সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চেনা মুখ অচেনার ভীড়ে


কিছু চেনা মুখ এর উজ্জ্বল রঙের সফলতার ছবি দেখে আমার মনটা বেশ ভালো হয়ে যায় রাতের বেলায়। আসলে বহুদিনের চেনা টুকরো টুকরো মুখ আর সেই সব চেনা মানুষদের হাতে পুরস্কার দেখে মনে হয় বাহ দারুন ব্যাপার তো। যাঁদের সাথে একসময়ে একসাথে আমি কাজ করেছি, দৌড়েছি, খবরের জাল বুনেছি। সেই তাঁদেরকে টিভির পর্দায় দেখে, তাঁদের ছবি দেখে, তাঁদের পুরস্কার পাওয়া হাসি মুখ দেখে বর্তমানের এক ভিন গ্রহের বাসিন্দা হয়ে আমার বেশ ভালোই লাগে। আপনারা বলবেন হতাশ হয়ে এমন কথা বলছি সেটা একদম নয় কিন্তু। সে আপনারা কেউ বিশ্বাস করুন আর নাই করুন।

আমার দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে খবর করে পুরষ্কার জোটেনি খুব একটা কোনোদিনই। বরং মার আর তিরস্কার জুটেছে ভালই। আমার এই পঁয়ত্রিশ বছর এর জেলার মেঠো সাংবাদিকতায় পুরস্কার এর চল বিশেষ ছিলো না খুব একটা সেই সময়ে। আমাদের সময়ে সিনিয়রদের একটু পিঠ চাপড়ানো, বাহ দারুন খবর হয়েছে এতেই আমাদের বিরাট প্রাপ্তি হতো যেনো। আনন্দে আর গর্বে বুক ফুলে উঠতো আমার। আর খুব বেশি হলে সেই রামোজি রাও এর হায়দরাবাদ এ চেয়ারম্যান এর মিটিং এ সবথেকে বেশি স্টোরি করার জন্য তালিকায় নাম ওঠে। তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই সেই রিপোর্টার এর। যে নাম বহুদিন ধরেই একনম্বরে ছিল আমার নাম। জেলা হুগলী জেলা। রিপোর্টার অভিজিৎ বসু।

আসলে আজকাল খবরের দুনিয়া অনেকটাই বদলে গেছে অভিযোজিত হতে হতে। ঠিক যেনো সেই চার্লস ডারউইনের সেই বিবর্তনবাদের মতোই। এই খবরের দুনিয়ায় শুধুই খবর করে আর জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়না। চুপটি করে ঘাপটি মেরে একা একাই নিরুপদ্রব জীবন সেটা যেনো আজকাল সোনার পাথর বাটি আর কি। তার সাথে সাথে, মানে খবর করার সাথে সাথে নিজেকে বেচতে হয় এই খবরের নক্ষত্রলোকের আলোকোজ্জ্বল দুনিয়ায় সঠিক ভাবে। নিজেকে বেচতে জানতে হয় সবার মাঝে। আর না হলে পিছিয়ে যেতে হয়। ক্রমেই পিছিয়ে যেতে হয়।

 
নিজের খবরকে বেচা, খবরের সাথে নিজেকে বেচা, যে রিপোর্টার যে বিটের, সেই বিটের নেতা বা নেত্রীকে তাঁর সোর্সের দেওয়া খবরকে সঠিক ভাবে বেচা, নিজের খবরের মাধ্যমে ওই বোকা বাক্সের পর্দায় সেটাকে ঠিক ভাবে প্রতিফলিত করা। আর এটাই এখন খবরের দুনিয়ার প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে যেনো। শুধু খবর বেচলেই তার কাজ শেষ নয়, অফিসের বসের কাছে নিজেকে বেচা, রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীর কাছে নিজেকে বেচা। সোর্সের কাছে নিজের অজান্তেই দায়বদ্ধ হয়ে নিজেকে সঁপে দিয়ে বেচে দেওয়া। আর এই পদ্ধতিতেই চলছে নয়া খবরের নতুন ঝকমকে দুনিয়া। যদি এই সবের কোনওটাই না করতে পারো তাহলে দরজায় খিল এঁটে বসে থাকতে হবে অন্ধকার ঘরে একা একাই। এটাই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বাংলা মিডিয়াতে।

 শুধু মিডিয়া কেনো রাজনীতির ময়দানেও এই ভাবেই নিজেকে বেচে, নিজেকে বদলে ফেলে, নিজেকে সঁপে দিয়ে, বেঁচে থাকতে হবে সকলের সাথে হাসি মুখে ভাবটা এমন যেনো কত ভালই না আছি আমি। হাজারো কষ্ট সহ্য করে অপমানকে হাসি মুখে মাথা পেতে নিয়ে বেঁচে থাকার অভিনয় করে যেতে হবে। আর না পারলে মাঠের ধারে সাইড লাইনে অপেক্ষা করতে হবে এক্সট্রা প্লেয়ার এর মত। যদি কোনোদিন ডাক পড়ে মাঠে নামার এই আশায়। যদি কেউ চোট বা আঘাত পায় সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকা। 

তাই এই উজ্জ্বল মুখের নক্ষত্রলোকের সব বাসিন্দাদের দেখে আমার মনটা ভরে যায়। বুকটা গর্বে ভরে যায়। যা আমি পারিনি আমার জীবনে সেটাই ওঁরা সবাই কেমন অক্লেশে হাসতে হাসতেই করে ফেলেছে এই এক জীবনেই। যার জন্যে তাদের কোনো রকম টেনশন হয়নি। তাঁদের মনে হয়নি যে এইভাবে নিজেকে খবরের দুনিয়ায় বেচতে গিয়ে যদি কিছু একটা গণ্ডগোল হয়ে যায়, একটু হলেও পা পিছলে যায়, একটু হলেও ঝুঁকে যেতে হয় ডান বা বাম দিকে তাহলে কি হবে। 

তাহলে যে আর ঠিক এইভাবে হাসিমুখে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মঞ্চে হাজির হওয়া যাবে না কোনোদিনই। আর তাই বোধহয় এইসব কিছু হতে পারে আঁচ করেই তাঁরা সবাই মিলে সতর্ক হয়ে পা ফেলে একসাথে হাতে হাত ধরে জোট বেঁধে হিসেব নিকেশ করেই। 

এই নানা চেনা উজ্বল মুখের মাঝে যে মুখকে দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হলাম আমার মনে আনন্দ হলো খুব। সেই আমার দাদা, চব্বিশ ঘণ্টার আমায় ডেকে চাকরি দেওয়া সেই এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীদা। তাঁর হাতে পুরস্কার দেখে সত্যিই আমি বিমোহিত । একসময়ে ইংরেজি কাগজের অফিসে কাজ করা একজন হৈ হুল্লোর করে সময় কাটিয়ে দেওয়া একজন ক্যাজুয়াল সাংবাদিক থেকে টিভি চ্যানেলের একজন সিরিয়াস সাংবাদিক হিসেবে, এডিটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি বিন্দাস হয়ে।

 অনেক ঘসে মেজে নিজেকে এমনভাবে তৈরি করলেন, সবার সামনে ঝকঝকে করে নিজেকে দাঁড় করালেন সেটা দেখেও মাঝে মাঝেই অবাক হয়ে যাই আমিও। বস হয়ে যা তিনি প্রায় অবসরের সময় এসে আমাদের সবাইকে করে দেখালেন তিনি। আমরা সেটা মধ্য পঞ্চাশে পৌঁছেও করতে পারলাম না কিছুতেই।
 সত্যিই অসাধারণ এই ছবি। এই জন্যেই বলে বস ইজ অলটাইম রাইট। তিনি ভুল করতেই পারেন না কোনও সময়, কোনও দিন। 
যা আমরা করতে পারিনি সেটাই উনি করে দেখালেন হাসতে হাসতেই। এই ঘুর্ণি বলের কঠিন পিচে তিনি ধরে ধরে ব্যাট করে নট আউট থেকে গেলেন কেমন করে। আর বসের এই কঠিন পিচে ব্যাট করা দেখে বসের এক সময়ের সব গুণমুগ্ধ ভক্তরা, আমরা সব কেমন যেন চুপ করে গেছি। এই নিজেকে বদলাতে না পারা শিষ্যরা একদম স্পিকটি নট। তাদের মনে একটাই কথা কেনো যে নিজেকে বেচতে পারলাম না আমিও। তাহলে তো ওই উজ্জ্বল নক্ষত্রলোকের সন্ধান আমিও পেতাম।

চেনা মুখ অচেনার ভীড়ে - অভিজিৎ বসু।
আঠারো ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...