পুজোর ভীড়ে রাস্তায় ঠিক আছেন তিনি। স্বমহিমায় বিরাজ করছে তিনি সবার চোখের সামনে। জ্বল জ্বল করছে তাঁর হাতজোড় করা হাসি মুখের ছবি। বীরভূমের এই নব রূপকার কেষ্টদাকে সুস্বাগতম জানিয়ে রাস্তার পাশে সুন্দর কাট আউট ঝুলছে বীরভূমের দাদার। দাদা যে তাদের ঘরের লোক। তাদের প্রাণের লোক। তাদের কাছের লোক। সবার সুখ দুঃখের ভাগীদার যে তিনিই। অনুব্রত মন্ডল কিছুদিন আগেই ঘরে ফিরেছেন তিনি। তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই মেয়ের হাত ধরে ঘরে ফেরা তাঁর সেই লিচুপট্টির বাড়িতে। কত দিন পর ঘরে ফেরা তাঁর ।
অষ্টমী আর নবমীর রাতে তাই পথ চলতে চলতে এই ছবি আর কাট আউট দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম আমি নিজেই। সেখানে কি লেখা আছে পড়বো বলে। দেখলাম ছবির মাথায় লেখা আছে বীরভূমের লৌহ মানব, নবরূপকার কেষ্টদাকে জানাই সু স্বাগতম। সৌজন্যে ভিকিরবাঁধ দুর্গাপূজা কমিটি। যে পূজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পূজো অনুদানের পঁচাশি হাজার টাকা নিয়েছেন। সেই তাদের পূজো কমিটি এই লৌহ মানবকে সু স্বাগতম জানিয়ে কাট আউট লাগিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিতে চান তাদের দাদা এসেছেন নিজের ঘরে। যে দাদা উন্নয়নের হাওয়া বয়ে যাওয়া এই লাল মাটির বাউলদের দেশের নব রূপকার। যেখানে শুধু রবি ঠাকুরের ভাবাদর্শ ছাড়াও মা মাটি আর মানুষের ভাবাদর্শ বেশি করে প্রচারিত হয় দিকে দিকে গ্রামে গঞ্জে শহরে চারিদিকে।
আর যে ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে ভরসা করে এগিয়ে চলেছে রাজ্যের মানুষ দুরুদুরু বুকে। বিশ্বাস করুন এই ছবি, ছবির চোখের ভাষা, হাত জোড় করে তাঁর কেমন কাতর আবেদন, এমন সুন্দর পরিপাটি অভিব্যক্তি দেখে আমার নিজের বেশ ভালো লাগলো। মনে হলো আমার সাদা জীবনের কালো কথায় এই ছবি, এই ছবির মানুষকে নিয়ে কিছু লিখলে হয়। আগেও লিখেছি আমি আবার লিখতে ইচ্ছা হলো আজ এই পূজোর মরশুমে।
যিনি এই পূজোর মরশুমে নিজের গ্রামের বাড়ি গেছেন মেয়েকে নিয়ে পূজোর দেখভাল করতে। যিনি সেই লিচুতলায় নিজের বাড়িতে দলীয় কার্যালয়ে বসে সবার সঙ্গে দেখা করেছেন হাসি মুখে। নিজের উপস্থিতি প্রকাশ করেছেন নিজেই স্বমহিমায়। আর আজ একেবারে তাঁর সুন্দর ছবি দৃশ্যমান হয়েছে শহরে গ্রামের রাস্তায় নানা জায়গায়। এটাই বোধহয় রাজনীতির ময়দানে ঘুরে বেড়ানো মানুষদের প্রধান কাজ। জীবনে যত ঝড় ঝাপটাই আসুক,যেভাবে হোক ক্ষমতায় না থাকলেও প্রাণপণে ভেসে থাকার চেষ্টা করা।
রামকৃষ্ণ রোডের ওপর অবস্থিত এই ভিকিরবাঁধ দুর্গা পূজা কমিটি সেই কাজটাই করে দিয়েছে তাদের প্রিয় দাদার হয়ে। অনেক জায়গাই তাই আবার নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরন শুরু হয়েছে। এই বীরভূমের লৌহমানবকে নিয়ে। এসব দেখে নিশ্চয়ই সেই বীরভূমের উন্নয়নের প্রধান কারিগর নিশ্চয়ই নিজের ঘরে বসে মিটিমিটি হাসছেন আর মা দুর্গার কাছে করজোড়ে প্রার্থনা জানিয়ে বলছেন জয় মা, জয় মা। এইভাবেই যেনো আবার স্বমহিমায় নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পারি আমি মা। হাতজোড় করে কপালে হাত ঠেকান নবমীর সন্ধ্যায় অনুব্রত মণ্ডল।
বোলপুরে পুজোয় লৌহমানবের কাট আউট - অভিজিৎ বসু।
এগারো অক্টোবর দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন