বিদায় বলতে নেই লেখাটা পড়ে আমার মনে হলো সত্যিই তো সেই হায়দরাবাদ ডেস্ক এর তাপসদার কথা তো লেখা হলো না আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায়। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে আর মিডিয়া সিটির অফিসে ধ্রুবর সাথে দেখা করতে আসা তাপসদার কথা তো লেখা হলো না আর। সেই রবীন্দ্রসদন এর গেটে রাতে দেখা হয়ে যাওয়া তাপসদার কথা লেখা হলো না যে আমার।
হাতে সিগারেট নিয়ে একমনে কিছু ভেবে চলেছেন অতলান্ত গভীরে। চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে একের পর এক বাস, হলুদ ট্যাক্সি আর নানা দামী গাড়ীর সারি। আর তিনি হয়তো সেই সময় ভাবছেন মনে মনে, স্বপ্নের চারা বুনে বুনে যে সময় আসে, কোন পথে যেতে চায়, কে তা জানে। সত্যিই তো কোন পথে কে যেতে চায়, জীবনের এই পথের সন্ধান যে পাওয়া ভার। আর সেই কথাই হয়তো লিখে ফেললেন কবি তাপস মহাপাত্র।
জীবনের কথা, জীবনের এই গভীর গোপন ভালোবাসার কথা। যে ভালোবাসাময় জীবন নিয়ে কেমন হেলাফেলা করেই কাটিয়ে দিলেন তিনি গোটা একটা জীবন। যে জীবনে সুখ দুঃখ হাসি কান্না যন্ত্রণা প্রেম ভালোবাসা সবকিছুই ছিল একসময়ে। সেই হায়দরাবাদ থেকে যখন ফোন করতেন আমি তাপস দা বলছি কেমন আছো তুমি অভিজিৎ। বেশ আমায় ভালোইবাসতেন তিনি। কাজের জন্যে হয়তো। আর সেই কোলকাতায় এসে মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসতেন চব্বিশ ঘণ্টার অফিসে। কবিতা লিখে, কবিতা পাঠ করে বেশ দিব্যি কাটিয়ে দিলেন হিসেব হীন এই জীবনটাকে সঙ্গে নিয়েই। কোনও রকম প্ল্যান না করেই।
আসলে কবিরা বোধহয় এমনই হয়। একটু অন্য ভাবে জীবনকে দেখা। একটু অন্য ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা। সেই চেষ্টার মধ্যে হয়তো ত্রুটি থাকে। সেই চেষ্টার মধ্যে হয়তো কিছু ভুল ভ্রান্তি আছে তবু কেমন বিন্দাস অগোছালো এলোমেলো এলেবেলে জীবন যাপন। যে যাপনে কোনও বিদায় বলতে নেই। সত্যিই অসাধারণ এই জীবনের লাইন।
সত্যিই আজকাল এমন মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমছে পৃথিবীতে। আত্মস্বার্থে মগ্ন পৃথিবীতে দিন দিন এই ধরনের আত্মভোলা মানুষের সংখ্যা কমছে। তবু কবি তাপস মহাপাত্রকে আমার হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলো আজ। সেই হায়দরাবাদ এর ভরা ডেস্ক। তাপস দার কপি চেক করে দেওয়া জুনিয়রদের। সেই একটা নিশ্চিন্ত জীবনকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকা। আর এসবের মাঝেই কেমন করে যেনো ভেসে যাওয়া। দুরে অনেক দূরে। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি লেখেন, বারবার ফিরে দেখা, দেখি ফিরে ফিরে। সবার ভিতরেই শুয়ে থাকে এই যাওয়া, সময়ের নীড়ে। ভালো থাকবেন আপনি তাপস দা। আর এইভাবেই লিখে যাবেন।
ভালো থাকবেন তাপস দা - অভিজিৎ বসু।
চার জানুয়ারী, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন