এই পৃথিবীতে জায়গার বড়ই অভাব। এই ধূ ধু করছে ফাঁকা জায়গা। যেখানে আপনি স্বচ্ছন্দে ঘুরতে পারেন, বেড়াতে পারেন। হেঁটে চলে আনন্দে মশগুল হয়ে গল্প করতে পারেন। এমনকি খোস গল্পও করতে পারেন। খেলতে পারেন। বসতে পারেন। লিখতে পারেন। সবকিছুই করতে পারেন।
আবার কিছুক্ষণের মধ্যে সেই জায়গা আর আপনার জন্যে বরাদ্দ নেই। আপনি জেনে গেলেন ওই ফাঁকা জায়গা আর আপনার নেই। যা একটু আগেও কয়েক ঘণ্টা আগেও আপনার ছিল সেটা এখন অন্য কারুর হয়ে গেছে। যে জায়গায় আপনি দিব্যি হেঁটে চলে ঘুরে বেড়িয়ে হাসতে হাসতে সময় কাটিয়েছেন সেটা আর আপনার নেই। অন্য কারুর দখলে চলে গেছে। বেশ ভালই ব্যাপারটা কিন্তু।
যদিও জীবনে কারুর কিছুই স্থায়ী জায়গা নয়। গোটা জীবন যখন স্থায়ী নয় তখন আর এত জায়গা নিয়ে ভাবনা চিন্তা কেনো। স্পেস বিষয়টি বেশ মজার। এই আপনার কাছে অন্য একজনের জন্য স্পেস আছে। আবার পরক্ষনেই সেই স্পেস নেই। এই জায়গা থাকা আর পরক্ষণেই জায়গা চলে যাওয়া বেশ মজার কিন্তু কি বলেন। হঠাৎ মনে হলো এটা। কেনো যে এমন হয় জীবনে কে জানে।
যদিও আমি বরাবর ফাঁকা জায়গায় পছন্দ করি। কারুর কাছে কোনো স্পেস আশা করিনা আমি। একা ফাঁকা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসি আমি। সে এই জগৎ সংসারে হোক, হাটে হোক, মাঠে হোক, ঘাটে হোক, বাজারে হোক। তবু যে কেনো আমায় লোক স্পেস দিতে চায়না কে জানে। সে অতি প্রিয়জন, আত্মীয়, পরিজন, গুরুভাই, গুরুবোন , স্ত্রী, কন্যা, পিতা, কেউ নয়। স্পেস দিতে বড়ই আপত্তি আর কি।
কি আর হবে একটু জায়গা না পেলেও আমি দিব্যি বেঁচে থাকবো আমার বিন্দাস জীবন নিয়ে। দিনযাপন করবো যেমন করে হোক। সে কষ্ট সহ্য করেও। হাসি মুখেই। শুধু মনে হবে যারা একটু আগেও জায়গা দিয়েছে, ভালোবাসা দিয়েছে, আনন্দ দিয়েছে তারাই আবার সব বন্ধ করে দিলো। সত্যিই বিচিত্র এই দু হাত আর দু পায়ের মানুষ। যারা বোধহয় ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। নিজেদের স্বার্থে আর নিজেদেরই দরকারে।
যাকগে তার জন্য আর চিন্তা কি। শুধু মনে হয় সত্যিই তো জায়গা কি আর কেউ সহজে ছেড়ে দেয় কাউকে। জায়গা বোধহয় নিজেকেই করে নিতে হয়। যেমন করে তিন চাকার টোটো রাস্তায় হর্ন দিয়ে তার জায়গা করে নেয়। হর্ন দিয়ে জায়গা করার সময় হয়তো আসেনি এখনও। সময় হলে সেটাই হয়তো করে নিতে হবে।
তার আগে এই এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন যেমন চলছে তেমন চলুক। ফাঁকা মাঠ দেখে, ক্ষেত খামার দেখে ঘুরে বেড়িয়ে আর কি। ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেড়াই এমনি করেই যেনো কাউকে কোনোদিন জোর করে এইভাবে তার জায়গা কেড়ে নিতে না হয়।
জায়গার বড়ই অভাব - অভিজিৎ বসু।
সাতাশ নভেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি অভিজিৎ বসু।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন