সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

খবরের ও শব্দের জাদুকর সাম্যব্রত জোয়ারদার

সাদা জীবনের কালো কথায় কিছু মানুষের কথা লিখতে বসে মনে হয় কি আর হবে তাদের নিয়ে লিখে ফেলি আমি নানা গভীর গোপন কথা। যাদের আশ পাশে ঘুরে বেড়িয়েছি আমি নিজের ছন্দে। হাসিঠাট্টা করে আপন মনে জীবন কাটিয়েছি সহজ সরল ভাবে একদম ভয় না পেয়ে। তাদের কথা সেই অতীত দিনের কথা মনে পড়ে গেলে আর ক্ষতি কি। সেই সব নানা কথা মনে পড়লে তো ক্ষতি নয় কিছুই লিখলে তাদের কথা। ভয়ের কিছু নেই।


 কিন্তু এদের মাঝেও এমন কিছু মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন আমার জীবনের আশপাশে না হলেও। সেই কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যাঁদের কথা লিখতে বসলে ভয় হয়, হাত কাঁপে, বুকের মাঝে গুরুগুরু শব্দ সৃষ্টি হয়। ঠিক যেনো তাঁর লেখা কবিতার লাইনের মতোই সেই সিঁড়ি স্বপ্ন আর ঢালু স্বপ্নের মতই মনে হয় এই বোধহয় ভুল হলো আর আমি গড়িয়ে গেলাম এক অতলান্ত গহ্বরে। সত্যিই আমার এই রাতদুপুরের লেখার নেশায় আমাকে আচ্ছন্ন করে বারবার। আর নেশার টানে লিখতে বসি আমি ভয়ে ভয়েই। 

আজ তেমনি একজন বিখ্যাত সাংবাদিক, কবি, আর নিজের বেড়ার চারপাশে লক্ষণরেখা টেনে কালো রোদচশমার ঘেরা টোপে নিজেকে বন্দী করে ঘুরে বেড়ানো এক গম্ভীর মুখের মানুষের কথা। যাঁর হাসি মুখ দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার কোনোদিন খুব অল্প কিছুদিন কাজ করার সুবাদে। আর তাই আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে খুব বেশি কিছু জমাও পড়েনি তাঁকে নিয়ে লেখার জন্য। তবু বুকে সাহস সঞ্চয় করে লিখতে বসলাম সেই বিখ্যাত সাংবাদিক সাম্যব্রত জোয়ারদার এর কথা। সবার সেই সাম্যদা। 

যাঁর কবিতার লেখায় উঠে আসে দুই স্বপ্নের কথা। যে দুই ধরনের স্বপ্ন দেখে হঠাৎ করেই জেগে ওঠে মাঝ রাতে। সাদা পাতার মাঝে কলমের আঁচড় কেটে আঁকিবুঁকি অক্ষরের জাল বোনে আপনমনে। আর মনে মনে ভাবে সত্যিই যদি এই জীবনে দুই ধরনের স্বপ্ন দেখে এলেবেলে এলোমেলো বিন্দাস জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেতো কি ভালই যে হতো তাহলে কে জানে। আর তাই বোধহয় রাতের অন্ধকারে তিনি লিখে ফেলেন, পিচ্ছিল শব্দের ধ্বনি রসাতল করে। না, এই মানুষকে নিয়ে কিছু লেখার সাহস বুকের পাটা যে আমার এই রাতদুপুরে করা উচিত হয়নি সেটা আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল কিন্তু। 

কি আর করা যাবে যখন শুরু করেছি শেষ তো করতেই হবে এই লেখা লেখা খেলা। সেই রাতের অন্ধকারে দুই বন্ধুর অফিস করে ঘরে ফেরার গল্প। সেই মাঝরাতে আচমকাই গাড়ি থামিয়ে দিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি দেখে গাড়ি থামিয়ে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়া। মাঝরাতের ভবঘুরে জীবন নিয়ে বাড়ী ফেরার আগেই সেই লাইট পোস্ট ধরে দিল্লি চলো ডাক দেওয়া স্বপ্ন দেখানো মানুষটির খুব কাছে পৌঁছে যাওয়া দ্রুততার সাথে। তার কাছে পৌঁছে গিয়ে তাকে একটু মেপে ফেলার চেষ্টাও করা। আর সেই রাতে দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর এমন কর্মকাণ্ড দেখে পুলিশের তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সরে পড়া ঘটনাস্থল থেকে। সত্যিই এমন কত যে ঘটনা এই দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর কাছে আজও অমলিন হয়ে বেঁচে আছে এই কলকাতা শহরের নানা রাস্তায় কে জানে। 


সেই পিসিআর এর চেয়ারে বসে যে মানুষটা কবিতার ছন্দের মতই খবরের ছন্দ মেলাতে যিনি ওস্তাদ বলেই প্রতিপন্ন হন এই বাংলা মিডিয়াতে এখনও। একসময়ে যে বাংলার এক সময়ের দু নম্বর আর মাঝে কিছুদিন এক নম্বর চ্যানেল করতে সচেষ্ট হন শুধু একজনের নেতৃত্বে কাজ করে। আজ যদিও সেই খবর পাগল মানুষটি আর নেই। সেদিনের তাঁর দুই পাশে থাকা এই দুই স্তম্ভ তো আজও মনে হয় মিস করেন তাঁকে বার বার। সত্যিই এমন মানুষদের সাথে আমার খুব বেশি কাজ করা হয়নি। ধমক খাওয়া হয়নি তাঁদের কাছে। আর তাই একটু সাহস নিয়েই মাত্র কিছুদিনের কাজের সুযোগ পেয়ে কাজ করতে গিয়ে যেটুকু দেখলাম সেটাই লিখে ফেললাম আমি এই সাদা জীবনের কালো কথায়। 

সেই পোদ্দার কোর্টের পুরোনো অফিস। সেই অ্যাসাইনমেন্টের টেবিলে আমার বসে থাকা। সামনে ভিডিও দেওয়ালে ঝুলে থাকা নানা টিভি চ্যানেলের সব আউটপুট। সেদিকে নজর রাখা কোন চ্যানেলে কি খবর ধরালো। কিন্তু এই জায়গায় পার্থক্য শুধু একটাই যে নিজের হাতে টাইপ করে ব্রেকিং নিউজ লিখে দ্রুত ধরিয়ে দেওয়া নিজের চ্যানেলে। সেরকম এক বিকেলের সময় দ্রুত ঘটনার ঘনঘটা। বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে মিটিং হবে কি হবে না সেটা নিয়ে নানা আপডেট। আমায় লিখতে বলা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর লাইন। আমিও তাঁর নির্দেশ পেয়ে লিখে চলেছি নানা খবরের আপডেট। 

আর তার মাঝেই হাসি মুখে আমার কাঁচের ঘরে ডাক পড়া। কেনো শুভেন্দু লেখা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের অ্যাম্বুলেন্স উল্টে যাওয়ার খবর ছেড়ে। যিনি আমায় লিখতে বলেছিলেন তিনিও চুপ। আমি তো টাইপিস্ট এর কাজ করছিলাম মাত্র। খবরের প্রকাশের বিষয় সমূহ নিয়ে ভাবনা তো অন্যদের বড়দের আমার মত টাইপিস্ট এর নয়। আমি শুনলাম কিছু টাকার চাকরি দেওয়ার জন্য কটু মন্তব্য।আর ঘর থেকে বেরিয়ে ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে পড়লাম আমি অফিস ছেড়ে পোদ্দার কোর্ট ছেড়ে সেই সন্ধ্যায়। সবাইকে ছেড়ে। যদিও সেই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর খবর ছিল ঠিক খবর যা ধরানো দরকার ছিল। যা আমায় লিখতে বলা হয়েছিল সেই সময়।

 না, তারপর কেউই আর ফোন করেন নি আমায় কোনোদিন। সেই বিখ্যাত কবি ও সাংবাদিক কোনও মন্তব্য করেননি আর। কথাও হয়নি আর তাঁর সাথে আমার বহুদিন। যা আমাদের দুজনের এমন নিগূঢ় বন্ধন এর সম্পর্কও আমাদের দুজনের ছিলনা তেমন কিছুই যে পরে কথা হবে আবার। বানান নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে কিছুটা হয়তো বলে দিতেন তিনি একটু হাসি হেসেই। আর নিজের কম জানা নিয়ে আত্মগ্লানি আর লজ্জায় মরে যেতাম আমি সেই সময়। কি করবো পেট যে বড়ো বালাই। স্বপ্ন দেখে কি আর পেট ভরে শুধুই। 

তবুও আজ এই রাতের অন্ধকারে আচমকা মনে পড়ে গেলো আমার এই কবির কথা, সেই সাংবাদিকের কথা। এই বিখ্যাত খবর নিয়ে কাটাছেঁড়া করা আর পোস্টমর্টেম করা সেই মানুষটার কথা। যাঁর খবরের প্রতি ভালোবাসা আর খবরের পায়ের আওয়াজ শুনে যাঁর প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা রিফ্লেক্স অ্যাকশন ছিল দেখার
 মতই নিউজ রুমে। 
যা দেখেই হয়তো সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটা তাঁকে পছন্দ করতেন আর বড়ো ভরসা করতেন। জানি না কেমন হলো আমার এই আঁকাবাঁকা অক্ষরে আঁকি বুঁকি ব্লগের এই লেখা। ভুল হলে ক্ষমা করে দিও তুমি। ভালো থেকো। আর মাঝে মাঝেই আশ্রয় চাইলে বুকে নয়, তোমার পায়ে আশ্রয় দিও তুমি। যদি বুড়ো বয়সে এসে কিছু শিখতে পারি আমি তোমার থেকে। ভালো থেকো দাদা তুমি। 

খবরের ও শব্দের জাদুকর সাম্যব্রত জোয়ারদার - অভিজিৎ বসু।
ঊনত্রিশ ডিসেম্বর দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...