সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হ্যাপি বার্থডে দিদি

আজ এক বিখ্যাত সাংবাদিক এর জন্মদিন। যাঁর জন্মদিন তাঁর বিষয়ে লিখবো কি না সেটা ভেবেই চলেছি আমি নিরন্তর খাতা আর কলম হাতে বসে চুপ করে। আদৌ সেটা লিখলে কি হবে, কতটা তার অভিঘাত বা ঝড় আর প্রবল ঝাপটা সামলাতে হবে আমায় সেটা ভেবে ভয়ও হয় বেশ আমার। বুড়ো হয়ে গিয়ে এখন ভয় পেয়ে বসি আমি অল্পতেই। এখন ঘরে ভয় আর বাইরেও ভয়। এই ভয় নিয়েই তো বেঁচে থাকা আমার কোনও ভাবে। কোনও রকমে মুখ লুকিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা আর কি। চেনা আর অচেনার ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া আর মিশে যাওয়া।

আমার তবু মনে হয় নানা জনের বিষয়ে তো লিখি আমি আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায়। যে অকথিত কথা অজানা গল্প লিখতে বেশ ভালোই লাগে আমার এই বুড়ো বয়সে এসে। সেই সব নানা অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবনের কথা স্মৃতির সরণী বেয়ে এগিয়ে চলতে ভালো লাগে আমার। এই শীতের দুপুরে মকরের স্নান সেরে বেশ মন্দ লাগে না কি বলেন এমন স্মৃতি চারণ করতে। তাই কিছুটা ভয়, কিছুটা দ্বিধা, কিছুটা জড়তা আর কিছুটা সম্পর্কের আড়ষ্টতা কাটিয়ে এই শীতের দুপুরে মকর সংক্রান্তির দিন লিখতে বসলাম আমি বাংলার সেরা মহিলা সাংবাদিক ও সেরা মহিলা অ্যাঙ্কর মৌপিয়া নন্দীকে নিয়ে। শুধুই তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এই লেখা। জানিনা কি হবে এই লেখার পর আমার।

সিঙ্গুরের তিন ফসলি মাঠ, সিঙ্গুরের নির্মল বাতাস, গ্রাম্য সিঙ্গুরের সেই ছোঁয়া লাগা মেঠো পথ ধরে মেয়েটির রাস্তায় বেরিয়ে পড়া। সিঙ্গুর থেকে কলকাতার রাজপথে নেমে ভোরের ট্রেন ধরে শহরে এসে কঠিন লড়াইয়ে শামিল হওয়া। পা টিপে টিপে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা বেশ কঠিন ও কঠোর পথ ধরে সাবধানে আর নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে। গ্রাম থেকে শহরে এলে যা হয় আর কি। 

কিন্তু কিছু কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা হাজার ঝড় ঝাপটা সামলে কঠিন পরিস্থিতিকে ঠিক হাসি মুখেই সামলে নেন। তাঁরা কাউকে বুঝতে দেননা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতির কথা। কি ভাবে লড়াই করে টিকে গেলেন তিনি সেই কথা। লড়াইয়ের মাঠের স্ট্রাইকার এর খেলা কোন ছকে কোন পথে এগোলো সেই কথা কাউকে না বুঝতে দিয়েই গোল করে হাসি মুখে মাঠ ছাড়েন তিনি সগর্বে আর সদম্ভে। এটাই তার আসল ইউএসপি। প্রায় হারতে হারতে জিতে যাওয়া। ট্রাইবেকারে ড্র হওয়া খেলাকে শেষ মিনিটে হাফ চান্স থেকে গোল দিয়ে জয়মাল্য গলায় পড়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়া। 

আর এইখানেই তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অন্য যে কোনো মাঠের খেলোয়াড়কে তিনি বলে বলে হাসিমুখে গোল দেন এইভাবেই। আর আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উচ্ছসিত হয়ে মনে মনে ভাবেন এটাই যে সত্যিই বড়ো ভালো লাগে তাঁর এইভাবে অন্যদের এলেবেলে আর এলোমেলো করে দিয়ে গর্বের হাসি নিয়ে বেঁচে থাকতে আর বার বার গোল দিতে। যে বেঁচে থাকার স্বাদই আলাদা, যে বেঁচে থাকার অনুভূতি আলাদা, যে বেঁচে থাকার সুখ আলাদা। যে বেঁচে থাকার ব্যাপ্তি আলাদা। যে বেঁচে থাকার মধ্যে জড়িয়ে আছে তার প্রিয় পোষ্য দের নরম ওম মাখা ভালোবাসা মায়া আর মমতা।

আসলে কি বা লিখি আর কি বা মনে আছে তাঁর বিষয়ে আমার। সেই আকাশ বাংলা চ্যানেলে সাড়ে দশটার খবর হচ্ছে টিভির পর্দায়। সেই নিউ মার্কেটে একটি ঝাঁ চকচকে শপিং মলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা একজন মহিলা সাংবাদিক। যে একটি শহরের নানা ফাঁদ পাতা ভুবনে সহসা একটি খবর করে বিখ্যাত হলেন সেই মহিলা সাংবাদিক। সেই প্যাকেজ দেখে আর মহিলা সাংবাদিকের কাজ দেখে আর তাঁর সাহস দেখে মনে হলো ইনি বহুদূর পর্যন্ত দৌড়ে যাবেন একদিন নিশ্চয়ই। 

ঝকঝকে উজ্জ্বল মুখ বেশ টিভির দুনিয়ায় বোকাবাক্স এর পর্দায় উপযুক্ত একটি সুন্দর ঝকঝকে মুখ। যে মুখ ধীরে ধীরে কেমন বাংলা মিডিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে গেলো নিজের কাজের জোরে আর কিছুটা হলেও ভাগ্যের জোরে আর কপাল জোরে। সেই আকাশ বাংলা চ্যানেল থেকে ২৪ ঘণ্টায় চলে এসে সিঙ্গুরের মাঠ ছেড়ে কলকাতার রাজপথে দাপিয়ে ঘুরে বেড়ানো। কখনও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় দাপিয়ে কাজ করা। কোনও সময় রাস্তায় স্ট্রীট ফাইট করতে নেমে পড়া। সত্যিই বেশ বর্ণময় একটা সাংবাদিক জীবন। যে জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য হয়ে জুড়ে গেছে শুধুই খবর, খবর আর খবর। জীবনের খবর। মানুষের খবর। জল জঙ্গল এর খবর। বাঘের খবর। নানা ধরনের খবর।

সেই খবরকে ভালোবাসা সাংবাদিক এর কাছ থেকে প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে। সেই ভোরবেলায় সাড়ে পাঁচটার মর্নিং শিফটে এসে একনম্বর চ্যানেলকে অ্যাসাইনমেন্টের টেবিলে বসে খবরে গোল দিতে কার না ভালো লাগে। আর গোল দেবার পর যদি দেখা যায় মাঠের সেরা স্ট্রাইকার এর প্রশংসা জুটে যায় হাসি মুখে। শোনা যায় অভিজিৎ দা ফাটিয়ে দিয়েছো তুমি। তাহলে তো আর কথাই নেই কি বলুন।

 আর যদি সেই বিখ্যাত অ্যাঙ্কর মৌপিয়া নন্দী প্রাক্তন ডিজি ভূপিন্দর সিং এর ফোন ইন নেওয়ার পর খবর পড়ে বেরিয়ে এসে আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে বলেন, বাহ দারুন হয়েছে এই ফোনটা অভিজিৎ দা। আমি কেমন চুপ করেই শুনে বেশ মনে মনে আনন্দ উপভোগ করি। তৃতীয় সারির খেলোয়াড় হলেও প্রথম সারির খেলোয়াড় এর প্রশংসা শুনে মনে মনে ভাবি যাক উয়াড়ি টিমের প্লেয়ার তাহলে সেই বিখ্যাত মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল এর মাঠে খেলতে পারে যদি খেলার সুযোগ পায় সে কোনও ভাবে। যে সুযোগ সে আগে এই ২৪ ঘন্টা চ্যানেলে বারবার ইন্টারভিউ দিয়েও পায়নি।

যাক এসব তো সুখ স্মৃতির উত্তাপ অনুভব করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা মাত্র। সেই নিউজ রুমে শাশুড়ির হাসির গল্প শুনে আমার সাথে ঠাট্টা ইয়ার্কি করা। এমন ভাবে কেটে যাওয়া দিনগুলো বেশ ভালই ছিল কিন্তু আমাদের একসময়। ঝড়,ঝাপটা, হাসি, ঠাট্টা ইয়ার্কি করে জীবনটা বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু সব দিন কি আর সমান যায়। আকাশে মেঘ জমে, মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে কেমন যেন রাস্তা পিচ্ছিল হয়। আর সেই পিচ্ছিল রাস্তায় কাদা জমে হাঁটতে বড়ো কষ্ট হয় সেই চেনা পথ ধরে। তারপর একদিন সেই চেনা পথ, চেনা মাঠ, চেনা রাস্তা ছেড়ে অচেনা পথে নেমে হেঁটে বেড়াতে হয়। একা একদম একা। 

তবু আজ এই তাঁর জন্মদিনে নানা মানুষের শুভেচ্ছা জানানোর মাঝে এই একদম এলেবেলে,এলোমেলো, বিন্দাস জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা এক মানুষের হ্যাপি বার্থডের শুভেচ্ছা দিদি। ভালো থেকো তুমি। এই ভাবেই নানা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। বার বার হাফ চান্সে গোল দিয়ে মাথা উঁচু করে কলার তুলে মাঠ ছাড়ো তুমি। যেটা দেখে দুর থেকে আমি মনে মনে গর্ব অনুভব করবো। সিঙ্গুরের সেই গ্রামের মেঠো আলপথ ধরে ঘুরে বেড়ানো এক গ্রাম্য মেয়ে, আজ গ্রাম ছাড়িয়ে দিব্যি শহরের খেলোয়ারদের হাসিমুখে গোল দিচ্ছে। আর বলছে দেখ কেমন লাগে। হ্যাপি বার্থডে। ভালো থেকো তুমি।

হ্যাপি বার্থডে দিদি - অভিজিৎ বসু।
চৌদ্দ জানুয়ারি, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মহম্মদ নিজামউদ্দিন - এর গল্প

আজ আপনাদের বলবো বর্ধমানের জামালপুরের মহম্মদ নিজামুদ্দিন এর গল্প। আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় আজ এই ঝড়ের রাতে সেই নিজামুদ্দিন এর হাসি মুখ, নামাজ পড়ে যিনি নিজের দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলতে পারেন, নেতাদের কথা বাদ দিন আমি আর আপনি তো এক। মানুষ আমরা, বন্ধু আমরা। কেউ কারুর শত্রু নয়। সত্যিই কি অসাধারন জীবন দর্শনের কথা কত সহজেই অবলীলায় বলে দিলেন তিনি হাসতে হাসতে। যা শুনে আমি সত্যিই অবাক হলাম এই ঝড়ের রাতে। বিহারের সমস্তিপুর জেলা থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে যিনি চলে এসেছিলেন এই বাংলায় এক সময় এই বর্ধমানের জামালপুর এলাকায়। ব্রিটিশ আমলে যাঁর বাবা এক সময় দেশের হয়ে কাজ করেছেন বলে জানান তিনি আমায় কথায় কথায়। যিনি মনে করেন এই তাঁর সাথে আমার পাশে বসে গল্প করার সুযোগ করে দিলেন তাঁর প্রিয় আল্লাহ আকবর আর আমার মা কঙ্কালী ও‌ মা তারা স্বয়ং নিজেই হয়তো।  আর তাই তো এই ঝড় জল এর রাতে তাঁর সাথে কথা বলার সুযোগ হলো আমার কলকাতার বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ সৌমাল্য চট্টোপাধ্যায় এর চেম্বারে বসে তাঁর সেই সুন্দর জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে...

এক প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ফোন

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এই বৃষ্টির মধ্যে এক প্রাক্তন পুলিশের বড় কর্তার ফোন। আচমকা মোবাইল স্ক্রীনে তাকিয়ে দেখলাম বিখ্যাত এই পুলিশ অফিসার এর নাম ভেসে উঠলো। এক সময় এই প্রাক্তন পুলিশ অফিসারকে কত ফোনে যে বিরক্ত করতাম আমি তার হিসেব নেই কোনো। আমায় কেনো যে হঠাৎ মনে পড়ল তাঁর এই ভাবতে ভাবতেই ফোনটা রিসিভ করলাম আমি। ওদিক থেকে সেই অতি চেনা গলা শুনতে পেলাম আমি, অভিজিৎ কেমন আছো তুমি। আমি বললাম স্যার ভালই আছি আমি। তোমার মেয়ের কি খবর। ওর পড়াশোনা হচ্ছে তো ঠিক করে। আমি বললাম হ্যাঁ পড়ছে ও। আর এক বছর পড়লে ওর গ্র্যাজুয়েশন হবে। তারপর যদি পারি আমি আর একটু পড়াবো ওকে। ফোনের ওদিক থেকে শুনতে পেলাম তিনি বললেন, হ্যাঁ ওর পড়া যেনো হয় তোমার মেয়ে খুব ভালো মেয়ে। দেখবে ঠিক ও ভালো কাজের সুযোগ পাবেই। যে বিষয় নিয়ে পড়ছে সেটা খুব ভালো সাবজেক্ট।  এই সব কথা বলতে বলতেই একটু বাংলা মিডিয়ার কাজের অবস্থা নিয়ে তিনি নিজেই কথা বললেন। প্রায় প্রতিদিন বাংলার এক নম্বর চ্যানেলে এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে টিভিতে দেখি আমরা সন্ধ্যা বেলায়। মিডিয়ার অনেক খবর তাঁর নখদর্পণে। তাই কে কোথায় কাজ করছে...

বাংলা জাগোর আউটপুট এডিটর

কিছু কিছু জনকে নিয়ে লিখতে গেলে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। মনে হয় এই রে কি ভাববেন তিনি। যদি কিছু মনে করেন। সম্পর্কের গভীরতা তো বেশি নয়। তাঁর সাথে কাজ করাও খুব বেশিদিন এর নয় মেরে কেটে দশ বা বারোদিন হবে হয়তো বা পনেরো দিন। আর তাতেই আমি লিখে ফেলব আমার সাদা জীবনের কালো কথা। তাতেই লিখে ফেলবো আমি আঁকিবুঁকি ব্লগের লেখা। যদি কিছু মনে করেন তিনি।  সেই বাংলা জাগোর অফিস। সেই হাজরা মোড় থেকে ই ওয়ান বাস থেকে নেমে দৌড়ে অফিস পৌঁছে যাওয়া। সেই রাজাময় এর দৌলতে চাকরি পাওয়া আমার। সেই অফিস এই দেখা হলো আমার চয়নিকার সাথে। এক সময়ের জনপ্রিয় মুখ খবরের দুনিয়ায়। সেই বিখ্যাত অ্যাঙ্কর তিনি। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্রই। সেটা বারবার প্রমান হয়েছে নানা ভাবেই। সেই বাংলা জাগো চ্যানেলের আউটপুট এডিটর মনে হয়। ভুলে যাই আজকাল বয়স হচ্ছে বলে নানা কথা। সেই ছোটো বাংলা জাগোর সংসার। সেই বিকাশ, ইন্দ্র, সন্দীপ, অঙ্কিতা, অনন্ত দা, সিরাজুল রাহুল দা , সুদীপ্ত আরও কতজনকে নিয়ে যে সুখের সংসার ছিল তাঁর। সেই কত দৌড় ঝাঁপ করা। দুতলা থেকে তিনতলায় হাঁফাতে হাঁফাতে খবর ধরিয়ে দেওয়া ঠিক যেনো রিলে রেসের মত...

২৪ ঘণ্টার প্রবাল

সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় আজ প্রবালের কথা। সেই নাটকের মঞ্চে অভিনয় করা প্রবল, সেই টিভির পর্দায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর প্রবাল। সেই ডেস্ক এর কপি লেখা প্রবাল। সেই নিউজ রুমে আমায় এক বাংলার বিখ্যাত জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর চোখে চোখ রেখে কথা বলা সাংবাদিক যিনি আমার জামার কলার ধরে মেরে মাটিতে ফেলে আমায় অনেককে সিধে করে দেবার মতই আমায় সিধে করার নিদান দিচ্ছেন আর সেই সময় আমায় মাটি থেকে হাত ধরে এগিয়ে এসে তুলে ধরে সাহায্য করা সেই প্রবাল। সেই হাসিখুশি সুন্দর একটা ছেলে। যার সাথে আমার খুব বেশি দিন কাজ করা হয়নি কিন্তু ওর কথা, মিষ্টি হাসি, ওর ভালো ব্যবহার এর কথা মনে পড়ে যায় আজও।  সেই টিভির পর্দায় নানা ধরনের ক্রাইম রিপোর্টার এর অনুষ্ঠানকে ঘিরে ওর দৌড়ে বেড়ানো ছুটে বেড়ানো জীবন। সেই অনির্বাণ চৌধুরীর সুখের নিরিবিলি নিভৃতে মিডিয়ার সংসার। যে সংসারে প্রবাল, কুশল, সোমনাথ, প্রদীপ, দেবাশীষ, পত্রলেখা, তিন্নি, শ্রাবণী, দেবমতী, এমন কত যে লোকজন ছিল সেই আমলে। কেউ বেশি কাছের আর কেউ একটু দূরের জন। কিন্তু দাদাকে জড়িয়ে ধরে বেঁচে থাকার একটা দুর্লভ সংসার। যে সংসারে ছ...

জয় জগন্নাথ

রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম। পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব--হাসে অন্তর্যামী। রথ যাত্রার এই চিরন্তন সত্য লাইন কবি লিখেছিলেন বহুকাল আগেই। যা যুগ যুগ ধরে আমরা সবাই পড়ে আসছি, জেনে আসছি। যে জগন্নাথের রথ যাত্রা আমাদের কাছে একটা বিশেষ দিন। যে দিন জগতের প্রভু, জগৎ প্রভু রথে আরোহন করে বেরিয়ে পড়েন মাসীর বাড়ীর উদ্দেশ্যে। সাথে থাকেন বলরাম আর সুভদ্রা। আর সেই জগৎ প্রভুর রথকে ধরে টেনে নিয়ে যায় সাধারণ মানুষ। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই রথের রশিতে টান দেন। আসলে কি জানেন জগন্নাথ, যিনি আমাদের সবাইকে জগৎ সংসারে ধরে রাখেন, রক্ষা করেন। আজ তো সেই প্রভুকে রথের রশিতে টান দিয়ে একটিবার তাঁকে স্পর্শ করে,ছুঁয়ে দেখার একটা দিন। যে দিন বছরে এই একটিবার আসে। প্রভুর রথের রশিতে টান দিয়ে জীবনের সব কিছু পাপ, তাপ, কালিমা, দুঃখ, কষ্টের অবসান হয়। ভক্তকে এদিন ধরা দেন প্রভু নিজেই। তাই তো জগন্নাথ অর্থাৎ, জগতের নাথ বা জগতের প্রভু হলেন একজন হিন্দু দেবতা। ভারতের ওড়িশা, ছত্তিশগড় (বস্তার অঞ্চল), পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম, মণিপুর ও ত্...