৪ ঘণ্টায় বিখ্যাত লোকজনের সাথে ওর কাজ করা। সব আকাশ থেকে নেমে আসা লোকজন আর স্বর্ণযুগের সেই বিখ্যাত সংসার। যে সংসার একদিন আবার ভেঙেও গেলো কেমন করে যেন। যে ভাঙা সংসারে ভাঙনের মুখে আমার কাজের সুযোগও ঘটে।  সেখানেই শুভ্রজিৎ আইচ আর দেবমতীর আলাপ, ঘর, মাটির সংসার পাতা আর নানা ভাবেই ওদের বেড়ে ওঠা একটা সুন্দর পরিবারকে নিজের মত করে গড়ে নিয়ে। কখনও এক মিডিয়ার অফিসে কাজ করে এক দফতর বা সেই ডেস্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে অ্যাসাইন মেন্টের টেবিলে বদলি হয়ে চাকরি করা ওদের দুজনের একে অপরকে দূরে সরে গিয়ে। আবার সেখানেও জলের নিচে পা কাটা হাঙ্গরের দলবল ঘুরছে বলে এক চেনা অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে চলে যাওয়া ওর ...

ওই খানে মা পুকুর পাড়ে

ওইখানে মা পুকুর-পাড়ে জিয়ল গাছের বেড়ার ধারে হোথায় হবে বনবাসী,           কেউ কোত্থাও নেই। ওইখানে ঝাউতলা জুড়ে বাঁধব তোমার ছোট্ট কুঁড়ে, শুকনো পাতা বিছিয়ে ঘরে           থাকব দুজনেই। বাঘ ভাল্লুক অনেক আছে- আসবে না কেউ তোমার কাছে, দিনরাত্তির কোমর বেঁধে           থাকব পাহারাতে। রাক্ষসেরা ঝোপে-ঝাড়ে মারবে উঁকি আড়ে আড়ে, দেখবে আমি দাঁড়িয়ে আছি           ধনুক নিয়ে হাতে। .......রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপ টুপ বৃষ্টির দুপুরে এই কবিতার লাইন গুলো দেখে। মনে পড়ে গেলো মার কথা। বাইরে একটানা বৃষ্টির একটা অদ্ভুত আওয়াজ। কখনো কখনো বেশ জোরে, কোনো সময় একটু কম। মাথার মধ্যে কেমন ঝিম ঝিম করছে এই বৃষ্টির টানা আওয়াজ শুনে।  একটানা আওয়াজে কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভাব। গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে একদম চুপ চুপে হয়ে গেছে। পাতার ডগা থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ছে নিচে।গাছের পাতাগুলোর অসময়ে স্নান করে ওদের আবার শরীর খারাপ না হয়।  জানলার ধারে সারাদিন ধরে যে পায়রা গুলো বসে থাকতো আর বক বকম করতো।...