কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।
সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবাগান চত্বরে। সেই তাঁর একটি পোস্ট দীর্ঘ রেলযাত্রার মান্থলি টিকেট কেটে এইবার বিরতির পোস্ট আমার দেখে মনে পড়ে গেলো এমন নানা কিছু ফেলে আসা দিনের কথা।
আর সেই সব কথাই আমি লিখতে বসলাম। সেই ইটিভির রিপোর্টার আমাদের পিনাকপানি ঘোষ এর কথা। সেই বর্তমানে দিনের পর দিন বাইলাইন পাওয়া রিপোর্টার পিনাক এর কথা। সেই পরে আনন্দবাজার অন লাইনের বিজেপির বিট এর রিপোর্টার পিনাক এর কথা। সেই সিদ্ধার্থ সরকারের বেশ কাছের জন হয়ে ওঠা পিনাকের কথা। এমন কত যে স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কে জানে আমার সাদা জীবনের কালো কথায়।
সেই বিজেপি অফিস এর সামনে থেকে ওর লাইভ দেখে আমার কেমন ভালো লাগা ওকে আমি চিনি বলে সেই লাইভ মোবাইলে দেখে নেওয়া এক নিঃশ্বাসে। আবার সেই চন্দননগরে ওর মেয়েকে নিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘুরে বেড়িয়ে ওদের দুজনের ছবি দেখে ভালো লাগে বেশ আমার। সেই ছোটো মেয়েটা আজ বেশ দেখতে দেখতে কেমন বড়ো হয়ে গেলো আর কি। জীবন তো এমন করেই ছুটে চলে, গড়িয়ে চলে নিজের আপন ছন্দে আর আপন খেয়ালে।
আর এইসবের মাঝে কেমন করে যেন দূরের বহু দূরের বন্ধু বা অন্য কিছুই হয়েই বেঁচে থাকে এমন কিছু আলগোছে সম্পর্কের পরিচিতজন আর এই ধূলিধুসর জীবন। যে জীবনের কথা মনে পড়ে যায় এই রাতের অন্ধকারে। সেই হাসি মুখের গরম লাল চায়ের সম্পর্ক। সত্যিই কতদিন যে ওর সাথে কথা হয়নি। কতদিন যে ওর সাথে মন খুলে প্রাণ খুলে আড্ডা দেওয়া হয়নি। কতদিন যে ওর সাথে খবর নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। আর বাংলা মিডিয়ার এই নানা ধরনের ঘটনা আর দুর্ঘটনা নিয়েও কথা বলে দুজনের হেসে ওঠা হয়নি কে জানে।
সব কি আর ইচ্ছা করলেই হয় আর পাওয়া যায় এই এক জীবনে ছোট্টো জীবনে। ওর শুধু একটা ছোট্টো পোস্ট, ছোট্টো বিরতির পোস্ট দেখে মনে হলো আমার কিছু লিখে ফেলি আজ। সেই পুরোনো দিনগুলো, হারিয়ে যাওয়া ইটিভির নিউজ এর পর্দায় স্ট্রীট ফুডের খবর গুলো বেশ মিস করি আমি আজও।
আমার মনে পড়ে যায় সেই সন্ধ্যা ছটা বাজলেই ইটিভির ঘোরা চাকা, সেই ছটার কলকাতা কলকাতার খবরের সিগনেচার টিউন শুনে টিভি খুলে বসে পড়া। নিজের এলাকার খবর দেখে আনন্দে পুলকিত হওয়া আর উচ্ছাসে ভেসে যাওয়া। সেই গম্ভীর গলায় অয়ন ভট্টাচার্য্যের খবর পড়া নাটকীয় ভঙ্গীতে। এসব যে কোথায় হারিয়ে গেল কে জানে। ভালো থেকো তুমি পিনাক। আর উত্তরপাড়ায় গেলে দেখা হলে আবার ফিরতে হবে পুরোনো দিনের স্মৃতি ঝলমল রাস্তা ধরে সেই জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরীর প্রাঙ্গণে, সেই উর্দি বাজারের রাস্তায়, সেই পুরোনো কলকাতার রাজপথে স্ট্রীট ফুডের সন্ধানে আবার। যে পথ পেরিয়ে এতদূর পৌঁছে যাওয়া। সেই উল্টো পথ ধরেই আবার ফিরে যাওয়া স্মৃতির সরণী বেয়ে।
ইটিভির পিনাকপানি ঘোষ - অভিজিৎ বসু।
ঊনত্রিশ ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন