অন্তহীন নৈঃশব্দ্যের অপেক্ষায় আছি আমি।
আঁধার মাখা রাতে মাখা মাখি হয়ে আছে, দ্বিতীয়ার চাঁদের নরম আলো।
পশ্চিম আকাশের কোল ঘেঁষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, নক্ষত্রের ঝাড়বাতির নুয়ে পড়া আলো।
যে আলোর দীপশিখায় তোমার কোলে ঘুমিয়ে থাকা, ছোট্ট শিশু স্বপ্ন দেখে বার বার।
চাঁদ দেখার স্বপ্নে যে বিভোর হয়ে মুখ লুকোয়,
তোমার কোলে সংগোপনে।
চাঁদের পেলব দুধে আলতা রঙের আভা, তোমার মুখের ওপর পিছলে পিছলে পরে।
তুমি কেমন যেনো থমকে দাঁড়িয়ে যাও, চাঁদের নরম আলোর আভা গায়ে মেখে, রাতের অন্ধকারে।
সেই অন্তহীন আঁধার পথ পেরিয়ে, সপ্তর্ষি মন্ডল পেরিয়ে।
তুমি কালপুরুষের সন্ধানে ঘুরে বেড়াও, রাতের রাতচরা পাখির ডানায় ভর করে একা একা।
রাতের পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজে খান খান হয় নৈঃশব্দ্যের অপেক্ষা।
অপেক্ষার প্রহর শেষে ঘুম জড়ানো চোখে ছোট্ট শিশু আড়মোড়া ভাঙ্গে তোমার কোলে।
ভোরের আলোয় হাঁটি হাঁটি করে আলোকিত হয়
ছোট্ট আঁধারময় জীবন।
আঁধার মাখা পথের মাঝে পড়ে থাকে রাতচরা পাখির ডানার পালক।
হলুদ বসন্তের ছোপ ছোপ দাগ বুকে নিয়ে উড়ে যায় পাখির পালক।
মাথার ওপর ঘুরে বেড়ায় কাক চিলের দল।
আলোর রোশনাই গায়ে মেখে, হলুদ বসন্তের ছোপ ছোপ দাগ বুকে নিয়ে, ভোরের আলোয় আলোকিত হয়
ছোট্ট জীবন।
হলুদ বসন্তের দাগ - অভিজিৎ বসু।
১০ মার্চ দু হাজার পঁচিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন