সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জার্মান রেডিওর সুপ্রিয় দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক অন্য মানুষের গল্প। যে গল্প লেখার সৌভাগ্য আমার হঠাৎ হলো তার কাছ থেকে আসা একটা তাঁর নিজের ফোন নম্বর পেয়ে। যদিও সেই নম্বর পেতে আমায় রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয়েছে যা আমি অনেক পরে কথায় কথায় জানতে পারলাম। কিন্তু আমি নিজে কিছু না জেনেই তাঁর কড়া র‍্যাডারে থেকে পরীক্ষা দিয়েছি। আর সেই পরীক্ষায় আমি সম্মানের সহিত কৃতকার্য হয়েছি বলেই হয়তো আজ এই লেখা লিখতে পারছি আমি এই রাতদুপুরে। না হলে এই লেখা যেতো না।


একসময় ইটিভির কাজে সূত্রে বহুজন হায়দরাবাদ ডেস্ক এর কাজে যোগদান করেন সেই দু হাজার সালে। তেমনি একজন ছিলেন আমাদের বিখ্যাত সুপ্রিয় দা বা সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি কলকাতার বাদিন্দা। বলতে গেলে একে হায়দরাবাদ ডেস্ক এর লোক বলে কথা হেড অফিসের লোককে একটু ভয় নিয়ে কাজ করা তাঁদের সাথে। আর একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলা। যে কদিন কথা হয়েছে তাঁর সাথে সেটা বেশ ভয়ে ভয়েই কিন্তু সেটা বুঝতে দিতাম না কাউকেই আমি। অনেক পরে তিনি হায়দরাবাদ থেকে ইটিভির কাজ ছেড়ে জার্মান রেডিওতে চলে যান। তার আগে কিছুদিন বিবিসির বাংলা সার্ভিস এও কাজ করেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে সেটা জানতে পারলাম আমি।

সেই হেন বিখ্যাত ব্যক্তি আমায় তাঁর ফোন নম্বর দিলেন আমার মেসেঞ্জারে আর কি চাই। সাক্ষাৎ কথা না হলেও দুর থেকে ছবি ও পোস্ট দেখে হায়দরাবাদ এর অতীত জীবন এর কথা মনে পড়ে যেতো আমার মাঝে মাঝে। একবার মেয়ের মোবাইল ফোনের জন্য একটু বকেও ছিলেন আমায় বহুবছর আগে বোধহয় সেই সময় তিনি জার্মানীতে ছিলেন সেই সময়। বলেছিলেন এত মোবাইল দিস না মেয়েকে এটা ভালো নয় কিন্তু।
সেই মানুষটির জার্মান থেকে দেশে ফিরে আসা। নানা সময়ে নানা ছবি দেখা। সেই তারপর বর্ধমানের ছাদ থেকে তাঁর ঘুড়ি ওড়ানো দেখে, যেহেতু আমার ঘুড়ির নেশা প্রবল। আর নানা অনুষ্ঠানের লাইভ দেখে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সাথে দেখে মনে হয়েছিল, একটু জিজ্ঞাসা করি দাদা ভালো তো। কিন্তু কিছুটা হলেও ভয় বিরাজ করতো এতদিন পরেও। তাই আর কথা হয়নি তেমন করে কোনোদিন। এগোবার সাহস হয়নি কিছুতেই। কিন্তু তাঁর মোবাইল নম্বর পেয়ে কথা হলো সেদিন মনপ্রাণ খুলে দুজনে দুজনের সাথে বহু বছর পরে।

আর যেটা ভালো লাগলো যে কেউ একজন বললো আমায় যে, এই যে এই ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা এটা আমার ভালো লাগে তোকে দেখে। তোর এই সৎ থাকার চেষ্টা করা। আর কাউকে তেল না দিয়ে চলার চেষ্টা করা। ঠোঁটকাটা অমিকে কেউ এই ভাবে তো দেখেনি কোনোদিন। খালি আমার বদনাম করে গেছে। কেউ বলেনি এই ভাবে আমায় যে আমি যে পদ্ধতি অবলম্বন করে বেঁচে আছি সেটা খারাপ নয় বেশ ভালই। তিনিও যদিও এক স্টাইলে এইভাবেই টিকে আছেন কাউকে পাত্তা না দিয়ে। বহু বছর ধরে নিজের শিরদাঁড়ার জোরে। আর এখানেই কিছুটা দুজনের মিল খুঁজে পেয়ে ভালো লাগলো আমারও। বাতিল হলেও বেশ ভালই লাগলো এই ভাবে বেঁচে আছি জেনেও মাথা উঁচু করে। 

আর এইসবের মাঝে কিন্তু আমার যেটা ভালো লাগলো সেটা হলো বহু অকথিত অজানা হায়দরাবাদ এর গল্প শুনলাম তাঁর কাছে যা আমি জানতাম না কোনোদিন কোনো ভাবেই। যা জানার কথাও নয়। বহু মানুষের জার্মানীতে গিয়ে তাঁর আতিথেয়তা নিয়ে থাকা ও সেই বাংলার বিখ্যাত সাংবাদিক এর ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল কভার করা ও বিদেশ সফরের গল্প শুনলাম যেটাও আমার কাছে একদম অজানা ছিল।

 আর বহু বিখ্যাত মানুষের কলকাতা থেকে উদ্বিগ্ন গলায় রাতদুপুরে চাকরী চেয়ে ফোন করার গল্প শুনলাম। যে ব্যক্তি একদিন আমায় আমি কেনো একটি বাংলা চ্যানেলে মাতব্বর হয়ে লোক জোগাড় করে দিচ্ছি বলে নানা জ্ঞান দিয়েছিলেন আমায়। আর আমায় সামনে থেকে দেখে যাঁর একদম পছন্দ হয়নি বলেছিলেন তুই আর কি কাজ করবি এই টিভি চ্যানেলে। ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় তাঁর এই কথার জবাবে আমার সপাটে উত্তর ছিল কার সাথে আমি কাজ করবো সেটা আমিই ঠিক করবো, আপনি নয়। 

আবার একজন বিখ্যাত সাংবাদিক এর ছেলে যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে বেশ ভালো নিটোল সুন্দর জীবন যাপন করছেন বর্তমানে। একদম হাসিখুশি জীবন সেই যাঁর কথায় আমরা অনেকেই এই বর্তমান বাংলা মিডিয়াতে বাতিল বলে গণ্য হয়ে গেছি তাঁর নানা গল্প শুনেও বেশ ভালো লাগলো।

যাকগে এসব কথা ভেবে আর কি হবে। তবে সাদা জীবনের কালো কথায় কালো কই বলে অনেকেই লেখেন আমায় জানতে চান। কেনো সব কি আমার এই সাদার সাথে কালো হয়েই বেঁচে আছেন আমার জীবনে এই ভাবে নানা রূপে টুকরো টুকরো হয়ে প্রতীয়মান হয়ে। কে জানে তবে যাঁকে একদিন ইটিভির পর্দায় দুর থেকে দেখতাম। যার গলার আওয়াজ শুনে কেমন ভালো লাগতো বিদেশের রেডিওতে। যাঁর নানা বিখ্যাত মানুষের ইন্টারভিউ নেওয়ার গল্প শুনে কাছে এগোবার সাহস হয়নি কোনোদিন আমার। কেমন করে তাঁর কাছেই দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর কেমন সহজ স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। আমরা গল্প করলাম এই বুড়ো বয়সেও একদম ভয় না পেয়ে।

 আর সেই কথাই লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করলাম আমি আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে। জীবন বোধহয় এমন নানা ভাবে নানা আঁকাবাঁকা পথ ধরেই এগিয়ে চলে। নানা সময়ে সে নানা ভাবেই প্রতীয়মান হয় আমাদের কাছে। কেউ বলেন সব তো সাদাই তাহলে আর মিথ্যা ওই কালো কথা বলার মানে কি। কেউ বলেন এই সব ফালতু কথা জীবন চরিত এর কথা লিখে লাভ কি। আমি মনে মনে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটাই কথা বলি। ওই যে সেই কথা, অভিজিৎ জীবনকে দেখো, জীবন হলো সবথেকে বড় শিক্ষক। সেই জীবনকেই দেখে চলেছি আমি। যে জীবন কখনও আমার কাছে সহজ সরল ভাবে সাদা হয়ে ধরা দেয় আবার কখনও কালো দাগ রেখে যায়।

জার্মান রেডিওর সুপ্রিয় দা - অভিজিৎ বসু।
এগারো নভেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...