কতোদিন পর দেখলাম ওকে ফেসবুকের পর্দায়। সেই পুরোনো ফর্মে। খেলার মাঠের আশপাশে। সেই এই শীতের মরশুমে ক্রিকেটের ম্যাচের আগে ওকে বেশ ব্যস্ত থাকতে দেখতাম আমি। সেই সন্ধ্যা হলেই আমার কাছে এসে বলতো অভিজিৎ কাল কিন্তু আমার একটা ক্যামেরা লাগবেই। ইন্ডিয়া টিমের প্র্যাকটিস আছে যেতে হবে আমায়। আগে তো মাঝে মাঝেই দুজনের এই সীমাবদ্ধ সম্পর্কের মধ্যেও তবু ফোনে কথা হতো আমাদের একে অপরের সাথে একটু আধটু। মাঝে মাঝেই সেই ইডেন এর ধার থেকে ওর ফোন আসতো আমার কাছে অভিজিৎ কি খবর তোমার কেমন আছো তুমি। আমিও বলতাম এই তো চলে যাচ্ছে আর কি।
ও ওপর প্রান্ত থেকে বলতো আমি তোমার কথা ঋতকে বলেছি দেখো তোমায় ঠিক ডাকবে নিশ্চয়ই ও। সেই ওর ২৪ ঘণ্টার প্রায় সরকারী চাকরি থেকে ওর কাজ চলে যাওয়া। যার দায় ওর কিছুটা থাকলেও হয়তো অফিস এর দায় ছিল অনেকটাই বেশি। সেই অফিসের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে ঘুরতে ঘুরতে ওর স্থায়ী কাজ চলে যাওয়া। কেমন ওর হঠাৎ করেই জলে পড়ে যাওয়া ওর। তারপর সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত ধরে কিছুটা যেনো মাটি খুঁজে পাওয়া। আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই ২৪ ঘণ্টার স্পোর্টস এর সাংবাদিক অমিতাভ ঘোষ এর কথা। সেই খেলার বিভাগের বাংলার ক্রিকেট মাঠের টাইগার সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক অমিতাভ ঘোষ। সেই ২৪ ঘণ্টার ডিরেক্টর অভীক দত্তর আমলে ওর চাকরি নিয়ে এমন টানাটানি হয়নি কোনোদিন। যা পরে মা মাটি মানুষের আমলে হলো। সেই আমাদের সবার ভালোবাসার অমিতাভ।
যাই হোক সেই অমিতাভ আমায় ফোন করত মাঝে মাঝেই। খবর নিত কাজের সন্ধানের। এইটুকু যোগাযোগ ছিল আমাদের দুজনের। সেই সময়ে অধীর রায় বাংলার দাপুটে জেলার রিপোর্টারদের সামলানো বিখ্যাত সাংবাদিক, সেই মিষ্টি হাসি মুখের সুশোভন। সেই সব সময় টেনশনে থাকা আর গম্ভীর মুখে ঘুরে বেড়ানো অমিতাভ। আর সেই স্পোর্টস এর ঝকঝকে ছেলে দীপ কবেই ছেড়ে চলে গেলো। আর সেই সুন্দর হাসি মুখের অভিষেক। আর সবার মাথার ওপরে না বলা কথার মিষ্টি হাসির মানুষ তো আছেনই আমাদের সবার প্রিয় দাদা। এই স্পোর্টস এর সংসারে বর্তমানে সবার দাদা সেই বিখ্যাত ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্য।
সেই সব নিয়েই তো বেশ সুখের হাসিমুখের সংসার চলতে দেখেছি আমি পোদ্দার কোর্টে, দেখেছি আমি সেক্টর ফাইভের সেই মিডিয়া সিটির ঝাঁ চকচকে অফিসে। সেই অমিতাভর হঠাৎ করেই ফোন আসা আমার কাছে। আর বলা অভিজিৎ এই নম্বরটা লাগবে নানা লোকের ফোনের নম্বর চেয়ে মাঝে মাঝেই যোগাযোগ রাখা। এইতো কিছুদিন আগেই ওর ফোন এলো প্রনব মুখোপাধ্যায় এর মেয়ের নম্বর চেয়ে। সত্যিই অসাধারণ এই হারিয়ে যাওয়া জীবন আর সেই জীবনের বুদবুদের মতই ভেসে ওঠা মানুষ। সেই জীবন থেকে খেলার মাঠ থেকে হারিয়ে যাওয়া অমিতাভকে নিয়ে লেখা। সেই একটু ধীরে ধীরে মাঠে ব্যাট করা আর খুচরো রান নিয়ে ক্রিজে আটকে থাকা অমিতাভকে নিয়ে লিখে ফেললাম আমি। ওকে ফেসবুকের পর্দায় দেখে কতদিন পর বেশ ভালো লাগলো আমার। ভালো থেকো তুমি অমিতাভ। মাঝে মাঝেই ফোনে যোগাযোগ করো। ভালো লাগবে আমার। ভালো থেকো তুমি। মাঠ ফিরে পেয়ে মাঠ ছেড়ে চলে আসা বন্ধুদের ভুলে যেওনা তুমি।
২৪ ঘণ্টার অমিতাভ - অভিজিৎ বসু।
এগারো জানুয়ারী, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন