সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধুই একটা চেয়ার এর গল্প। আসলে এই হাতল ওলা যেদিকে খুশি ঘুরে বেড়ানো চেয়ারদের নিয়ে কিন্তু ঝামেলা কম নয় যেনো আমাদের। এই চেয়ার আছে তার স্বস্থানে, স্বমহিমায়, কেমন উজ্জ্বল হয়ে, ভাস্বর হয়ে চোখের সামনে। আবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা গেলো নেই সেই চেয়ার নিজের জায়গায়। যে চেয়ার নিয়ে এত মাতামাতি হৈ চৈ হুল্লোড় এক নিমেষে কেমন যেনো নিরানন্দের পরিবেশ দেখা গেলো তার চারপাশে।
আমার চেয়ার নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যথা কোনো কালেই ছিল না কোনোদিন। তাই বোধহয় চেয়ার এর প্রতি টান ভালোবাসাও খুব বেশি নেই আমার। যে চেয়ার এর জন্য এত খেলা ধুলা করা, ঠেলাঠেলি করা,
মারামারি করা,দৌড় দৌড়ি করে ছুটে বেড়ানো সেই চেয়ার নিয়ে মারামারি ঠেলাঠেলি তো কম নয় আমাদের এই আশেপাশে। যা দেখে মাঝে মাঝে মনটা বড়ই খারাপ হয়ে যায় যে। মনে হয় সত্যিই কি অসাধারন এই চেয়ার এর ক্ষমতা। যার প্রভাবে বিলুপ্তির পথে আশ্রয় নেয় সেই বৃষ্টি ভেজা দুপুরে দুজনের ছাতা হাতে মুড়ি আর ঘুগনি খাবার সম্পর্কও। সেই পাকা পেঁপে, পিয়ারা কেনার সেই গভীর গোপন সম্পর্কের সরু সুতো কেমন করে যেন আজও মনে পড়ে যায়।
কেনো যে ছাই সেই ফাঁকা চেয়ার এর আশপাশে কত কিছুই যে ঘুরে বেড়ায় তার ঠিক নেই যে কোনো। ভালোবাসা, যন্ত্রণা, মন্ত্রণা, গভীর গোপন ভালোবাসার সম্পর্কের চিনচিনে ব্যাথার অনুভূতি , আলোময় উজ্জ্বল হাসি, মুখ শুকনো করা ঠোঁট এর মাঝে কালো তিল এর হাতছানি, কত হাঁক ডাক, মাতব্বর মানুষদের দাপাদাপি, এমন কত স্মৃতি নিয়ে আজও অপেক্ষা করে ওই ফাঁকা চেয়ার ছোটো ঠাণ্ডা ঘরের এক কোণে মুখ বুজে চুপটি করে।
তার যে বড়ো মন খারাপ আজ। কেমন কোনো হৈ চৈ হুল্লোড় নেই। দৌড়ে সামিল হবার জন্য কোনো কারুর তাড়াহুড়ো নেই। শুধুই চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকা আর অপেক্ষা করা। যদি আবার কেউ আসে এক লহমায় বদলে যাবে চেয়ারের দিনলিপি, চেয়ারের আশপাশ, সেই ঘাড় উঁচু করে মোরগের মত কেমন অবাক হয়ে দেখবে সে সব কিছু। হেমন্তের এই শিশির ভেজা ভোরবেলায় আলো আর আঁধারির মাঝে। কেমন যেনো বড্ড মনমরা হয়ে গেছে ও।
চেয়ার এর কথা - অভিজিৎ বসু।
ষোলো নভেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন