ফেসবুক জানিয়ে দিলো আজ বহু বিখ্যাত মানুষের জন্মদিনের সাথে সাথে এই বাংলার একজন বিখ্যাত সাংবাদিক এর জন্মদিন। আসলে কি জানেন এটা হলো সেই বিখ্যাত মানুষের কপাল গুণ। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে চেয়ারে বসে সব জায়গার ছবি হাসি মুখে জোগাড় করে দেওয়া, সেই জেলা, কলকাতা সব জায়গার খবরে যাঁর অবাধ স্বচ্ছন্দ গতি। হাসি মুখে আমায় বলা, তুমি একবার বলো না কি লাগবে তোমার আমি দেখছি পারি কি না। আর কর্পোরেশন এর দেওয়াল থেকে শুরু করে অফিস এর পিওন সব ওর হাতের মধ্যে। আর শনিবার হলেই মেয়র এর ডাকে ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যাওয়া। এমন একজন বিখ্যাত রিপোর্টারকে নিয়ে আমি আমার সাদা জীবনের কালো কথা লিখবো না সেটা হয় কি করে। আসলে কখন যে কার কথা মনে পড়ে যায়। কখন কার কথা লিখে ফেলি আমি তার ঠিক নেই যে। আগে থেকে প্ল্যান করে তো এই লেখা নয়।
সেই কলকাতা টিভির কাজ এর আগে ওর কথা শুনতাম আমি। ওর ছবি দেখতাম সব বিখ্যাত সাংবাদিকদের সাথে। বেশ ভালই লাগত আমার জেলার ডানকুনির ছেলে বলে কথা। কিন্তু সাহস করে কথা বলতে পারিনি আমি। কিছুটা ভয়ে ও নিজের জড়তা কাটিয়ে এগিয়ে জেতেঊ পারিনি আমি ওর কাছে। আর সেই মানুষটাকে দেখলাম একদম সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমার। বেশ ভালো লাগলো। বিখ্যাত রিপোর্টার বলে কথা। যাদের কাছে যাওয়া বেশ ভাগ্যের ব্যাপার। তাই আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে মনে হলো দু চার কথা লিখে ফেলি আমি। যদিও এরমধ্যে ওর ফোন এসেছে কেনো এতো লোক নিয়ে লেখা হলেও ওকে নিয়ে লিখছি না আমি। বললাম যে সেটা সবটাই নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতি আর বাকিটা সেই তিথি নক্ষত্র দেখেই এই লেখা হয়।
হ্যাঁ, আজ সেই আমাদের কলকাতা টিভির পর্দায় যাকে দেখা যায় সেই সাংবাদিক দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্মদিনে তাঁর কথা আমার ব্লগে। যাঁর কথা শুরু করতে গিয়ে কি লিখবো আমি কোথা থেকে লিখবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা আজ। তবে কলকাতা টিভির পোদ্দার কোর্টের সেই অফিস ওর দৌড় ঝাঁপ করে খবর জোগাড় করা। দুর্গা আর তারকেশ্বর থেকে আসতো কি নাম বেশ তৃণমূল বিট করে মনে পড়ল না হ্যাঁ মনে পড়েছে দেবজ্যোতি। তার সাথে সখ্যতা আর রুক্ষতা। এদিকে বস নির্মাল্য জানার এদের সবাইকে নিয়ে মজা করা। বেশ ভালো মা মাটি মানুষের নিরুপদ্রব সংসার দেখে ভালই লাগতো আমার। আর এর মাঝে পীযূষ এর বুক ফুলিয়ে চেয়ারম্যান এর ঘরে প্রবেশ করা। আর শনিবার হলেই সকাল বেলায় অফিস এসেই ক্যামেরা আর লাইভ ইউ নিয়ে মেয়র এর ডাকে চলে যাওয়া।
করপোরেশন এর অফিস ওর বেশ স্বচ্ছন্দের জায়গা। সেই মহাকরণে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি করা। সেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর সাথে ছবি করা। মেয়র থেকে শুরু করে সবার কাছেই নিজের গ্রহন যোগ্যতা অর্জন করেছে ওর নিজের কৃতিত্বে। বেশ ভালো পাবলিক রিলেশন ওর। সব কাগজের রিপোর্টারদের সাথেও ওর বেশ ভালো যোগাযোগ। সেই পূজোর সময় লাইভ করতে যাওয়া। কার হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এদিক ওদিক ফোনে বলে ব্যবস্থা করা এটা বেশ ভালই গুণ ওর। চেস্টা তো করে ও। এই কিছু দিন আগেই ওর ফোন বস কি করছ। তুমি এদের ফোন করো আমার বলা আছে পোর্টাল এর জন্যে। মনে রেখে বলেছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার। কে আর আজকাল কার জন্যে বলে। সেই চন্ডীতলার সুবীরকে ফোন করে কথা বলা।
হয়তো তেমন খবরের চাপ নেই, তেমন দৌড় নেই তবু তো ও এই ভাবেই হাসি মুখে কাজ করে গেলো। আর কোনও ছবি দরকার হলেই ওকে বলে অপেক্ষা করা ঠিক ছবি চলে আসবে অফিস এর নিউজ রুমে। এটা দেখে আমি বেশ অবাক হতাম কিন্তু। হয়তো মনে হলে আরও বড় জায়গায় যেতে পারত ও কাজ করতে। কিন্তু ও কেমন করে একভাবেই একজায়গায় ও পড়ে রইলো সবাইকে ভালোবেসে। এটা একটা বড় গুণ ওর। আজ সেই দূর্গার জন্মদিনে আমার এই টোটো চালকের ফুলেল শুভেচ্ছা। আমার এই লেখা। ভালো থেকো তুমি দুর্গা। মাঝে মাঝেই কি বস কোথায় বলে ফোনে কথা বলো ভালো লাগবে আমার। ভালো থেকো তুমি।
কলকাতা টিভির দুর্গা - অভিজিৎ বসু।
পাঁচ জানুয়ারি, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন