সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আকাশবাণীর পার্থ বন্দোপাধ্যায়

আকাশবাণীর বিজ্ঞান বিভাগের সেই কোনের ঘরে দেখা হয়েছিল আমার সাথে ওর বহুবছর আগে। সালটা ১৯৯০ এর সময়কার ঘটনা। যে ঘরের জানলা দিয়ে আমগাছ এর আড়াল থেকে বিধানসভার প্রবেশ পথের গেট দেখা যেতো।তার মিস্টি হাসি মুখ। উজ্জ্বল চশমার ফাঁকে দুটি সুন্দর চোখ। বেশ নায়ক নায়ক তাঁর চেহারা। কাঁধে সাইড ব্যাগ নিয়ে। হাতে বোধহয় আংটি পরা ছিল সেই সময়েও এখন যেমন আছে। 

আর আমি তো সিরিঙ্গে মার্কা মর্কট চেহারার রোগা পাংল্যা ছেলে। গ্রাম থেকে এসেছি কাজ করতে বিজ্ঞান বিভাগে। আমি আমার পড়াশোনা বিজ্ঞান নিয়ে করলেও তার কোনও সুস্পষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত ছাপ নেই আমার চেহারায় আর চোখে মুখে। আর ওর হাঁটা, চলা, সেই কাঁধের ব্যাগটাকে চেয়ারে ঝুলিয়ে বেশ মৌজ করে আকাশবাণীর সেই বিখ্যাত মানসপ্রতিম দাস, স্বাতী চট্টোপাধ্যায় বা স্বপ্নময় চক্রবর্তী তাঁর টেবিল এর সামনে জম্পেশ করে গুছিয়ে বসে কথা বলা। আর বসে চা খাওয়া আর আড্ডা মারা ভাবটা ঠিক আমার একটা লেভেল আছে ভাই। আর একটু দূরে মনোজ কর এর সব পর্যবেক্ষণ করা হাই পাওয়ার এর চশমার ফাঁক থেকে।

 আর এতেই আমায় দশ গোল দিত ও সেই রেডিওর আমল থেকেই বরাবর। তবু দুজনের একটু আলতো হাসি। পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় কি খবর ভালো তো। ওই টুকুই এগোতে পেরেছিলাম আমরা সেই সময়। দুজনের খুব যে গভীর ভালোবাসা আর সম্পর্ক হয়েছে এটা বললে ভুল হবে কিন্তু একদম। পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় একটু কথা বলা আর চিনতে পারা। আর সেই আলগোছে একটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির সম্পর্ক নিয়েই কেটে গেলো  আমাদের অমলিন এই সম্পর্ক প্রায় তিন দশক। আর তারপর ধীরে ধীরে যে যার কাজের জগতে প্রবেশ করা। আমার কলকাতা ছেড়ে জেলায় চলে যাওয়া। আর ওর কলকাতায় নানা টিভির পর্দায় খবর পড়া, ডিবেট শো করা। দুর থেকে দেখতাম আমি সেই সব। এইভাবেই তো চলতে থাকে আমাদের দুজনের জীবন যে যার নিজের মতো করেই নিজের পথে। 

হ্যাঁ, আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই আকাশবাণীর বিজ্ঞান বিভাগের বিখ্যাত সাংবাদিক পার্থ বন্দোপাধ্যায়ের কথা। সেই নিউজ টাইম এর বিখ্যাত সাংবাদিক কাম দাপুটে অ্যাঙ্কর পার্থ বন্দোপাধ্যায়ের কথা। সেই কলকাতা টিভির পর্দায় হাসিমুখে খবর পড়তে দেখা পার্থ বন্দোপাধ্যায় এর কথা।

 আর সম্প্রতি তাঁর সাথে আবার হঠাৎ করেই আমার দেখা হলো কিছুদিন আগে। তাঁর ঝাঁ চকচকে সেক্টর ফাইভের কলকাতা অফিসের এক্সিকিউটিভ এডিটর এর বিশাল চেম্বারে। তাঁর সামনে বসা হলো, গল্প হলো, চা খাওয়া হলো, মুড়ি খাওয়া হলো, পুরোনো দিনের স্মৃতিঝলমল দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে কথা হলো। বিকেল হলেই দুজনের একসাথে হাঁটা হলো। সত্যিই জীবন বড়ই অদ্ভুত তাই না। 

 সেই ওর গৌহাটি থেকে চলে আসা কলকাতায়। সেই নর্থ ইস্ট এর বাংলা চ্যানেলে ওর কাজ করা। যে চ্যানেলে অন্য কিছু বিখ্যাত আর কলকাতার তথা বাংলার স্বঘোষিত মাতব্বর লোক ঢুকে পড়ায় ও প্রথমে একটু চাপে পড়ে যায়। যদিও এক মাতব্বর সাংবাদিক আর সেই চ্যানেলে কাজ করে না বর্তমানে। সেই কোলকাতায় এসে  সেই চ্যানেলের কর্তা মালিকের সাথে দেখা করতে আসা ওর সেক্টর ফাইভের অফিসে। আমার সাথে দেখা হলো সেই অফিস এর ঝকঝকে আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে করিডোরে সেই দিন। প্রথমে ওর একটু গুটিয়ে থাকা পরে ধীরে সুস্থে ওর আত্ম প্রকাশ করা। আবার টিভির পর্দায় ওকে দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। 

সেই কোর্ট পড়ে মেকাপ করে আবার সন্ধ্যা হলেই গেস্ট নিয়ে ওর বসে পড়া হাসিমুখে। আলোচনা করা। তর্কে আর বিতর্কে জমে ওঠা সান্ধ্য টিভির আসর। আজ বেশ মিস করি আমি সেই দিনগুলো কিন্তু। মাঝে মাঝেই কথা হয় ফোনে ওর সাথে। কি খবর কেমন চলছে কাজ। আসলে কিছুই নয় আমার আগ্রহ এই চ্যানেলের বেশিরভাগ লোক জোগাড় করে দেওয়ার কাজটা হাসতে হাসতে এই আনস্মার্ট রোগা পটকা চেহারার লোকটাই করেছিল নিজের হাতে একদিন। আর কিছুই নয় সেদিন তাই সন্ধ্যায় ওর ডিবেট শো দেখে মনে পড়ে গেলো এত কিছু কথা।


যে কথা, যে গভীর গোপন ব্যথার কথা এতদিন গোপন ছিল পার্থ বন্দোপাধ্যায় এর সেই রাতের টিভির শো দেখে মনে পড়ে গেলো নানা কিছু কথা। সেই এক বাংলার বিখ্যাত সাংবাদিক এর নামী হোটেলে ঝকমকে উজ্জ্বল রঙের জামা পরে ইন্টারভিউ নিতে বসা। সেখানে তাঁর কাছে ইন্টারভিউ দিতে খুব কম প্রার্থী আসা। সেই জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখলাম পার্থ বন্দোপাধ্যায় বসে আছে। কিছুটা না চেনার ভাব রেখেই ইন্টারভিউ দিলাম। যদিও প্রেস ক্লাবে দেখা হয়েছে এক আধবার তাতে যে খুব ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে আমাদের দুজনের সেটা নয়। কিন্তু সম্পর্কের অবনতিও হয়নি কোনোদিন। 

ইন্টারভিউ নিলেন বাংলার নয় দেশের সেরা সব সাংবাদিকদের মধ্যে একজন তিনি। কিন্তু সেই ব্যক্তিও তেমন লোক জোটাতে পারলেন না সেই চ্যানেলে। যাকগে বাদ দি এসব কথা। সেই সময় আবার দেখা হলো পার্থ বন্দোপাধ্যায় এর সাথে। সেই হারিয়ে যাওয়া দুর দেশের মানুষ, হারিয়ে যাওয়া আলগোছে সম্পর্কের পরিচিতজন বোধহয় এইভাবেই শেষ বিকেলের আলো মাখা পথ ধরে ফিরে আসেন। 

সত্যিই বেশ ভালো লাগলো আমার ওর এই ফিরে আসা দেখে, কাম ব্যাক করা দেখে টিভির পর্দায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেখে। ভালো থেকো তুমি। আমাদের সবার প্রিয় হাসিখুশি পার্থ। মাঝে মাঝেই ফোন করো তুমি ভালো লাগবে আমার। দূরে থেকেও কেমন করে যে এতদিন টিকে গেলো আমাদের এই সম্পর্ক সেটাই তো রহস্য। খুব কাছের নিকটের আপনার জনের সম্পর্ক দূরে সরে যায়। অচেনা হয়ে যায়। আর দূরের সম্পর্ক কেমন করে কাছের হয়ে যায়। সত্যিই জীবন বড়ই অদ্ভুত। 

আকাশবাণীর পার্থ বন্দোপাধ্যায় - অভিজিৎ বসু।
তেইশ ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ। 
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...