কবে ওনার সাথে আলাপ আর কিভাবে আলাপ আজ আর মনেই নেই আমার এতদিন পরে। কোথায় আলাপ সেটাও জানা নেই আর। ভুলেই গেছি আমি এতদিনে সেটাও বয়স বাড়ছে যে আমারও। কিন্তু সেই সব ভুলে গেলেও সেই যোগাযোগটা আজও রয়ে গেছে আমার এতদিন পরেও দুজনের মধ্যে। আজও যে কোনো দরকার হলেই খবরের জন্য পুরনো তথ্য সংগ্রহ করতে হলে ফোনে দাদা এটা একটু বলবেন আমায়। বলে ফেলি আমি নির্দ্ধিধায় আর নিশ্চিন্তে নিরাপদে আর নির্ভয়ে তাঁকেই একমাত্র ফোন করি আমি। আসলে এই জটিল ঘূর্ণাবর্তে ঘুরপাক খাওয়া জীবন এর মাঝে এমন দু একজনকে পাওয়া যায় হেঁটে চলে বেড়াতে বেড়াতে। যাঁকে সবটাই বলা যায়। আজকাল তো বলা আর শোনার লোক কমছে বড়ো দ্রুতই চারিদিকে আমাদের আশপাশে। সাথে সাথে সব বিষয়ে জানা লোক এর সংখ্যাও।
সেই বিবিসির লন্ডন থেকে মহিলা সাংবাদিক আর সেই বিখ্যাত বিবিসির ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার হেড সুবীর ভৌমিক এর রিষড়ার অ্যালকালির দূষণ নিয়ে খবর করতে আসা চ্যানেল ফোর এর সাংবাদিকের সাথে করে নিয়ে। ইংরেজিতে সব তাঁদের বুঝিয়ে স্পটে ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। সেই কোন জায়গার গ্যাস নির্গমনের কারণে কত লোক অসুস্থ হয়ে পড়ছে ধর্মডাঙ্গা এলাকায় তার পরিসংখ্যান দেওয়া। তিনদিন ধরে ঘুরে ঘুরে খবর করা বিবিসির হয়ে। সেই আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর আগেও তো এই রূপম চট্টোপাধ্যায় এর সাহায্য নিয়েছিলাম আমি। আর আজ এতদিন পরেও যে কোনো দরকারে যখন তখন আমি ফোন করে ফেলি তাঁকে হয়তো তিনি বিরক্ত হন। জানি হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পারি এটা ঠিক নয় তাঁকে যখন তখন ফোন করা তবু ফোন করে ফেলি আমি সেই পুরোনো সম্পর্কের জোরেই হয়তো। অন্য কেউ হলে সেটা করা যেতো না।
সেই মহাকরণে সবাইকে এড়িয়ে পুলিশের বদলির তালিকা জোগাড় করতে হোমপার এর ঘরে পৌঁছে যাওয়া আমরা দুজন মিলে সবাইকে লুকিয়ে সেই তিন তলায় অফিসারের ঘরে। তারপর তালিকা দেখে অফিসে বলে দেওয়া। সেই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সরকারের সমালোচনা মূলক খবর হলেই তাঁর কাছে সেই খবরের বিষয়সমূহ নিয়ে আলাপ আলোচনা করা। আর কি ভাবে খবর হবে সেটা জেনে নেওয়া তাঁর কাছ থেকেই। সেটা মাওবাদী নিয়ে খবর হোক, সেটা এডুকেশন এর পলিসি মেকিং এর খবর হোক কিম্বা অন্য যেকোনো ভারী বিষয়ের খবর হলেই তাঁর সাহায্য নেওয়া আর আলোচনা করা।
সেই হুগলী জেলার কোন্নগর নবগ্রামের বাড়ী, সেই স্কুল টিচার বৌদি আর পড়াশোনায় খুব ভালো মেয়েকে নিয়ে রূপমদার বেশ সুখের সংসার। কতদিন যে সেই বাড়ীতে যাওয়া হয়নি আমার। বৌদির দূরের স্কুলে কাজ করা মেয়েকে সামলে, খবরের জীবন সামলে নিয়ে সেই কোনোও সময় হাওড়া জেলায় কাজ করা আবার কোনোও সময় কলকাতার রিপোর্টার হয়ে কাজ করা মহাকরণের অলিন্দে। এইভাবেই তাঁর সংবাদিক জীবন কেটেছে নানা ভাবেই। আজ আমি আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই বিখ্যাত সাংবাদিক রূপম চট্টোপাধ্যায় এর কথা লিখতে বসে পড়লাম এই রাতদুপুরে। মনে হলো তাঁকে নিয়ে লিখে ফেলি আমি আমর এই আঁকিবুঁকি ব্লগে।
সেই মুখ্যমন্ত্রীকে চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে পারা একজন সিনিয়র সাংবাদিক। সেই রাত আটটার সময় অনুপম অন লাইভের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক অতিথি হিসেবে নিজের জোরালো বক্তব্য রাখা সেই চ্যানেলে। সেই বাংলা আর ইংরাজি কাগজে রিপোর্ট লেখা একজন সফল মনের উচ্চশিক্ষিত সাংবাদিক। গণহত্যার রাজনীতি নিয়ে যাঁর বই বেরিয়েছে সম্প্রতি কলকাতা বইমেলায়। নকশালপন্থীদের সাথে যাঁর যোগাযোগ বেশ শক্তপোক্ত। সেই সুবোধ মিত্রের কথা তো রূপম চট্টোপাধ্যায় আমায় বলেছিলেন একদিন। বামেদের দাপুটে মন্ত্রীদের যিনি বেশ ভালই চেনেন। ঠিক তেমনি একজন পড়াশোনা করা বেশ জ্ঞানী বিচক্ষণ একজন সাংবাদিক হলেন এই রূপম চট্টোপাধ্যায়।
কতদিন যে ঘণ্টার পর ঘন্টা নানা বিষয়ে আমাদের দুজনের আলোচনা হয় কথা হয় সেটা আর বলবো কি করে কোনো দেওয়া আর নেওয়ার সম্পর্ক ছাড়াই। আসলে এইসব পুরোনো আমলের সাংবাদিকদের থেকে তবু একটু সাহায্য পাওয়া যায়। বর্তমানে সেটা দেখাই যায়না একদম। সেই আমার মেয়ের বিশ্বভারতীতে ভর্তি হওয়া নিয়েও বেশ খবর দিয়ে সাহায্য করেন তিনি সেই সময়। যেটা আর কেউ করেনি এই সময় কোনোদিন।
সেই এপিডিআর এর সুজাত ভদ্র দা, সেই বন্দীমুক্তির ছোটন দা, সেই এ পি ডি আর এর রনজিৎ শুর, সেই মাওবাদী নেতা শ্রীরামপুরে গ্রেফতার হওয়া পোলবা অস্ত্র উদ্ধার এর কেসে। কি বেশ নামছিল তাঁর বিখ্যাত মাওবাদী নেতা ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। সেই মেদিনীপুর জেলে বন্দী হওয়া একজন মাওবাদী, এইসব নানা তথ্য থাকতো তাঁর কাছে গোপন ভাবেই।
কখনও কাগজ আর কোনোও সময় টিভিতে কাজ করেই তিনি তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিক জীবন কাটিয়ে দিলেন তিনি হাসিমুখেই। একদম চুপচাপ করে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। হৈ চৈ হুল্লোড় না করেই যেটা আজ কাল আর বিশেষ দেখা যায় না আর। যাই হোক সেই রূপমদার কথা লেখা হয়নি আমার। এতদিন পর সেটাই লিখে ফেললাম আমি এই গভীর রাতে ।
সেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে প্রেস মিট করা, দক্ষ ভাবে কথা বলা সবার সাথে। যুক্তি দিয়ে বোঝানো সেটাই যে তাঁর একমাত্র ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে এতদিনে মিডিয়ার বাজার কাজ করে। আর তাই হাজারও ভীড়ের মাঝে একটু আলাদা হয়েই আর অন্যতম হয়েই কাজ করে চলেছেন তিনি হাসিমুখে আজও। একদম নিজের পড়াশোনার জগতে।
সেই আকাশ বাংলার রিপোর্টার, সেই মহাকরণের ইংরাজি রিপোর্টার, সেই জ্ঞানী বিচক্ষণ বুদ্ধিমান সংবাদিক রুপম চট্টোপাধ্যায়। যাঁর কথা আর গল্পের শেষ নেই আমাদের। তবু এতদিন পরেও সেইসব কথা মনে পড়ে যায় আজ আমার এতোদিন পরেও দাদা আপনি ভালো থাকবেন।
আমাদের রূপম দা - অভিজিৎ বসু।
সাত ফেব্রুয়ারী দু হাজার চপঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন