সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তিন চাকা ছেড়ে চার চাকায়

তিন চাকার টোটো নয়। চার চাকার গাড়ি নিয়েই বোলপুর থেকে বেরিয়ে পড়লাম আমি। সত্যিই মাঝে মাঝে মনে হয় আমার এই টোটোময় বিন্দাস জীবনে তো চারপেয়ে একটা জিনিস আছে এখনো বেঁচে। যাকে নিয়ে আগে বেশ শীত পড়লেই এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতাম আমরা মজা করে, হৈ হুল্লোড় করে সবাই মিলে একসাথে। বোলপুরে আসার পর সেটা অনেকটাই কমে গেছে আজকাল বর্তমানে।  


 আসলে তিনচাকার টোটোর যে একটা আলাদা গ্ল্যামার আছে। আলাদা আভিজাত্য আর কৌলীন্য আছে, আর সেই গভীর গোপন ভালোবাসা আছে। সেটা ঠিক ওই চার চাকার কাঁচ ঢাকা গাড়িতে বসে আসেনা খুব একটা। কেমন যেনো একটু অন্য রকম দমবন্ধ লাগে আমার। সেই নতুন বিয়ে করা বউ আর পুরোনো দশ বছরের ঘর সংসার করা বউ এর মতই যেনো। তবু হঠাৎ দরকার পড়ে যাওয়ায় কাজ এর জন্য বোলপুর থেকে সিউড়ি সদরে যেতে হলো আমায় বুধবার সন্ধ্যায়। 

 সেই সিউড়ি যে শহর মোরব্বার জন্য বিখ্যাত একটি শহর। যে শহরে যানজট নিরসনে সদা ব্যস্ত থাকতে হয় পুলিশ আর সিভিক পুলিশকে দিন আর রাত এক করে। যে শহরের কাছেই কদিন আগে একটি হনুমান মন্দিরে বজরঙ্গবলীর মূর্তি ভাঙা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি দ্রুত। যে শহর থেকে একটু দূরে ম্যাসাঞ্জোর, বক্রেশ্বর, অল্প দূরে রাজনগর। আর সেই করিধ্যার বিখ্যাত সেই সৎসঙ্গ মন্দির। যে মন্দিরে একদিন রাতে থেকেছিলাম দেওঘর যাওয়ার পথে সেই সন্তু দার সাথে। 

একটু এগিয়ে গেলেই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা। আর একটু এগিয়ে গেলে দুমকা। আর একটু দুরে দেওঘর, মধুপুর সব বিখ্যাত জায়গা। আর সব থেকে কাছে সেই বিখ্যাত তিলপাড়া ব্যারেজ। যে শহরে বহুদিন বহুবছর আগে একটি ছোট লজে একা একা রাত কাটিয়ে ভূতের ভয়ে খাট থেকে নিচে পরে যাবার উপক্রম হয়েছিল আমার। সারারাত নানা কর্মকাণ্ড দেখে ভয়ে আমার আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়েছিল। কোনরকমে সারারাত কাটিয়ে ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় ছিলাম আমি। আলো দেখে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম যে বেঁচে গেলাম এই যাত্রায় কোনো রকমে বোধহয়। 

সেই সিউড়ি চলে এলাম বোলপুর থেকে সন্ধ্যায় সোনাঝুরি জঙ্গল পার করে সেই আমার কুটির এর পাশ দিয়ে সাত্তোর,‌ দেবগ্রাম, পারুই পেরিয়ে একদম ফাঁকা অন্ধকার কালো মসৃণ পথ ধরে। সেই গড়গড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে। আর একটু এগিয়ে পুরন্দরপুর পেরিয়ে সিউড়ি সদরে পৌঁছে গেলাম আমি। সিউড়ি রেল গেট পার করে। মাথার ওপর রেল ওভার ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে খুব শীঘ্রই হয়তো চালু হবে এটি। শহরে পৌঁছে বেশ ফাঁকা রাস্তা ধরে এসপি মোড় পৌঁছে গেলাম আমি। রাস্তা খুব ভালো এই প্রায় আটত্রিশ কিলো মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেটাই বুঝতে পারলাম আমি। না এই জার্নি করে দেখলাম এই পথটা বেশ সুন্দর করে রাস্তার কাজ হয়েছে। 

সিউড়ির এসপি মোড় থেকে সোজা বাই পাশ এর রাস্তা ধরলাম আমি। আর একদিকে কলকাতা, অন্যদিকে রামপুরহাট, অন্যদিকে সোজা গেলেই সেই ম্যাসাঞ্জোর যেখানে শীত পড়লেই বহু মানুষ ভিড় জমান দূরদূরান্ত থেকে। আর সেই রাস্তার পাশেই হনুমানজির মন্দির গড়ে উঠেছে। যেখানে হাতজোড় করে এই হালকা ঠাণ্ডায় গলায় মালা পড়ে দাঁড়িয়ে আছেন প্রভু হনুমান জী স্বয়ং একা একাই। 

ইদানিং অনেক জায়গায় এই হনুমানকে স্মরণ, পুজন, তাঁকে স্মরণ করে গুণগান বেশ বেড়েই গেছে দেখছি। বেশি করেই তাঁকে স্মরণ করে মনস্কামনা পূরণ করতে চেয়ে লাইন পড়ে যায়, এই সব জয় হনুমানজির এই মন্দিরে। উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগেই এই জেলার সিউড়ি শহর থেকে কিছু দূরেই আক্রান্ত হন প্রভু হনুমান নিজেই। মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর মূর্তি। যা নিয়ে বেশ সমাজ মাধ্যমে ঢেউ আছড়ে পড়ে।

যদিও আজ গাড়িতে পথে যেতে যেতে দেখলাম সেই আক্রান্ত হনুমান আবার উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন‌ মন্দিরের ভিতর। মিটিমিটি স্মিত হাসি তাঁর মুখে। কদিন বাদেই সেই মন্দিরে হনুমান প্রতিষ্ঠার আয়োজন হবে, ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে হয়তো আবার। ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেলাম তারপর আমার নিজের কাজ সেরে বোলপুর ফিরে এলাম আমি রাতের বেলায়।

 রাতের অন্ধকারে এই টোটো ছেড়ে দিয়ে চার চাকা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগলো আমার। আর মনে মনে ভাবলাম সেই লেজে আগুন লেগে যাবার পর লঙ্কা ছারখার করেই থেমে যায়নি ওরা শুধু জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে। এই বাংলার মাটিতেও বেশ লম্ফ আর ঝম্প করছে ওরা মাঝে মাঝেই। জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে আস্ফালন করছে ওরা। আর সেই লম্ফ ঝম্প করার মাঝে বিশল্যকরণী আনার অছিলায় গোটা পর্বতমালাকেই তুলে নিয়ে আসছে যখন তখন। সত্যিই অসাধারণ এই সব উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারিদিকে নানা ভাবেই।

রাতের অন্ধকারে দ্রুত গতিতে গাড়ি ছুটছে। অন্ধকার রাস্তায় কেমন হঠাৎ করেই আলোর রেখা পথ ধরে এগিয়ে আসছে কে যেন দুর থেকে। মনে মনে অস্ফুটে আমিও কপালে হাত ঠেকিয়ে মা দূর্গা আর মা কালীর নাম জপ করেও। আবার কেমন অস্ফুটে ভয়ে জয় হনুমান জী বলে কপালে হাত ঠেকিয়ে প্রনাম জানালাম আমি। কি দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের চারিপাশটা। এই নানা ঘটনা আর সেই ঘটনার সাক্ষী হয়ে অন্ধকার পথ, মাঠ, ঘাট, জঙ্গল পেরিয়ে আমার প্রিয় শহর বোলপুরে পৌঁছে গেলাম আমি। যেখানে আমি স্বচ্ছন্দ আর সত্যিই বেশ ভালো থাকি। সেই আমার প্রিয় তিন চাকার টোটোময় শহরে। যে শহরে আমি আমার এই এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন কাটিয়ে যাচ্ছি আমার জীবনের শেষের কটা দিন। 
তিন চাকা ছেড়ে চার চাকায় -অভিজিত বসু।
পাঁচ ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্যে নিজস্ব সংগ্রহ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...