সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নবকলেবরে টাক চর্চা সৌজন্যে : শওকত মোল্লা

এতদিন জানতাম যাঁর টাকা আছে তাকে নিয়েই আলোচনা হয় সব জায়গায় ঘরে বাইরে সর্বত্র। কিন্তু এই কলি যুগে এসে জানলাম টাকা নয়, টাক নিয়েও এখন জোর আলোচনা চলছে গোটা রাজ্য জুড়েই। কার জোর বেশি টাকার না টাকের সেটা নিয়েই এখন জোর কদমে চলছে যুদ্ধ দুপক্ষের মধ্যে। টাকাওলা মানুষদের মতে এসব ফালতু কথা বলে কি লাভ। চিরকাল আমরাই এগিয়ে ছিলাম, আছি আর থাকবো। কিন্তু হাল আমলের এই টাক বাবুরাও তো ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন, তাদের মতে আগের কথা ভুলে যান সব। কবে কি দিন ছিল। কবে টাকার জোরে বাজার কাঁপিয়ে দাপিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি আমরা সেটা সব পুরোনো দিনের গল্প। এখন এই মা মাটি আর মানুষের জমানায় দিন বদলে গেছে অনেক। টাকার দিন এখন শেষ। এখন শুধুই টাক ওলাদের দিন শুরু। তাই ফালতু মেলা ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করবেন না তো। এই টাক আর টাকার যুদ্ধে সরগরম এখন আমাদের এই গোটা রাজ্য।

 
আসলে এই টাক নিয়ে এত কথা লিখতেই হতো না আমায়। যদি না তৃণমূলের এক দাপুটে বিধায়ক টাকমাথা লোকদের ডেকে নিয়ে এসে সংর্বধনা দিতেন। কারন তাঁর মতে টাকমাথার লোকরা বেশি জ্ঞানী আর বুদ্ধিমান হয়। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ১০০ জন টাক মাথার লোককে এনে তাদের সব বুদ্ধিজীবী হিসেবে ঘোষণা করে সংর্বধনা জানিয়েছেন সম্প্রতি। ফুল, পাঞ্জাবি, মিষ্টির প্যাকেট হাতে দিয়ে করজোরে নমস্কার করেছেন বিধায়ক সেই বুদ্ধিজীবীদের। শুধু এখানেই শেষ নয় তাঁর আশা ভবিষ্যতে তিনি আরও এই ধরনের টাক মাথার লোকদের জড়ো করে ঘটা করে টাকের প্রতিযোগিতা করবেন তিনি। সত্যিই তো এহেন পরিস্থিতিতে টাকওলাদের চাপে পড়ে টাকাওলারা যে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে সেটা আর সন্দেহ নেই। 

মাথায় চুলের অভাব হলো টাক পড়া। কিছু ক্ষেত্রে পুরো চুল পড়ে যায়। আবার কারুর ক্ষেত্রে আংশিক চুল পড়ে যায়। পুরুষদের এই টাক পড়ে যাওয়াকে বলে আন্ড্রোয়োজেনিক অ্যালোপেসিয়া। অনেক সময় মানসিক চাপের জন্যও এই  মাথার চুল পড়ে যায়।  আবার এই টাক পড়া বংশগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও পড়ে। আর এই টাক যে সৃষ্টি করে সেই হরমোন যার নাম হলো ডাইহাইড্রো টেস্টোস্টেরন একটি শক্তিশালী যৌনো হরমোন এর জন্য দায়ী। তবে এই টাক মাথার পুরুষরা নাকি নারীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন আর ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার এক গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। এছাড়াও জার্মানীর ইউনিভার্সিটি অব সারল্যান্ডের এক মনোবিজ্ঞানী তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে যে, টাক মাথার লোকদের বুদ্ধি ও জ্ঞান বেশি অন্যদের থেকে। এমনকি মিশরের সভ্যতার ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে যে সেই সময়েও টাক মাথার লোকদের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই টাক কিন্তু সেই প্রাচীন আমল থেকেই বিদ্যমান।


তাহলে আর এত টাক নিয়ে হৈ চৈ হুল্লোড় কেনো। যে কথা বলে টাকপড়া লোকদের ডেকে এনে ফুল মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে সেটা তো তাহলে ঠিক কাজই করা হয়েছে তাই না। সমালোচনার কোনো জায়গা নেই যে টাকলাদের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে। আসলে এই রাজনীতির অঙ্গনে নতুন কিছু অনুষ্ঠান করলেই কেমন যেন হৈ চৈ পড়ে যায়। রে রে করে ওঠে অন্য পক্ষ। টাক আর টাকার এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায় সাধারণ আম জনতাও। কেউ বলেন এই মা মাটি মানুষের আমলে সবকিছুই সম্ভব। সে টাক হোক, আর টাকা হোক যাই হোক। যেভাবে হোক প্রচারে তো থাকা যায় এইসব নানা অনুষ্ঠান করে। 

তবে এতদিন যাদের টাকলু, চান্দু, ফুটবল মাঠ, ঠুল্লা এমন সব অবজ্ঞা আর উপহাস সহ্য করেই চুপচাপ মুখবুজে থাকতে হয়েছে। এই তৃণমূলের নতুন টাক তত্ত্বে কিছুটা হলেও হালে পানি ফিরে পেয়েছে তারা। পিছিয়ে পড়া এই টাকওলা মানুষগুলো কেমন যেনো একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকতো তারা। আর গোবেচারা চেহারার ওই সব টাকমাথার লোকগুলো এখন কেমন বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা ওই টাকাওলাদের পাশে। সত্যিই অসাধারণ এই  তৃণমূলের বিধায়কের টাক তত্ত্বের দর্শন।    

এই বাংলার রাজনীতিতে টাকওলা নেতার দেখা খুব কম মেলে। তবে বিদেশে কিন্তু টাকওলা নেতা অনেক। সেই চার্চিল থেকে লেনিন, মুসোলিনি থেকে গর্বাচেভ, ক্রুশ্চেভ, পুতিন এমন জগৎ বিখ্যাত নেতারা তাদের টাক মাথাজোড়া টাক নিয়ে রাজত্ব দাপিয়ে সামলে গেছেন। আর বিখ্যাত টাক নিয়ে সেই অনুপম খের আর রজনীকান্ত তো সুপার হিট। তাহলে আর এই টাক নিয়ে দোষ কথায় বল মা সেই গান গাইতে হয়। হ্যাঁ, সত্যিই তো তাহলে আর ওই শুধু টাকওলাদের সংবর্ধনা দেওয়াতেই  বা দোষ কোথায়। 

এক সমীক্ষা বলছে পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ে। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের পুরুষদের চুল পড়ার হার ১৬ পার্সেন্ট থেকে বেড়ে ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই হার ৫৩ পার্সেন্ট হয়। তাই টাক যে বয়স হলেই পড়ে সেটা কিছুটা পরিষ্কার। হয়তো একটু বয়স হলে জ্ঞান বুদ্ধি আর বিবেক বৃদ্ধি পায়। আর তাই বুদ্ধিও বেড়ে যায় অনেক। সেই কথা মাথায় রেখেই হয়তো বিধায়কের এই নতুন কর্মসূচি গ্রহণ। আর যাঁদের জন্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তাঁদের মুখে বেশ চওড়া হাসি। কারণ চল্লিশে টাক পড়ে গিয়ে ঘরে বাইরে সর্বত্রই একটা হাসির খোরাক হতে হতে হঠাৎ করেই এই সংবর্ধনা আর প্রশংসা পেয়ে তাঁরাও সব কেমন যেন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে বলছেন, জয় মা মাটি মানুষের জয়। জয় আমাদের টাকের জয়।

নবকলেবরে টাক চর্চা সৌজন্যে : শওকত মোল্লা
অভিজিৎ বসু।
তেইশ অক্টোবর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্যে গুগল ও সংগ্রহ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...