সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অচেনা তরুণ গোস্বামী দা ও আমি

সাদা জীবনের কালো কথায় রাত বাড়লেই কেমন যেন নানা মানুষের আনাগোনা শুরু হয় আমার এই নির্বান্ধব জীবনে। আমার এই পাগলামো। এই লেখা লেখা খেলা। আর নানা মানূষকে খুঁজে বের করা। আমার সময় কাটানো এই ভাবেই। কেউ বলেন কি আর করবে এই কাজ ছাড়া। রাতের অন্ধকারে স্মৃতিকে আগলে বেঁচে থাকতে হবে জীবনের বাকি কটা দিন। 

আবার কেউ আমায় কোনোদিন সাক্ষাতে দেখলেন না একটি বারের জন্যও। দেখা হলো না কোনোদিন তার সাথে। হয়তো জীবনে একবার কি দুবার ফোনে দুজনের কিছু কথা হয়েছে তাতেই যেনো কত আপনার জন হয়ে গেছেন তিনি। কত সহজেই একদম কাছের মানুষের মতোই বলা, অভিজিৎ তোমার লেখা বেশ ভালো। আমি তোমার সব লেখাই পড়ি।

 আসলে জীবনের এই নানা ধরনের নানা রকমের মানুষ আর তাদের এই কথা শুনে বেশ ভালো লাগে আমার। মনে হয় এই মানুষকে দেখো, জীবনকে দেখো, জীবন হলো সব থেকে বড় শিক্ষক। সেই জীবন দেখার কাজ করতে আমার মন্দ লাগে না আজকাল। আজ তেমনই একজনকে দেখলাম। যিনি আমায় না দেখেই, না পরিচয় আলাপ হয়েই আমার লেখার প্রশংসা করলেন অক্লেশে, অকৃপণ ভাবে।

 বলে দিলেন এই বর্তমান সিস্টেমে আমরা আর মানিয়ে নিয়ে ম্যাচ করে চলতে পারব না কিছুতেই। কারণ এইভাবে বাঁচতে গেলে যা যা করতে হয় সেটা আমরা করতে পারব না অভিজিৎ। এত অকপট সহজ সত্য কথা একজন না দেখা মানুষকে কি সহজে বলে ফেললেন তিনি। আমি ভাবলাম কই এমন মানুষ তো আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আসেনি আগে। তাহলে এমন মানুষের কথাও লেখা দরকার। 

আজ তাই সেই তরুন গোস্বামীর কথা। যাঁর সাথে সাক্ষাৎ দর্শন হয়নি কোনোদিন আমার সাথে তাঁর। আদৌ কোনোদিন হবে কি না সেটাও জানিনা আমি ও তিনি। তবু একটা লেখা নিয়ে কিছু কথা বলতে গিয়ে মনে হলো যেন কতদিনের পরিচিত একজনের সাথে অন্যজনের। কথা বললাম আমি ও তিনি কোনও জড়তা না নিয়েই। যিনি আমার আত্মার অন্তঃস্থলের কথা তুলে ধরলেন। যে মনের গভীর গোপন কথা বলতে গেলে অনেকেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না কেউ কেউ। 

সত্যিই কত যে ঘটনা ঘটে যায় তাঁর ইচ্ছায় সেটা বোঝে কে। যিনি একাধারে মাঠে ময়দানে ঘোরা জনসংযোগ করা একজন বিখ্যাত সাংবাদিক। বাংলা মাধ্যমে নয় ইংরাজি মাধ্যমে। আর অন্যদিকে তাঁর জীবন দর্শনের সাথে মিলেমিশে একাকার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দর্শন। বিবেকানন্দের বাণী যিনি প্রচার করে বেড়ান নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যেটা তাঁর অন্যতম সেরা কাজ। ভগবৎ সত্তায় বিশ্বাসী হয়ে জীবনকে দেখার অনুসন্ধান করার প্রচেষ্টা করে যাওয়া। 

আজকালের দুনিয়ায় এই স্বার্থপরতার যুগে যা একদম মেলেই না। আর তার সাথে তিনি অসম্ভব ভালো শিষ দিয়ে সুরের মূর্ছনা তুলতে পারেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন এইভাবেই। এহেন মানুষ বলছেন অভিজিৎ তোমার লেখা বেশ ভালো। আমি সত্যিই বাতিল একজন মানুষ। সব জায়গায় যে লোকটা বাতিল। ঘরে, বাইরে, অফিসে, কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় বাতিল। আর সেই বাতিল হয়ে যাওয়া একজন মানুষকে ভালো বলছেন কেউ প্রশংসা করছেন সেটা সত্যিই একটা অভাবনীয় বাপ্যার আমার কাছে।

 আর তাই আমি এই রাতের অন্ধকারে আচমকা কিছু কথা লিখতে বসলাম। এমন জনকে তো আগে কখনও এমন ভালো কথা বলেনি কেউ আমায়। যে আমায় না চিনে বলছে আমি ভালো বা খারাপ। আমার কতদিনের পরিচিত কেউ তো এইভাবেই আমার মনের কথা অকপটে বলতে পারে নি কোনোদিন। একটু যেনো অবগুণ্ঠন রেখে আড়ালে আবডালে কথা বলেছে তারা সবাই ফিসফিস করে। জোর গলায় সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার বুকের পাটা দেখাতে পারেনি তারা কেউই। তাহলে ইনি পারলেন কি করে।

এতদিন ধরে যে নানা মানুষের ভীড়ে পথ হাঁটলাম আমি একা একা। গ্রামে,শহরে, নগরে প্রান্তরে, হাটে মাঠে, ঘুরে বেড়ালাম সেখানে কি এমন একজনও কেউ ছিলনা। যে একজন অচেনা মানুষকে দরাজ গলায় তার সম্বন্ধে প্রশংসা করতে পারে। একজন সহকর্মীর সঠিক মূল্যায়ন হলে জোর গলায় বলতে পারেন এটাই একদম ঠিক কথা। তার জন্য দুবার ভাবেন না যে এমন বাতিল মানুষের লেখায় এমন মন্তব্য করলে যদি নিজের পয়েন্ট কমে যায় সমাজে। 

সেকথা না ভেবেই তো এতদিন তিনি জীবন কাটিয়ে দিলেন তাহলে আর এখন এই সব নিয়ে ভাবনা কেনো। সত্যিই অসাধারণ লাগলো তরুণদা আপনার কথা শুনে তাই লিখতে বসলাম আমি। আপনার এই জীবন দর্শন, আপনার এই কাউকে না চিনেও কাউকে প্রশংসা করা এটাও তো একটা বড়ো শিক্ষা আমাদের। জীবনে মাতব্বর মানুষদের ভীড়ে এও এক নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো আমার। 

সত্যিই অসাধারণ কথা এক কথা জীবনের কথা আমায় বলেছিলেন তাঁর লেখা চিঠিতে। অভিজিৎ, জীবনকে দেখো। জীবনই হলো আমাদের সব থেকে বড় শিক্ষক। সত্যিই আজ এক অন্য অনুভূতি মাখা জীবন দেখলাম। যে জীবনে আছে মাটির গন্ধ, যে জীবনে জড়িয়ে আছে সুন্দর সুরের মূর্ছনা, যে জীবনে জড়িয়ে আছে টাকা মাটি আর মাটি টাকার মতো সুন্দর দর্শন।

 যে জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। যে বানীকে জড়িয়ে ধরে এগিয়ে চলেছেন তিনি হাসি মুখে। যিনি হাজার খারাপ এর মাঝে ভালোকে দেখতে পারেন হাসি মুখে। দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে অচেনা অজানা একজন মানুষকে বলতে পারেন তিনি সত্যিই অসাধারণ তোমার কাজ, লেখা, তোমার এই ভাবনা চিন্তা। 

আজকালকার দিনে এমন মানুষের সন্ধান পাওয়া দুষ্কর। ভালো থাকবেন আপনি তরুণ দা। দ্রুত মই ধরে নানা মানুষের ওপরে ওঠার মাঝে এইভাবেই আপনি মাঝে মাঝে ফোন করে কথা বলবেন, বেশ ভালো লাগবে আমার। এই ক্ষুদ্র পরিসরের বাতিল হয়ে যাওয়া জীবনে এর থেকে বেশী প্রাপ্তি আর কি হতে পারে দাদা। আমার প্রনাম নেবেন আপনি। ভালো থাকবেন আপনি।

অচেনা তরুন গোস্বামীদা ও আমি - অভিজিৎ বসু।
সতেরো ডিসেম্বর দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...