সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৌষ মেলায় হারিয়ে যাওয়া আলফি

পৌষ মেলার মাঠ যে কিভাবে একে অপরের সাথে মিলিয়ে দেয়, আজ ঠিক সেটার প্রমাণ পেলাম আমি সন্ধ্যায় মেলায় ঘুরতে ঘুরতে। আসলে মেলা মানেই তো মিলনের কেন্দ্রস্থল। একে অপরের সাথে মিলন হওয়া। সেই সুদূর দিল্লির নয়ডার জি নিউজ এর অফিস থেকে মেট্রো সিটির শহর কলকাতা হয়ে ভেদিয়ার গ্রামের মেঠো রাস্তা ধরে সোজা চলে আসা শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার এই ভীড় উপচে পড়া ধুলো ভরা মাঠে।

 আর সেই ভীড়ের মাঝেই বহুদিন পর ওকে দেখে আমি কেমন আপ্লুত হলাম, বিগলিত হলাম। কিছুটা বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলাম ওর কাছে। একটু ভয়ে ভয়েই ওকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কি সেই আলফি খন্দকার। দিল্লিতে থাকেন। নয়ডাতে কাজ করেন। আর সেই অচেনা মানুষটি আমায় দেখেই একগাল হেসে সেই ওর পুরোনো চির পরিচিত ঢং-এ , আরে দাদু যে, বলে আমায় বুকে জড়িয়ে ধরলো সে। আমিও এগিয়ে গেলাম ওর কাছে। কোনো দ্বিধা আর দ্বন্দ ছাড়াই হাসি মুখে। সত্যিই অসাধারণ এই জীবনের হারিয়ে যাওয়া দিনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ফিরে পেয়ে আহ্লাদিত হওয়া। পুলকিত হওয়া। আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদ্বেলিত হওয়া। আর দুজন দুজনকে কাছে টেনে নেওয়া অক্লেশে। কর্মহীন জীবনের মানুষকে কর্মময় জীবনের মানুষের কাছে টেনে নেওয়া। যা সাধারণত দেখা যায় না। আমার বর্তমান জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এমন কথাই বলে। 

আর তারপরে আমি ওকে পাশে নিয়ে দুজনে মিলে একসাথে মুঠো ফোনে বন্দী হলাম ভীড়ের মাঝে। সত্যিই এই দিনটা যে কত কিছুই ফিরিয়ে দিলো আমায় এই মেলার মাঠে। রাতে লিখতে বসে মনে পড়লো সেই সব সুখের স্মৃতির নানা কথা। সেই নয়ডার দিল্লির জি নিউজের অফিস-এর বিখ্যাত অ্যাসাইনমেন্টের ন্যাশনাল ডেস্ক। সেই কলকাতার সেক্টর ফাইভের মিডিয়া সিটির অফিসে চব্বিশ ঘণ্টার বাংলা চ্যানেলের অ্যাসাইনমেন্টের ডেস্ক। 

সেই দুই ডেস্ক এর মাঝে হট লাইনের ফোনে দ্রুত যোগাযোগ। ফোন তুলেই ওপর প্রান্তে কারুর আওয়াজ পেলেই বলা আলফি হ্যায়। আর ওদিক থেকে আওয়াজ, দাদু কি হলো আবার। আমার ছুটি হয়ে গেছে আর কিছু অনুরোধ করলে আমি ম্যানেজ করতে পারবো না কিন্তু। এইবার এরা আর কিছু লাইভ এর ব্যবস্থা, লাইভ ইউ এর ব্যবস্থা করতে পারবে না কিন্তু বাংলার জন্য বলে দিয়েছে। আর আমি কাতর হয়ে ওকে বারবার অনুরোধ করছি, দাদা রাত আটটার এই গেষ্ট এর জন্য একটা লাইভ ইউ ম্যানেজ করে দিতেই হবে না হলে চলবে কি করে। আমি যে কেস খাবো বলবে বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট জোগাড় করতে পারে নি দিল্লীর থেকে। 


এই টানা হেঁচড়া চলছে দু পক্ষের মধ্যে আর তার মাঝেই ও ওর সীমাবদ্ধ ক্ষমতার অধিকারী হয়েও কেমন করে যে সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিত হাসিমুখে কে জানে। সেই ভোটের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দুজনের অফিস চলে আসা। সারাদিন ধরে একে অপরের পরিপূরক হয়ে বাংলা আর জি নিউজ এর জন্যে, কোনো সময় জি হিন্দুস্থান এর জন্য কাজ করে যাওয়া। সত্যিই কি মজার যে ছিল সেই সব কর্মময় দিনগুলো। কেমন যেন একটা হাসিখুশি কর্মময় জীবন কেটে যেতো আমাদের সবার। সেই শুভ্রজিৎ আইচ, সেই দেবশ্রী, আর সেই আমি। আর পরে যোগ হলো সেই বাংলার বিখ্যাত সাংবাদিক তথা অ্যাঙ্কর আর অ্যাসাইনমেন্টের সর্বময় কর্তা কাঁচের ঘরের বসদের খুব কাছের আর ডিপেন্ডেবেল। সেই সবাইকে হাসি মুখে হারিয়ে দেওয়া খুব কম দিনের কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে দ্রুত মই বেয়ে ওপরে উঠে যাওয়া আমাদের সবার প্রিয় দীপ। 

জি নিউজ এর অফিস থেকে আলফি ছুটি পেলেই চলে আসতো কলকাতায় ওর নিউটাউনের বাড়িতে মাঝে মাঝেই। আর সেখান থেকে কলকাতা অফিস আসতো আমাদের সবার সাথেই দেখা করতে ও। ছুটিতে এলেও সারাদিন অফিসে কাটিয়ে যেতো হাসিমুখে। বর্ধমানের কাটোয়ায় ওর নিজের বাড়ি। বোলপুরে অনেক আত্মীয় থাকে ওর। আর আমার মেয়ের বিশ্বভারতীতে ভর্তি হবে শুনেই। জাপানী ভাষা নিয়ে পড়বে এই কথা শুনেই ওর হাসি মুখে বলে দেওয়া আমায়, দাদা কোনও চিন্তা নেই আপনার। আমার আত্মীয় আলিউল আলম প্রফেসর বিশ্বভারতীর জাপানী ভাষা বিভাগের। ওকে বলে দেবো আমি সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে দেখবেন। আমায় ফোন নম্বর দিলো আলফি ওর আত্মীয়র। একদিন ভর্তির আগে আলিউল স্যার এর সাথে দেখা করলাম আমি বিশ্বভারতীর জাপানী ভাষা বিভাগের নিপ্পন ভবনে। সত্যিই কত যে কথা মনে পড়ে যাচ্ছে আজ। 

সত্যিই এমন করে কে আর বহু দূরের অফিস কলিগ হয়েও পাত্তা দেয় আর। সেই ওর নানা মনের কথা বলা। সুখ দুঃখের নানা গভীর গোপন কথা বলে দেওয়া হাসি মুখে। আমিও কেমন ওর সাথে সহজ ভাবেই মিশে যেতাম ওর সাথে এক দূরের সহকর্মী হয়েও। এক সময়ে এই দিল্লিতেই ছিল বিবেক, কলকাতার ছেলে কোথায় যে সেও হারিয়ে গেলো কে জানে। আজ শুধুই আলফির কথা। বিবেকের গল্প অন্য একদিন। 


আমি ২৪ ঘণ্টার চাকরি ছেড়ে দেবার পরেও কেমন করে যেনো আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব আর মেঠো সম্পর্কটি টিকেছিল বহুদিন ধরেই। আজও কেমন করে ওকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়লাম আমি এই মেলার ভীড়ে। নিজের জড়তা, দ্বিধা কাটিয়ে হাসি মুখে ওকে মুঠো ফোনে বন্দী করলাম আমি। যা আমি সচরাচর করি না। আর দূরে তখন মেলা মাঠ এর অনুসন্ধান কেন্দ্র থেকে মাইকে আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি মতিউর রহমান বলছি সাঁইথিয়া থেকে এসেছি আমার বন্ধু প্রতাপ রায় মেলায় হারিয়ে গেছে। আমি অপেক্ষা করছি অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে। প্রতাপ এইখানে এলে আমার দেখা মিলবে।

মেলা মাঠের চারিধারে ছড়িয়ে পড়ছে মতিউর এর এই আকুল আবেদন তার বন্ধুকে হারিয়ে। আর আলফি ধীরে ধীরে মেলার ভীড়ে আবার হারিয়ে গেলো। আমিও ওর হাত ছেড়ে দিয়ে হারিয়ে গেলাম। এক ঝলকের এই দুজনের দেখা, এক মুহূর্তের দুজনের দেখা কত স্মৃতি যে উসকে দিলো আমার কে জানে। পৌষের মেলার ভীড়ে হারিয়ে গেলাম আমরা দুজনে আবার নতুন করে। 

পৌষের মেলায় হারিয়ে যাওয়া আলফি - অভিজিৎ বসু।
আটাশ ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক ও নিজের মুঠোফোনে তোলা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...