সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দুয়ারে ছাব্বিশ, নবীন প্রবীণ এর জনসংযোগের মমত্বেই তৃণমূল।

পূজো শেষ। মা দুর্গা ঘরে ফিরে গেছেন দিন কয়েক আগেই। চারিদিকে এখন ঘটা করে বিজয়া সম্মিলনী পালন পর্ব চলছে দিকে দিকে। দ্রোহ কালের পর্ব পার করে মা দুগ্গার পায়ে সেজে গুজে অঞ্জলী দিয়ে। মার কাছে সবার মঙ্গল কামনা করে। পাড়ায় পাড়ায়, ব্লকে ব্লকে, গ্রামে গ্রামে আর শহরে শহরে। কেমন যেনো এই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় আর কোলাকুলি পর্ব চলছে হৈ চৈ করে। এই অবধি সব কিছুই তো ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু গোল বাঁধলো ওই কিছু লোকদের নিয়ে। কারণ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই ম্যাচে এবার যে নব্য ও প্রাচীনদের হৈ হৈ করা ভীড়। যা দেখে কিছুটা হলেও অবাক লেগেছে আমার। 

মা মাটি মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেস এর এই বিজয়া সম্মিলনী পালন এর অনুষ্ঠানে এই সব নব্যদের ভীড়ে প্রাচীন তৃণমূলীদের দেখে একটু কেমন যেনো খটকা লাগল। তাদের হাসি মাখা মুখ, তাদের হাতে সুন্দর লাল গোলাপ, মিষ্টির প্যাকেট দেখে আমিও অবাক। সত্যিই তো ভুল দেখছি না তো আমি। না না সত্যিই তো এই বদলে যাওয়া কর্পোরেট ভালোবাসা মাখা তৃণমূলে একটু অন্য রকম ছবি যেনো। যে ছবি দেখে অভ্যস্ত নই আমরা একদম। তবু বেশ ভালই লাগলো 

এই নতুনদের দাপটে আর ভীড়ে যে মা মাটি মানুষের আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠা দলটাতে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলো পুরোনো দিনের প্রথম দিন থেকে দল করা তৃণমূলীরা। তারাই আবার ডাক পেয়েছে এইবার মঞ্চে। তাদের ডেকে সংবর্ধনা জানিয়ে চুঁচুড়া বিধানসভার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলছেন, এই উদ্যোগ সত্যিই সাধু উদ্যোগ। যে ওয়ার্ডের এই কর্মীরা  পুরোনোদের ডেকে এনে মঞ্চে উপস্থিত করিয়ে মনে করিয়ে দিলেন এরাই হলেন আমাদের বিপদের আসল সাথী। এদের আমরা ভুলতে পারিনা কিছুতেই। এরাই আমাদের সেই পুরোনো আমলে কত লড়াই করে এই দলকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক সময় সেটাই আসল কথা। আজ তাঁদের এই সংবর্ধনা, তাঁদের এই উপস্থিতি আমাদের কাছে খুব আনন্দের।

 আর কোথাও আবার দলের পিছিয়ে পরা এই কর্মীদের বুকে জড়িয়ে ধরে হাসি মুখে আলিঙ্গন এর ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। যে ছবি সত্যিই বাঁধিয়ে রাখার মতোই মনে হলো। সেই সিঙ্গুরের হারিয়ে যাওয়া মহাদেব, সেই হুগলী জেলার শিয়াখালার ভজা, সেই রোদে জলে ঝড়ে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরা সেই বৃদ্ধা সরস্বতী। যাকে আমরা প্রতিদিন সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন করতে গিয়ে দেখতাম। তারাই তো একদিন এই ভালোবেসে মা মাটি মানুষের প্রধান চালিকা শক্তি ছিলেন এক সময়। যে ভজা সারা জীবন হাসি মুখে দল করে গেলো, যে সিঙ্গুরের বৃদ্ধা মহিলা হাসি মুখে জমির আন্দোলনে পতাকা হাতে নিয়ে অন্দোলন করে গেলো। যে মহাদেব জমি বাঁচাতে কঠিন লড়াই করলো। সে সব যে আজ সব অতীত।

কিন্তু ধীরে ধীরে কর্পোরেট হয়ে যাওয়া এই মা মাটি মানুষের দল থেকে কিছুটা দূরে সরে যাচ্ছিলেন তারাই। আর সামনে এসে ভিড় করেছিল নতুনরা। যে নতুনদের দাপটে পুরোনোদের এই দূরে চলে যাওয়া। আর এই সরে যাওয়া নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভও কম নেই।  কিন্তু এই দলের অন্দরের যুদ্ধে কেউ কিছুই বলতে পারে নি সবাই চুপ করে দেখে গেছে শুধু। কিন্তু এই আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কিছুটা হলেও পুরোনোদের কাছে টানার চেষ্টা করা হয়। 

যে দীর্ঘদিন করে দল করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আন্দোলন করা সাধারণ স্থানীয়রা কিছুটা হলেও অভিমান নিয়ে দলে এককোনায় পড়ে ছিলেন যাঁরা তাদেরকে হঠাৎ করে এই ভাবে কাছে টেনে নিয়ে এসে তাদেরকে ফুল মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া, এটাও কিন্তু একটা নতুন রাজনৈতিক  ভাবনা। এই নানা আন্দোলন আর ক্ষোভ বিক্ষোভের মাঝে এই দ্রোহ কার্নিভাল এর মাঝে এই ভাবে পুরোনোদের কাছে টেনে নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যে নতুনদের মাঝে পুরোনোদের গুরুত্ব কমে যায়নি তাই এই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে পাড়ায় পাড়ায় সেই চিত্রনাট্য দেখা গেলো। 

যে চিত্র দেখে আমরা অনেকেই অবাক হলেও এটাই আসল কথা যে সামনেই ছটি বিধানসভার উপনির্বাচন আর তারপর দু হাজার ছাব্বিশ সালে যে চতুর্থ বারের বিধানসভার ভোট হবে সেই ভোটে যাতে ফের মানুষ তৃণমূলমুখী হয় সেটাকে নিশ্চিত করতেই এই মাস্টারস্ট্রোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর। তিনি জানেন এই কর্পোরেট এর হাওয়ায় আর জনজোয়ার এ যাঁরা ভেসে গিয়েছিলেন তাদের দিয়ে শুধু দু হাজার ছাব্বিশ এর নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া বেশ কঠিন কাজ। আর সেই কারণেই তাই নবীন আর প্রবীণ, এই ঝাঁ চকচকে দামী তৃণমূলের সামনে এই গরীব মা মাটি মানুষের গন্ধ মাখা দলের কর্মীদের বুকে নিয়ে এই বার্তাই দেওয়া আমি যে কে তোমার, শুধু তোমরাই সেটা বুঝে নাও। 

আর এই নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে পুরোনোদের গুরুত্ব দিয়ে কাছে টেনে নিয়ে এসে বিরোধী রাজনীতির ময়দানে যারা ঘূর্ণি ঝড়ের গতিতে শক্তি নিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া। তাদেরকে একটাই বার্তা দেওয়া যে এই মা মাটি মানুষের দল তৃণমূল দল সবার দল। সবাইকে নিয়ে একসাথে আলোচনা করে চলা একটা শক্তিশালী দল। যে দল বেঁধে চলা হাতে হাত ধরে একসাথে চলা দল, এই দলের শক্তি অনেক বেশি। সেটাই বুঝিয়ে দিয়ে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল। 

তাঁদের মতে এটা একটা বড় কাজ পেছনের লোকদের সামনে এনে তাদেরকে বলা একসাথেই লড়তে হবে আগামী দিনের লড়াইয়ে। আর যে বার্তা পেয়ে খুশিতে ডগমগ পুরোনো মন খারাপ নিয়ে ঘরে বসে থাকা কর্মীরা। তারাও হাসি মুখে মাঠে ময়দানে নামতে পেরে খুশি। দিকে দিকে রটে গেলো সেই বার্তা প্রায় কর্পোরেট হয়ে যাওয়া তৃণমূল আবার মা মাটি মানুষের তৃণমূল হয়ে গেছে যেনো কি করে সবার অজান্তে। ওই টালির ঘরে বাস করা একজন মানুষকে ভালোবেসেই।

দুয়ারে ছাব্বিশ, নবীন প্রবীণ জনসংযোগের মমত্বেই তৃণমূল - অভিজিৎ বসু।
সাতাশে অক্টোবর দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক ও গুগল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...