সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাধন দা ও শ্রীরামপুর সমাচার

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমাদের সেই হুগলী জেলার বহু পুরোনো শ্রীরামপুর সমাচার পত্রিকার সম্পাদক সাধন গাঙ্গুলীর কথা। দীর্ঘদেহী, সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি পড়া একজন মানুষ। বুক পকেটে রাখা একটা কলম। আর তাঁর মুখে হাসি লেগে আছে সবসময়। যিনি শুধু একটা ছোট কাগজ নিয়েই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন হাসি মুখে। আসলে কিছু কিছু মানুষ বোধহয় এমনই হয়। একটা জিনিসকে সঙ্গী করে নিয়ে জীবনের ভালোলাগাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা। হাসি মুখে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া। কি পেলাম আর কি পেলাম না তার হিসেব না করে। সংসার জীবন না করে আত্মীয় স্বজনদের থেকে দূরে থেকে তিনি কাটিয়ে দিলেন একটা ছোট পত্রিকাকে সঙ্গে নিয়ে। যেটা সত্যিই অসাধারন একটা কাজ। আজকের এই দৌড়ে বেড়ানো ছুটে বেড়ানোর দিনে এইভাবে জীবন কাটিয়ে দেওয়া সত্যিই বেশ কঠিন কাজ।  আমার সাথে দেখা হলেই তিনি বলতেন অভিজিৎ ভালো আছো। কি আজ বড়ো কিছু হলো নাকি খবর। আমি বলতাম না না। সন্ধ্যা বেলায় শ্রীরামপুর পল্লীডাক পত্রিকার ছাপাখানায় এসে হাজির হতেন তিনি। এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে তিনি এই সাংবাদিকদের ঠেকে এসে একটু বসতেন। সেই মহাকরণ,বিধানসভা, নব মহাকরণ, জেলাশ...

পূজো আসছে

সকাল থেকেই আকাশ এর মুখ ভার। কেমন যেনো থম মারা প্রকৃতির মাঝেই কুমোরটুলিতে রং এর প্রলেপ পড়ছে ধীরে ধীরে। মা দুর্গার মুখের ওপর সাদা রঙের ওপর পড়ছে গোলাপী রঙের উজ্জ্বল প্রলেপ। তুলির টানে বদলে যাচ্ছে মায়ের মুখের আদল একটু একটু করে। কেমন যেনো একটা অপরূপ রূপে বিরাজ করছেন মা আমার। সত্যিই তো রং হীন জীবনের এই মোরাম রাস্তায় জোনাকির আলো আঁধারির মাঝে কেমন যেনো উজ্জ্বল রঙের প্রকাশ ধীরে ধীরে। জল রং, তেল রং সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেজে উঠছেন মৃন্ময়ী মা আমার চিন্ময়ী রূপে। মা আসছেন। এখন যে শুধুই দিন গোনার পালা। ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রেখে হিসেব করার পালা। বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘুম থেকে উঠে জানলার ফাঁক গলে রাস্তায় তাকিয়ে দেখা ভেজা রাস্তার মোড়ের দিকে। চারিদিকে নানা গুঞ্জন পুজোয় ভাসবে শহর আর গ্রাম। জল থৈ থৈ ভালবাসার শহরে কেমন মন খারাপের মেঘলা ছোঁয়া লেগে গেছে যেনো চারিদিকে। তবু মন খারাপের মাঝেও যে পূজোর গন্ধ লেগে আছে একটু। ঠিক ওই হলুদ ফুলের রেণুর মতই এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে। যে হলুদ রেণুর স্পর্শে আমার শরীর মন ভরে যায় পূজোর ঠিক আগেই এই বৃষ্টি ভেজা সকালে। ...

মিন্টে ও আমি

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমি মিন্টের কথা বলতে চাই। জীবনের নানা রঙের ভালোবাসার সব উজ্জ্বল জলছবি এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বৃষ্টির ফোঁটার মতো। কেউ বলেন সাদা জীবনের কালো কথা লেখার কি দরকার আছে কোনো। আবার কেউ বলেন যত সব ফালতু কাজ। যাকে তাকে নিয়ে লিখে ফেলার কি দরকার। কি হবে এসব কথা লিখে রেখে। সবার সব কথা, নিজের কথা, অন্যদের কাছে জানানোর কি কোনো দরকার আছে। জীবনের গভীর গোপন অনুভূতির কথা আর নানা অভিজ্ঞতা আর সম্পর্কের কথাকে বাজারে নিয়ে আসার কি খুব প্রয়োজন আছে। কেউ সমালোচনা করছেন এই লেখার। আবার কেউ কেউ বলছেন না না বেশ ভালো লাগে তো পুরোনো দিনের স্মৃতি ঝলমল লেখা পড়তে। কেউ কেউ এই লেখা পড়ে কোনো মন্তব্য করেন না মুখ বুজে চুপ করে থাকেন। আবার কেউ কেউ হাসি মুখে প্রশংসা করেন।এইভাবেই তো আমি লিখে চলেছি আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির নানা কথা আপনাদের ভালোবাসা আর মন্দ কথা শুনে।  সেটা হতে পারে খারাপ হতে পারে সুখের নয় দুঃখের বিষয়। তবু তো ধরা থাকে সেই সব কথা আমার ব্লগে এই ভাবেই আঁকাবাঁকা অক্ষরে আঁকিবুঁকি ব্লগে।  আর আজ সেই আমাদের সবার কাছে অতি পরিচিত ক্...

স্বপ্ন দেখার দিন

আজ শুধু স্বপ্ন দেখার দিন। হ্যাঁ খাতায় কলমে তাই বলা হচ্ছে যে আজ বিশ্ব স্বপ্ন দিবস। সকাল বেলায় বৃষ্টি ভেজা আলসেমি কাটিয়ে বিছানায় আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে কেমন যেনো মনে হলো সত্যিই তো কতদিন যে জমিয়ে স্বপ্ন দেখা হয়নি আমার কে জানে। এই দৌড়ে বেড়ানো আর ছুটে বেড়ানো জীবনে অন্ধকার হাতড়ে আলোর দিশা খোঁজার জীবনে স্বপ্ন দেখার আর তাকে আমন্ত্রণ জানাবার আর ফুরসৎ পাই কোথায়। তবু তো স্বপ্ন দেখার বাতিক আমার বরাবর সেই ছোটো বেলা থেকেই।  যে বাতিক এর জন্য নিজেকে এক একসময় বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে। ঘুম ভেঙে জেগে গিয়ে ভেবেছি এমন স্বপ্ন দেখা কি যায় নাকি। তবু ওই যে বাতিক একটা রোগ। ছোটবেলায় আমাদের পাড়ার সেই যে নন্দ খুঁড়ো যে একটু মাথার চুল বড় রাখতে দিত না কোনোদিন আমায়। সেই যে রাস্তার পাশের কাঠের দোকানে কেমন বিবিধ ভারতী সেন্টার এ নানা গান এর সুর চালিয়ে আপন মনে কাঁচি চালাতো গম্ভীর মুখে। তার কাছেই শুনতাম একবার একটা এক লাখ টাকার লটারি জেতা হলেই তার সব স্বপ্ন পূরণ হবে জীবনে।  বিড় বিড় করে কাঁচি চালাতো আর মনে মনে বলতো এইবার নিশ্চয়ই আল্লাহ তার স্বপ্ন পূরণ করে দেবেন। আমরা রবিবার তার দোকানে ...

হলুদ প্রজাপতি

সকাল হতেই কেমন চারিদিকে ঘরে ফেরার ডাক। পূজোর আর বাকি মাত্র এক পক্ষ সময়। তার মাঝেই সেজে উঠেছে চারিদিক। মা আসছেন। সন্ধ্যা বেলায় আলো ঝলমল শহরের চেহারা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। খড়ের ওপর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়ে গেছে কবেই। মাটির প্রতিমায় পড়েছে দুধে আলতা রঙের উজ্জ্বল প্রলেপ।  আশ্বিনের সকালে ঘুম ভেঙে যায় ভোরবেলায়। না, এই শহরে আর কোথাও শিউলির সুবাস পাই না আমি ঘুম থেকে উঠে আজকাল। ঘুমের ঘোরে ভোর বেলায় টুপটাপ করে মাটিতে ঘাসের ওপর শিউলির পড়ার শব্দ শুনতে পাইনা আর। ভোরের আলোয় নাম না জানা পাখির ডাক শুনতে পাই না আমি। কেমন একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ চারিদিকে যেনো। চাপা দম বন্ধ করা রাস্তা ঘাট, ঘর দুয়ার, ফ্ল্যাট বাড়ির ফিতে দিয়ে মাপা ছোটো ছোটো কুঠুরি। সেই কুঠুরির মধ্য ঘুরে বেড়ানো সাজানো গোছানো সংসার একদম মাপা মাপা মাপের।  সেই সংসারে হাসি আর কান্না, আনন্দ আর দুঃখ সব মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে যে। এই কুঠুরির মাঝেই আশ্বিনের প্রথম সকালে ঘুম থেকে উঠে জানা যায় পূজোর আসার সময় হয়ে গেছে। না আশপাশে কোনো পুকুরে শালুক ফুলের সোঁদা গন্ধ নেই যে বুঝবো পূজোর বাদ্যি বাজলো। পাড়ার মণ...

মেয়ের হাত ধরে ঘরে ফেরা

বাবার জন্য মেয়ের এই অনন্ত অপেক্ষা। আবার এই বাবার জন্যই মেয়ের জেল যাত্রা। বাবার জন্য মেয়ের এই যে এক বুক উদ্বেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। আর বাবার হাত ধরে সেই চেনা পথ ধরে একসাথে ঘরে ফেরা। তার সাথে যে গভীর গোপন ভালোবাসা লুকিয়ে আছে সেটার ছবি ধরা পড়ল আজ তিহার জেল এর সামনে কৃষ্ণপক্ষের সন্ধ্যায়। যা দেখে ফের আবার আন্দোলিত হলো গোটা দেশের মিডিয়া সাথে বাংলার মিডিয়াও। হ্যাঁ, সেই বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের জেল মুক্তির ছবি এখন সারা দেশ জেনে গেছে এতক্ষণে টিভির আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে।  আর সেটা জেনেই কেউ কেউ বলছেন পিতৃপক্ষের আগে কৃষ্ণ বন্দনা আর তারপরেই শুরু হবে উৎসব এর সূচনা । ফেসবুকের কালো দেওয়ালে আছড়ে পড়ছে নানা কথা নানা লেখা সমুদ্রের ঢেউ এর মত আছড়ে পড়ছে সেই সব কিছুই। কেউ বলছেন বাংলা মিডিয়ার এই চরম নির্লজ্জতার করুণ অবস্থা ভাবলে লজ্জা হয়। আবার কেউ বলছেন এই বার কি আবার চড়াম চড়াম ঢাক এর আওয়াজ শোনা যাবে বীরভূমের লালমাটির দেশে সোনাঝুরির জঙ্গলে। কেউ বলছেন তাদের দাদা মায়ের দুধ খেয়ে বড়ো হয়েছেন তাই মাথা উঁচু করেই জেল মুক্তি হলো তাঁর। অবশেষে গরু পাচার মামলায় জামিন...