# হরে কৃষ্ণ
🍂ঈশ্বর পিঁপড়ার চলার শব্দও শুনতে পায়।
ঈশ্বর আপনার অন্তরের কষ্টগুলো সম্পর্কেও জানেন!
ধৈর্য রাখুন,সুখ আসবে
🙏হরে কৃষ্ণ 🙏
কথাটা ফেসবুক থেকে পেলাম। সত্যিই বলতে কি একটু অবাক হলাম আমি এই লেখাটা পড়ে। সত্যিই কি তিনি সব কিছুই শুনতে পান। এই যা যা ঘটছে জগৎ সংসারে সবার জীবনে। যা হচ্ছে সব তাঁর জানার আওতায় থাকে, কে জানে।
সত্যিই,কি অদ্ভুত রহস্যময় ভাবে সত্য বেঁচে থাকে। তাঁকে দুর থেকে বোঝা যায়, অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা যায় না কিছুতেই। ভগবৎ সত্তার প্রেক্ষাপটে যিনি অন্তরালে থাকেন তাঁর কাছে দেহ, মন নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি মিনতি জানালে তিনি বোধ হয় সত্যিই সেটা মঞ্জুর করেন।
ঈশ্বর জানেন অন্তরের অন্তঃস্থল এর গভীর ভাবনার কথা। চিন্তার কথা। সেটা ভেবেই তিনি আমাদের সকলের অজান্তে হাত ধরেন। ডুবে যাওয়া মানুষকে জলের গভীর থেকে তুলে নিয়ে বাঁচান। এটাই বোধ হয় তাঁর মহাজাগতিক খেলা।
যা সকলের অলক্ষ্যে বসে তিনি আপন মনে খেলছেন সদা সর্বদা। মহাবিশ্বের ছোট্টো শিশুর এই আপন মনে খেলা দেখে, মনে মনে আমি বলি। সত্যিই তিনি সব জানেন, অন্তরের সব কষ্ট বোঝেন। না হলে এমন হয় কি করে। তিনি শুধু যে ছবি নয় সেটা বুঝতে পারলাম আবারও।
হাত -পা ওলা মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে যখন আমি দিশাহারা। তখন রাতের অন্ধকারে আচমকা ভূতের রাজার মত আকাশ থেকে টুপ করে বর দান করে আমায় রক্ষা করলেন তিনি সকলের অজান্তে। একদম চুপ চাপ করে। যাতে কেউ টের না পায়।
সত্যিই বলতে কি আমি নিজেই বেশ অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেছি এই গোটা ঘটনায়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বার বার হিসাব মেলাতে পারছিলাম না কিছুতেই। ঠোক্কর খাচ্ছিলাম বার বার জীবনে চলতে।
অনেকদিন চেপে রেখেও একে ওকে বলেছিলাম সে কথা। দু এক জন বাদে বাকি সবাই বেশ আমার ঠোক্কর খাওয়া দেখে খুশিই। এই অবস্থায় কিছু কথা বলে উপদেশ দিতেও কশুর করতে ছাড়েন নি আমায় তারা। কিন্তু আমি সে সব দেখে চুপ করেই ঘরে বসে ভাব- ছিলাম। জীবনের এই ওঠা নামার কথা কে জানিয়ে কি ভুল করলাম আমি।
না, মনে হয কারণ না হলে তো আমার চার পাশের হাত পা ওলা মানুষ গুলোকে ঠিক ভাবে চিনতে পারতাম না। চিনতে পেরে লাভ হলো অনেক। কিন্তু এই বিপদের দিনে হাত বাড়িয়ে, পাশে থেকে আমায় সবার কাছে ছোটো না করে যিনি বাঁচালেন তিনি সবার অলক্ষ্যে রয়ে গেলেন। আসলে এটাই বোধ হয় জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম।
কড়া পরীক্ষা নিয়ে তারপর বাঁচতে সাহায্য করা। নিজের এই অনুভূতিকে বলে বোঝাতে পারবো না আমি কিছুতেই। তাই হয়তো এত কথা লিখছি আজ। শুধু জানলাম এই পৃথিবীতে হাত পা ওলা মান,হুঁশ হারানো কিছু লোক থাকবে। তারা কেউ বন্ধু, আত্মীয়, স্বজন হবে না। শুধুই আশপাশে সেজে গুজে ঘুরে বেড়াবে। ঘুর ঘুর করবে তারা চারিপাশে।
কখনো আপনাকে দেখে তারা হায় হায় করবে। আপনার দুঃখে কাতর হয়ে এলিয়ে পড়বে। আবার একটু পরেই আপনি অনুপস্থিত হলেই বলবে ঠিক হয়েছে। যা অহংকার ছিল ওর।এমন হবে না, ঠিক হয়েছে। এটাই বোধ হয় মানুষের আসল রূপ
হয়ে যাচ্ছে চারি দিকে।
এই সবের মাঝেই এই ওপর ওলার খেলাকে রাতের অন্ধকারে বলে ফেললাম। সত্যিই তো কি ঘটছে। কী ঘটতে পারে সেটা আমরা কেউই জানি না।শুধু এটুকু জানি যে, যে কোনো মুহূর্তে জীবনের জল ছবি বদলে যেতে পারে। সেই ছবি তে আপনি নিজেই ফিনিক্স পাখির মতো অচেনা অজানা জায়গায় উড়ে বেড়াতে পারেন। কোনো হিসাব নিকাশ না করেই আচমকা।
আর যারা চালাক, মুখোশ পরে হিসাব করে চলে তারা জানে জীবনের খাতায় হিসেবই তাদের জীবনের স্বপ্ন। তাকে আঁকড়ে ধরেই তাদের বেঁচে থাকা আর অভিনয় করে চলা। এই চলাতেই তাদের শান্তি, সুখ অনুভব সব লুকিয়ে আছে।
দূরে রাত পাহারা দিতে বের হওয়া মানুষটা বাঁশি বাজিয়ে সাবধান করে সকলকে। বাঁশির সুর অন্ধকারের বুক চিরে চলে যায় বহু দুর। বাঁশি বাজিয়ে সাবধান করে সে আমাদের সকলকে। যেখানে শুধু বিরাজ করছেন তিনিই। ক্ষমতার মসনদে বসে যাকে আমরা দেখতে পাই না। শুধু নিজেকে দেখি আর নিজের দাপট দেখি। ওপর ওলা অলক্ষ্যে বসে মিটি মিটি হাসেন।
মনে মনে হয়তো তিনি বলেন যে , এই জগৎ সংসারের একটা পাতাও তো আমার ইচ্ছা ছাড়া নড়ে না। তাহলে কিসের এত লম্ফ ঝম্প। কিসের এত দাপট। সত্যিই কি বোকা আমরা।
চালাক চতুর মুখোশ পরা লোকদের পাশেই বোকা লোক গুলো দিব্যি সুখেই কাটিয়ে দেয়। তাদের কেউ বলে চিন্তা কি আমি তো আছি। আবার কেউ বলে দাদা, আমরা সবাই তোমার পাশে আছি তুমি ভয় পেও না।
এই কথা শুনলেও চোখের কোন চিক চিক করে ওঠে আমার। এত ভরসা, এত ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল কোথায় এতদিন। যাকে সম্বল করে সারা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়।
তাই মনে মনে প্রনাম জানাই তাঁকে দুর থেকে। শুধু বলি তুমি এই ভাবেই ভরসা, ভালোবাসা দিয়ে জীবনকে রক্ষা করো। ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে ভালবাসার বন্ধনে সকলকে এইভাবেই আবদ্ধ করে রাখো ভালো বাসার নিগুঢ় বন্ধনে।
অভিজিৎ বসু।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন