সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইটিভির অনিন্দিতা চৌধুরী

জানিনা আমি আজ কেউ আর এই রিপোর্টারকে সেই মহাকরণের লম্বা বারান্দা দিয়ে ধীর পেয়ে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি সেটা আর মনে রেখেছেন কি না। সেই কোনো সময় সিএস এর ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি হাসিমুখে সোজা চলে যাচ্ছেন করিডোর ধরে হাঁটতে হাঁটতে। আবার কোনো সময় অন্য কোনো ঘরে ঢুকে পড়ছেন সবার নজর এড়িয়ে। একদম নিজের মত করেই ঘুরে বেড়ানো মহাকরণের এই ঘরে আর সেই ঘরে। ঠিক খুঁটে খুঁটে খবর সংগ্রহ করা। প্রেস কর্নারে এসে হৈ চৈ হুল্লোড় এর মাঝে কোনসময় তাকে আসতে দেখিনি আমি কোনোদিন। নিজের কাজ, নিজের খবরের সোর্সেদের নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতেন তিনি নিজের বৃত্তে বেঁচে থাকা।

 ইংরেজি কাগজের বেশ দাপুটে রিপোর্টার। একদম চুপ চাপ করে খবর করে বেড়ানো এই মহিলা সাংবাদিক আগে ইটিভি বাংলা চ্যানেলে কাজ করতেন একসময় সেটা ইটিভির আদিম যুগে। সেই আশীষ ঘোষ, শুভাশীষ মৈত্র, অম্বরীষ দত্ত আর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এর আমলে। নামটা হয়ত বললেই মনে পড়বে পুরোনো দিনের রিপোর্টারদের। আজ তাঁর একটা পুরষ্কার পাওয়ার খবর পেয়ে মনে হলো আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার ব্লগে এই রিপোর্টার এর কথা কিছু তো লেখা হলো না আমার কোনোদিন।


 যদিও সবার বিষয়ে কি আর লেখার মতো রসদ মেলে। নাকি লেখার অনুমতি মিলে যায় তার কাছ থেকেই। কিম্বা কাউকে নিয়ে লেখার মত সাহস করে এগোনো যায় হঠাৎ করেই। আসলে অনিন্দিতা চৌধুরী সেই ইটিভির তৃণমূল বিটের হাসি মুখের অনিন্দিতা, সেই বিজনেস বিটের গার্গী, সেই ডেস্ক এর হিরো সুপার ম্যান সৈকত, সেই বর্তমানে কবি ক্রাইম রিপোর্টার দীপঙ্কর, সেই খেলার মাঠের উৎপল পট্টনায়ক, সেই অমৃতাংশু ভট্টাচার্য্য, রবিশঙ্কর দত্ত, জয়ন্ত চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, হৈমন্তী, আরও কতজন যে ছিল সেই তিন নম্বর চৌরঙ্গী স্কোয়ার এর অফিসে।

এমন হাজারো রিপোর্টারদের ভীড়ে একদম অন্য ধরনের একজন রিপোর্টার এই অনিন্দিতা চৌধুরী। যাঁর পরিশীলিত মার্জিত ব্যবহার, যার বর্ম ভেদ করে তার গণ্ডির ভিতরে প্রবেশ করা খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। নিজের কাজ, নিজের খবরের বাইরে তার নাগাল বা ছোঁয়া পাওয়া কঠিন ব্যাপার আরকি। তবু কলকাতা অফিসে ক্যাসেট নিয়ে গেলে দেখতাম এদের সবাইকে আমি হাঁ, করে। কলকাতার বড়ো বড় রিপোর্টার বলে কথা। যাঁদের বলা হতো সিটি রিপোর্টার। আমরা তো সব জেলার গ্রামের মেঠো রিপোর্টার।

আর সব কিছুর মাঝে নজরে পড়তো ওর মিষ্টি মধুর হাসি। সেই হাসি মুখের অনিন্দিতা চৌধুরীকেই আমার মনে আছে আজও এতদিন পরেও। আর ও ভয়ঙ্কর ডাকসাইটে সুন্দরী না হলেও আলাদা একটা সৌন্দর্য্য যেনো ছড়িয়ে আছে তার চারপাশে। যে সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্বের কাছে অনেকেই আকৃষ্ট হতেন। একসময় কালীঘাট এর বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বেশ পছন্দের রিপোর্টার ছিলেন তৃণমূলের দলের জন্মের পরপরই এই অনিন্দিতা। যার উপস্থিতি পছন্দ করতেন তৃণমুল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সেই সময়। আজ যাঁরা বড়ো বড়ো তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন তাদের থেকে বেশ ভালই সম্পর্ক ছিল তাঁর ওই আদিগঙ্গার পাশের বিখ্যাত সেই বাড়ীর সাথে। 

সে যাকগে ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার কি দরকার। আসলে তখন তো আর এত ঘেরা টোপে, কড়া নজরদারিতে রিপোর্টারদের রাজনীতির লোকদের কাছে পয়েন্ট পাওয়ার জন্য বা নম্বর পাওয়ার আশায় কাজ করতে হয়নি তাকে কোনোদিন। একদম স্বাধীন অকুতোভয় হয়েই কাজ করতে পারতেন তিনি হাসি মুখে মাথা উঁচু করে। আর তাই বোধহয় কাউকে পরোয়া না করেই দিব্যি কাজ করে গেছেন এই বাংলায় এই বাংলা মিডিয়ায় হাসতে হাসতে বেশ কয়েক বছর। সে টিভি চ্যানেলের হয়ে পরে কাগজে লিখে। পরে যদিও কাজের সুত্রে বাংলা ছেড়ে হায়দরাবাদে কর্মরত তিনি দীর্ঘদিন ধরেই। সেই হায়দরাবাদ এর মাটিতেও ইংরাজি কাগজের হয়ে কাজ করেছেন তিনি দাপটের সাথেই।‌ সেই তাঁর একটি লেখায় পুরষ্কার পাওয়ার খবর পেয়ে মনে পড়ে গেলো আমার হাজারো স্মৃতি আর ঘটনা। 

আমার হায়দরাবাদ এর এক বছরের পানিশমেন্ট ট্রান্সফার এর জীবনে যে সবসময় আমাকে মানসিক শক্তি আর সাহস দিত লড়াই করার। যার সাথে নানা বিষয়ে কথা হতো আমার। সে বলতো অভিজিৎ দা তুমি যেভাবে লড়াই করে টিকে আছো সেটা আর কজন পারে। আমায় ওর পরিচিত তরুণদার ফোন নম্বর দিয়ে একটি ইংরাজি কাগজে কথা বলতে বলেছে বারবার। কিন্তু বাংলা মিডিয়ার পাতি রিপোর্টার হয়ে কি করে পারবো ইংরাজি মাধ্যমের কাগজে কাজ করতে আমি। সেই ভয়ে আমি আর ওদিকে এগোতে পারিনি কিছুতেই। মহাকরণের প্রেস কর্নারে ইংরেজি কাগজের দাপুটে সব ইন্টেলেকচুয়াল রিপোর্টারদের দেখে আমি ভয়ে গুটিয়ে যেতাম অনেকটাই। বাবা কি দাপট। তাই ওর কথায় কিছু না বললেও একটু চুপ করেই থাকতাম আমি ওর প্রপোজাল শুনে। যদিও ও সাহস দিত তুমি পারবে কিন্তু এগোতে পারিনি আমি। 

সেই একসময়ের বিখ্যাত সাংবাদিক অনিন্দিতা চৌধুরী একটি লেখার খবর পেয়ে মনে পড়ে গেলো এমন হাজারও কথা। যে কলকাতায় থাকলে জানিনা সেই পুরোনো দিনের তৃণমূলের পছন্দের রিপোর্টার এর এই এক অবস্থান থাকতো কি না। সে পছন্দের হয়েই থাকতো কি না আজও। কারণ সেটা থাকতে গেলে যা যা গুণ থাকা দরকার সেটা তাঁর একদমই ছিল না কোনো সময়েই। কোনোভাবেই কারুর সাথে সমঝোতা করে চলতে পারে না সেই রিপোর্টার। আর যার ফলে বোধহয় তার কোনো এই মিডিয়া জীবনে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ বন্ধুও হয়নি। 

অনেকেই তাকে অহংকারী আর দেমাক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বলে আড়ালে আবডালে ফিসফিস করে এমন কথা বললেও আমার মনে হয় ওর মতো সাহায্য করা রিপোর্টার আমি খুব কম দেখেছি কলকাতায়। যে হাসতে হাসতেই সাদা বাড়ির লোকদের গোল দিয়েও কেমন চুপচাপ মুখে মিষ্টি হাসি নিয়েই ঘুরে বেড়াতো হেলেদুলে ভাবটা এমন যেন কিছুই খবর করে নি সে।

 সেই অনিন্দিতা চৌধুরীকে আজ হয়তো কলকাতার বাংলা মিডিয়ার অনেকেই ভুলে গেছে। সে নিজেও চায় ভুলে থাকতে। পুরনো স্মৃতিকে জোর করে টেনে বের করার কি দরকার তাঁর কথায়। তবু রাতের অন্ধকারে আচমকা গুটিগুটি পায়ে আমার কাছে এগিয়ে আসে নানা চরিত্র, নানা মানুষ ভীড় করে আমার চারিপাশে। আর আমি তাদের কথা লিখে ফেলি। হাজারো মানুষের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া এক আপাদমস্তক ভালো সুন্দর রিপোর্টার এর কথা। কংগ্রাচুলেশন অনিন্দিতা। তুমি ভালো থেকো। 

ইটিভির অনিন্দিতা চৌধুরী - অভিজিৎ বসু।
ষোলো ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...