সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সোমা দাস কে কুর্ণিশ

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ‌ সোমা দাস এর গল্প। আসলে কি জানেন রিপোর্টারের কাজ করতে গিয়ে বহু সাংবাদিক এর সাথে কাজ করতে হয়েছে আমায় নানা ফিল্ডে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনের সাথেই হয়তো আর যোগাযোগ নেই কারুর সঙ্গে আমার। কথা হয় না তাদের সাথে আর কোনও ভাবেই।সেটা হবার কথাও নয় আর। সোমার সাথেও যে যোগাযোগ আছে বা কথা হয় তেমন নয় কিন্তু। তবু আজ ওর কথা লিখতে ইচ্ছা হলো আমার। একদম ঝাঁ চকচকে গ্ল্যামার গার্ল রিপোর্টার নয় আমাদের এই সোমা দাস। 


কিন্তু সেটা না হলেও একজন বেশ ভালো রিপোর্টার এর যা যা গুণ থাকা দরকার সেটা ওর মধ্যে ছিল। আমি ওকে মহাকরণে দেখতাম মাঝে মাঝে আসতো ডিউটি করতে সেই হাসি মুখে। চব্বিশ ঘণ্টা চ্যানেল এর বড়ো রিপোর্টার হলেও কিন্তু তেমন কোনও গুমোড় ছিল না ওর মধ্যে কোনোদিন। হাসি মুখে সবার সাথে সখ্যতা রেখেই চলতো সেই সময়ে। আর সবাই ওকে খুব পছন্দ করত বেশ। সবাইকে হেসে জিজ্ঞাসা করত দাদা কি খবর বলো তুমি ভালো আছো তো। কিছু খবর পেলে দিও একটু।
 পরে ওকে আমি আবার পেলাম চব্বিশ ঘন্টা চ্যানেলে কাজের সুত্রে। আমি অ্যাসাইনমেন্টের কাজে আর ও তখন কলকাতার রিপোর্টার এর পদে দৌড়ে বেড়াচ্ছে রাস্তায় বুম নিয়ে। কোনো দিন ওকে কোনো অ্যাসাইনমেন্টে যেতে বলতে ভয় করেনি আমার। আর ও মুখ ফুটে বলেনি যে দাদা না, আমার আজ টাইম পার হয়েছে আমি আজ আর কোথাও যাবো না দাদা। যেটা ওর সবথেকে বড় গুণ ছিল। যার জন্যে ওকে সবাই বেশ পছন্দ করত। কিন্তু ওর কোনও গ্ল্যামার না থাক, সোমা কিন্তু সবার প্রিয় রিপোর্টার হলো শুধু ওর এই সুন্দর মিষ্টি ব্যবহারের জন্য।

 অনেক বিখ্যাত রিপোর্টার ছিল সেই সময় সোনার যুগে না হলেও সেই আমাদের বিখ্যাত দাদার আমলে রৌপ্য যুগে চব্বিশ ঘণ্টা চ্যানেলে। সেই বিখ্যাত রিপোর্টার এর সাত সকালেই হাসি মুখে হাজির হয়ে যাওয়া সেই আমাদের আবহাওয়ার খবর দেওয়া সেই সুন্দর ছেলে প্রীতম দে। যাকে কেউ কেউ আবার সুখেন দাস বলেও ডাকে বহু সময়। ভোরবেলার ডিউটি করে সেই বিখ্যাত বাংলার বহু ইন্টার্ন যাকে এককথায় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতো গর্ব করে হাতে সিগারেট নিয়ে, সেই বিখ্যাত অয়ন ঘোষাল। সেই শীত গ্রীষ্ম বর্ষা একমাত্র অয়ন ঘোষাল ভরসা পূজোর সময় লাইভ এর জন্য। এটাই ছিল একমাত্র স্লোগান সেই সময় চব্বিশ ঘন্টা চ্যানেলে। 

সেই বিখ্যাত মহিলা সাংবাদিক যিনি ফিসফিস করে কথা বলেন। তাঁর খবর যাতে কেউ জানতে না পারে লিক হয়ে না যায় তার জন্যে যাবতীয় চেষ্টা করেন তিনি। আর হঠাৎ করে তাঁকে টিআরপি পাঠিয়ে দিলে কেনো সেটা পাঠানো হলো তার জবাবদিহি চান বেশ কড়া ভাবেই। আর সেই ছটি ইলিশ মাছ কিনে ঘরে ফেরেন হাসি মুখে কেমন নিশ্চিন্তে। যে বার পোদ্দার কোর্টে ইলিশ মাছ আনা হলো জেলা থেকে। 

আবার সেই বিজেপি বিটের রিপোর্টার অঞ্জন রায় দা। যাঁর দুপুরের টিফিন কৌটো খুলে ফেললেই হলো আর কি। কতো যে রুটি আলুভাজা খাবার লাইন পড়তো কে জানে অঞ্জন দার টেবেল এর সামনে তার কোনো হিসাব নেই । সে বিখ্যাত, বা কুখ্যাত যেই হোক না কেনো। অন্যদিকে বিখ্যাত এই এলোমেলা জীবন ছুটে চলে আপন গতিতে। 

আর অন্যদিকে চব্বিশ এর বিখ্যাত মহিলা ব্রিগেড তো আছেই। সেই সব জায়গায় গিয়ে হাজির হয়ে খবর করা এই সোমা দাস, হাইকোর্ট এর সেই শ্রাবন্তী যাকে আমি আর প্লাস থেকে চিনি। পরে যিনি নিজেকে অনেকটা বদলে যান। সেই তৃণমূল বিট করা বিখ্যাত কমলিকা সেনগুপ্ত। আর সেই কর্পোরেশন বিট এর দাপুটে হাসিখুশি দেবারতি যাঁর সাথে বহুকাল আগে শনিবার নাইট করতাম। আর সেই বাম বিট করা মৌমিতা, সেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সাংবাদিক সুতপা সেন। মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের এই নানা রিপোর্টার লোকদের চিনতেন আরও কত জন যে ছিল সেই সময় এই চ্যানেলে। সেই সব তো আজ অতীত অতিথি হয়ে বিরাজ করছে আমাদের সামনে রাতের অন্ধকারে ছায়ার মতো ঘোমটা টেনে।

কথা হচ্ছিল সোমা দাস কে নিয়ে। যাই হোক সব আনন্দের দিন গুলো যে সমান নাহি যায়। সেই চব্বিশ ঘণ্টা চ্যানেলে তখন লোক কমানোর নোংরা খেলা শুরু হয়ে গেছে। আর সেই লোক কমানো করতে করতে একদিন সোমা দাসকেও কমিয়ে দেওয়া হলো চব্বিশ ঘণ্টা থেকে। সেদিন এর দৃশ্য আজও মনে আছে আমার। কেমন এতদিন সার্ভিস দেওয়ার পরে হঠাৎ সোমা জানতে পারলো আর তার কাজ নেই।

কেনো জানিনা মনে পড়ে গেলো সেই কথা আজ। ও কেমন চুপ করে চলে গেলো ওর চেনা পুরোনো দিনের চ্যানেল ছেড়ে। সবাইকে ছেড়ে দিয়ে। তারপর বহুদিন আমার সাথে ওর কথা হয়েছে। ওর বর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ীর পাশে থাকে। তাঁর দপ্তরে কাজ করেন তিনি। মূখ্যমন্ত্রীও সোমাকে চেনেন। নাকতলাতে ওর শশুড় বাড়ি। এখন এটা যদি কিছু করা যায়।

বহুদিন পরে সোমা টিভি নাইন এ কাজ পেলো। হাসি মুখে কাজ শুরু করলো আবার। ওর লাইভ দেখলাম ফের টিভিতে। ভালো লাগলো আমার ওর এই গতিময় জীবন ফিরে পাওয়া দেখে। যে দাদাদের হাত ধরে ওর কাজ চলে গেলো একদিন চব্বিশ ঘন্টায় সেই দাদার সাথে ফের দেখা হলো ওর আবার টিভি নাইন এর অফিসে। সত্যিই অসাধারণ এই জীবন। যাঁরা ওকে হিংসা করলো তারা আজ কে কোথায় আর ও আজ কোথায়। সত্যিই জীবনের এই খেলা বড়ো বিচিত্র।

 সব মিলিয়ে সোমা দাস ফিরে পেলো তার নিজের জায়গা আর কাজ ওর নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আর ওর সুন্দর ব্যবহার দিয়ে। যেটা আমায় বেশ ভালো অনুভূতি দেয় এতদিন পরেও। ওর হারিয়ে যাওয়া সম্মান ও ফিরে পেলো। মোবাইলে ওর লাইভ দেখি, সকালের ডিউটিতে ওকে দেখি ও লাইভ দিচ্ছে। আর ভাবি ভাগ্যিস ও বাদ পড়ে গেছিল একদিন একটা চ্যানেল থেকে। তাই তো ও ঘুরে দাঁড়াতে পারলো এইভাবে সবাইকেই তাক লাগিয়ে দিয়ে। ও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলো। যে শুধু তেল দিয়ে আর দাদাদের আর বসদের কাছে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পড়ে থেকে কিছু লাভ হয় না। তাই বোধহয় সোমা নিজের হাতে সংসার সামলে, ঘর সামলে, ওর দুষ্টু মেয়েকে সামলে একা হাতে খবর করছে হাসি মুখে। তাই এই লড়াই করে ঘুরে দাঁড়ানো মহিলাকে কুর্ণিশ জানাই আমি। 

সোমা দাস কে কুর্ণিশ - অভিজিৎ বসু।
 চৌদ্দ নভেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...